পার্নোকে নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে আসছেন মোশাররফ করিম
Published: 9th, April 2025 GMT
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ওপার বাংলায়ও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন নন্দিত অভিনেতা মোশাররফ করিম। বাংলা নববর্ষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার অভিনীত ‘বিলডাকিনি’ সিনেমা। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। সিনেমাটির নির্মাতা ফজলুল কবীর তুহিন মুক্তির তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বছরের ১৭ জানুয়ারি সেন্সর ছাড়পত্র পায়া সিনেমাটি। এরপর বেশ কয়েকবার মুক্তির সিদ্ধান্ত নিলেও নানা জটিলতায় মুক্তি দেওয়া হয়নি। মুক্তি প্রসঙ্গে নির্মাতা ফজলুল কবীর তুহিন বলেন, “দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত জানুয়ারিতে মুক্তির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিলাম। আমাদের এখানে প্রতি ঈদের সময় হলে দর্শকের সমাগম দেখা যায়। বন্ধ থাকা হলগুলোও খোলা হয়। সেই রেশ থাকতেই বৈশাখ উপলক্ষে দর্শকের সামনে ‘বিলডাকিনি’ নিয়ে আসতে চাই।”
‘বিলডাকিনি’ সিনেমায় মোশাররফ করিম অভিনয় করেছেন মানিক মাঝি চরিত্রে। গল্পে একজন বাউলের সন্তান তিনি। অন্যদিকে পার্নোর চরিত্রের নাম হনুফা। গ্রামীণ নারী হনুফার গল্পেই আবর্তিত হয় ‘বিলডাকিনি’ চলচ্চিত্রের কাহিনি।
আরো পড়ুন:
লোকগুলো অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছিল: জিৎ
চুমু তো একা খাওয়া যায় না, কৌশানীর সঙ্গে চুম্বন দৃশ্য নিয়ে পরমব্রত
২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পায় ‘বিলডাকিনি’। ‘বিলডাকিনি’র অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহাজাহান সম্রাট, লুৎফর রহমান জর্জ, শিল্পী সরকার অপু, রশীদ হারুন, হাবিব মাসুদ, আইনুন নাহার পুতুল, ইউসুফ হাসান অর্ক, মাহবুবুর রহমান, তিথি, মেহেদী হাসান সোমেন প্রমুখ।
কথাসাহিত্যিক নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীরের ব্যতিক্রমধর্মী কাহিনি অবলম্বনে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। সিনেমার শুটিং হয়েছে নওগাঁর পতিসর, নাটোর এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কারাগারে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।