ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে হেরে রিয়াল মাদ্রিদের লা লিগার শিরোপা একপ্রকার হাতছাড়া হয়ে গেছে। আর্সেনালের বিপক্ষে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেও বিদায়ের পথে পা বাড়িয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা। দুই হারে দায় দেখা হচ্ছে দলটির অভিজ্ঞ ইতালিয়ান কোচ কার্লো আনচেলত্তির।

সংবাদ মাধ্যম রেলেভো দাবি করেছে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটের দ্বিতীয় লেগে আর্সেনালের বিপক্ষে জিতে রিয়াল মাদ্রিদ সেমিফাইনালে যেতে না পারলে বরখাস্ত হবেন গত মৌসুমের লিগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী কোচ আনচেলত্তি।

রিয়াল ১৬ এপ্রিল রাতে আর্সেনালের মুখোমুখি হবে। প্রথম লেগে ৩-০ গোলে হেরেছে তারা। ২৬ এপ্রিল বার্সেলোনার বিপক্ষে কোপা দেল রে’র ফাইনাল খেলবে। মৌসুমে এরই মধ্যে দুই ক্লাসিকোয় হেরেছেন রিয়াল বস। ১৬ এপ্রিলের পরীক্ষায় ফেল করলে বার্সা পরীক্ষায় রিয়ালের ডাগ আউটে ডন কার্লোকে দেখার সম্ভাবনা কম বলে দাবি করেছেন ফুটবল দলবদল বিষয়ক সাংবাদিক ফ্যাবরিজিও রোমানো।

সেক্ষেত্রে আনচেলত্তির জায়গায় অন্তবর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পেতে পারেন রিয়াল কাস্তিলার কোচ রাউল গঞ্জালেস। তবে আগামী মৌসুমের জন্য কোচ হিসেবে লস ব্লাঙ্কোস প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের পছন্দ জাবি আলোনসোকে। শুধু প্রথম নয়, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পছন্দও আলোনসো।

কার্লো আনচেলত্তির ব্রাজিলের কোচ হওয়ার গুঞ্জন আছে। তবে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) মে’র প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সেলেসাওদের পরবর্তী কোচের নাম চূড়ান্ত করে ফেলতে চায়। সিবিএফের কোচের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন ডন কার্লো। তিনি আর্সেনালের বিপক্ষে ব্যর্থতার দায়ে এপ্রিলে চাকরি হারালে জাতীয় দলে রদ্রিগো-ভিনিসিয়াস-মিলিতাওদের ডাগ আউটে দাঁড়াতে পারেন।

ব্রাজিলের কোচ হওয়ার দৌড়ে আছেন ভিন্ন ভিন্ন তিন ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী ও ভিন্ন তিন লিগের শিরোপা জয়ী হোসে মরিনহো। স্পেন, ইতালি ও প্রিমিয়ার লিগের কোচিং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কার্লো আনচেলত্তি আছেন। আছেন পর্তুগিজ লিগ ও ব্রাজিলের লিগে কোচিং করিয়ে সাফল্য পাওয়া হোর্হে জেসুস এবং পালমেইরাসে কোচিং করানো পর্তুগালের তরুণ কোচ আবেল পেরেইরা। ব্রাজিলের সংবাদ মাধ্যম গ্লোবো দাবি করেছে, এই চারজনের একজনই হচ্ছেন ব্রাজিলের পরবর্তী কোচ। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র জ ল ফ টবল আর স ন ল র

এছাড়াও পড়ুন:

‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের (রিভিউ) ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১৮ মে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ শুনানির জন্য ১ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন। ধার্য তারিখে বিষয়টি শুনানির জন্য রিভিউ আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ১৫ জুলাই পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। আজ বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।

ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের পদক্রম ওপরের দিকে রাখা ও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়। পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করা হয়।

আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করে যে মুক্তিযোদ্ধারা বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন) পদক্রমে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।

ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন। রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন। পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর গত ২৭ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়।

আজ আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন শুনানি করেন। রিট আবেদনকারী পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়।

সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। সংশোধিত এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে—এমন উল্লেখ করে এর বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে রিট করেন।

রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালে করা আবেদনের ওপর শুনানি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আসামির কাঠগড়ায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের ৪৫ মিনিট
  • পরবর্তী সরকারের পক্ষে এত সহজে সংস্কার আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করা সম্ভব হবে না: আসিফ নজরুল
  • বিসিআইসির নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ
  • এলডিসি উত্তরণের পরবর্তী প্রস্তুতি নিতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন
  • ৪৪তম বিসিএস: মনোনীত প্রার্থীদের তথ্য চেয়ে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
  • ‘আগামীর বাংলাদেশে মিডিয়াকে দালাল হিসেবে দেখতে চাই না’ 
  • ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার
  • মাইলস্টোনে দগ্ধ ৩৩ জন এখনো ভর্তি, আইসিইউতে ৩
  • শেখ হাসিনার অডিওগুলো শুনলে বোঝা যায়, তাঁর এখনো প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা আছে: আইন উপদেষ্টা
  • দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে