সব জটিলতা কাটিয়ে ‘কৃষ ফোর’ সিনেমা নির্মিত হতে যাচ্ছে। অভিনয়ের পাশাপাশি সিনেমাটি পরিচালনাও করবেন হৃতিক রোশান। এর মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটবে তার। কিছু দিন আগে এসব তথ্য জানান এই সুপারহিরো সিনেমার পরিচালক রাকেশ রোশান। 

সিনেমাটির গল্প, পাত্র-পাত্রী নিয়ে তখন কিছু জানাননি রাকেশ রোশান। একটি সূত্র ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, “অতীত, ভবিষ্যতের বিভিন্ন সময়সীমার মধ্য দিয়ে ‘কৃষ’ সিনেমার গল্প এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। পারিবারিক আবেগ, সম্পর্কের উপরে নির্ভর করে ভিএফএক্সের উপরে জোর দেওয়া হবে।” 

এই সুপারহিরো সিনেমার বিভিন্ন চরিত্র রূপায়নকারীদের বিষয় সূত্রটি বলেন, “আশা করা হচ্ছে, ‘কৃষ ফোর’ সিনেমায় যুক্ত হবেন প্রীতি জিনতা। তা ছাড়াও প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, বিবেক ওবেরয়, রেখা পুনরায় সিনেমাটির নতুন কিস্তিতে অভিনয় করবেন। এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে নোরা ফাতেহির যোগদানের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে তাকে চিরাচরিত লুকে দেখা যাবে না।”

আরো পড়ুন:

জটিলতা কাটিয়ে আসছে ‘কৃষ-ফোর’, নয়া অবতারে হৃতিক

আহত হৃতিক রোশান

সম্ভবত তিনটি চরিত্রে অভিনয় করবেন হৃতিক রোশান। এগুলো হলো— রোহিত, কৃষ এবং প্রধান খলনায়ক। এ তথ্যের সত্যতা জানতে ‘কৃষ ফোর’ সিনেমার টিমের একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তা উড়িয়ে দেন। 

হৃতিক রোশান ‘ওয়ার টু’ সিনেমার শুটিং করছেন। সিনেমাটির কাজ শেষ হলেই ‘কৃষ ফোর’ সিনেমা নিয়ে শুটিংয়ের মাঠে নামবেন বলিউডের এই ‘গ্রীক গড’। এটি প্রযোজনা করছে যশরাজ ফিল্মস।  

২০০৩ সালে মুক্তি পায় এ ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম সিনেমা ‘কই মিল গ্যায়া’। এরপর ২০০৬ সালে মুক্তি পায় ‘কৃষ’। এতে দর্শকের সামনে সুপারহিরো হিসেবে হৃতিককে হাজির করেন রাকেশ। সিনেমাটির সাফল্যের পর ২০১৩ সালে ‘কৃষ-থ্রি’ নির্মাণ করেন তিনি। এটিও দর্শকের মাঝে ভালো সাড়া ফেলে।

‘কৃষ-থ্রি’ সিনেমায় হৃতিক ছাড়াও অভিনয় করেছিলেন বিবেক ওবেরয়, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, কঙ্গনা রানৌত প্রমুখ।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ