সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি পরিচয়ে নেতা জমির মালিকানা দাবি করে জোরপূর্বক জমি দখল, হামলা, লুটপাট ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সকাল ১০টার সময়, সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন কদমতলী ক্যানেলপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

এ সময় থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী আকলিমা আক্তার ডলি। অভিযোগের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই মাহবুব তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ১০টার দিকে, সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি পাগলাবাড়ি এলাকার কথিত বিএনপি নেতা ইলিয়াস ও জয়নালের নেতৃত্বে ৭০-৮০ জনের একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড, রামদা ও চাপাতি নিয়ে, জমির মালিকানা দাবি করে বিভিন্ন বাড়িঘরে হামলা করে, এক ভুক্তভোগীর জমির সীমানা প্রাচীন ভাঙচুর করে এবং দখল করার উদ্দেশ্যে কয়েকটি সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দেয়।

এসময় বাড়িওয়ালারা তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা ভুক্তভোগীদের উপর হামলা, নারীদের শ্লীলতাহানি, স্বর্ণালংকার লুট ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এসময় ঘটনাস্থলের সামনে স্থাপিত আল জাকির মাদ্রাসার সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙ্গচুর করা হয়। যেখানে ধরা পরেছিল অভিযুক্তদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কিছু চিত্র।

এদিকে এবিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হামলা, লুটপাট ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ তোলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা। 

অভিযোগকারী খাদিজা ও আসমা আক্তার জানান, তাদের সম্পদের ক্ষতি সাধন কালে তারা বাঁধা দিতে গেলে, ১৫-২০ জন যুবক তাদের উপর হামলা করে এবং তাদের গলাচিপে ধরে তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এসময় তাদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।

অপর এক ভুক্তভোগী সাবেক পুলিশ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আক্ষেপ নিয়ে বলেন, আমি ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে আমাদের উপর হামলার বিষয়ে জানিয়ে সাহায্য চাইলেও আমাদের সাহায্যে এখন পর্যন্ত কোন পুলিশ সদস্য আসেনি। তাই বাধ্য হয়ে এখন থানায় এসে অভিযোগ দিলাম।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার আংশিক সত্যতা স্বীকার করে জানান, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে ভুক্তভোগী বাড়িওয়ালাদের বাকবিতন্ডা হয়েছে এবং অভিযোগকারীর একটি দোকানের তালা খুলেছিল বসার জন্য, পরে এসআই মাহবুবের নেতৃত্বেই সেই তালা পুনরায় ঝুলিয়ে দেয়া হয়।

এছাড়া নারী নির্যাতন, স্বর্ণালংকার লুট, ও সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙ্গচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে  আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

গোপালগঞ্জে সুদের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সুদের টাকা লেনদেনের বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মধ্যে ২ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ৪ পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনা বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ২৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে উভয়পক্ষের ৪৫ জনকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

আহতরা হলেন- পারভেজ শেখ (২০), মানিক শেখ (৪১), সাদ্দাম শেখ (৩৫), শাকিল খান (২৫), ফয়সাল শেখ (২০), আবু সাঈদ শেখ (৪০), সজীব শেখ (১৯), রনি শেখ (৪০), সোহেল সুলতান (২৫), আফ্রিদি শেখ (১৯), মোস্তফা শেখ (৪০), নুরুন্নবী (১৮), আমানুল্লাহসহ (২৫) আরও অনেকে।

গুরুতর আহতদের গোপালগঞ্জ ও কোটালীপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া কোটালীপাড়া থানার আহত এসআই সেলিম মাহমুদ কোটালীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ওই এসআইসহ কোটালীপাড়া থানার আরও ৩ কনস্টেবল আহত হয়েছেন বলে কোটালীপাড়া থানার এসআই মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন।

মাঝবাড়ি গ্রামের কালাম দাড়িয়া ও বংকুরা গ্রামের হাসেম মুন্সি জানিয়েছেন, কোটালীপাড়া উপজেলার বংকুরা গ্রামের রিয়াজুলের কাছ থেকে মাঝবাড়ি গ্রামের ফারুক দাড়িয়া সুদে টাকা নেন । সেই টাকা সময়মত ফারুক সুদে আসলে পরিশোধ করতে গড়িমসি শুরু করেন। এতে পাওনাদার রিয়াজুল ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সুদের টাকা লেনদেন নিয়ে দু’জনের মধ্যে আজ শুক্রবার সকালে বাকবিতণ্ডা হয়। এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মসজিদের মাইক থেকে গ্রামবাসীকে সংঘর্ষে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এ আহ্বানের পর দুই গ্রামের লোকজন ঢাল-সড়কিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দফায়-দফায় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। পুলিশ প্রথমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। দুই ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।

উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

কোটালীপাড়া পাড়া থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২৫ রাউন্ড গুলি বর্ষণ ও উভয়পক্ষের ৪৫ জনকে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে ওসি আরও বলেন, এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোন পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পাওয়ামাত্র আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযুক্ত রিয়াজুল ও ফারুক দাড়িয়ার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। এ কারণে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোপালগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ৩ বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ২
  • গোপালগঞ্জে ৬ যানবাহনের সংঘর্ষ, পুলিশ সদস্যসহ নিহত ২
  • রেললাইনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন মুঠোফোনে, ট্রেনে কাটা পড়ে চা–শ্রমিকের মৃত্যু
  • সিদ্ধিরগঞ্জে প্রবাসী স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর তালা
  • গোপালগঞ্জে সুদের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫