ওয়াক্ফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে দেশের সর্বত্র ওয়াক্ফ সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন। বৃহস্পতিবার কলকাতার রামলীলা ময়দানে মহাসমাবেশের কথা আগেই জানানো হয়েছিল। 

এনডিটিভি জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের হাজারো মানুষ জড়ো হন রামলীলা ময়দানে। ওয়াক্ফ সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ, বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে মধ্য কলকাতা। এদিকে মহাসমাবেশ ঘিরে ভয়াবহ যানজট শুরু হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিকল্প রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচলে ব্যবস্থা করে পুলিশ।

এদিকে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের হুরিয়ত নেতা মিরওয়াইজ ওমর ফারুকের বাড়িতে ওয়াক্ফ আইনের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ধর্মীয় নেতাদের এ বৈঠকে বাধা দিল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। বুধবার বৈঠকে যোগ দিতে জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখের ধর্মীয় নেতারা শ্রীনগর এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন ওমর ফারুক। তাঁর উদ্যোগে ওই বৈঠকের আয়োজন করেছিল বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে গঠিত সংগঠন মুত্তাহিদা মজলিস উলেমা (এমএমইউ)।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কলক ত কলক ত

এছাড়াও পড়ুন:

অতিরিক্ত মোটা হওয়ায় যাত্রীকে তুলতে অস্বীকৃতি উবার চালকের

চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার জন্য সম্প্রতি রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান উবারের একটি গাড়ি ডেকেছিলেন মাইকেল। গাড়িটি আসার পর দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতে যেতেই বাধল বিপত্তি। ‘অতিরিক্ত মোটা’ হওয়ায় চালক তাঁকে গাড়িতে তুলতে অস্বীকৃতি জানান। যুক্তরাষ্ট্রে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

গেমিং প্ল্যাটফর্ম টুইচের জনপ্রিয় স্ট্রিমার মাইকেল। ওই প্ল্যাটফর্মে তাঁর ৬০ হাজারের বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। তিনি তাঁর কল অব ডিউটি গেমপ্লের জন্য পরিচিত।

মাইকেল সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ভিডিওর শিরোনামে তিনি লিখেছেন, ‘আমি মজা করছি না। আমার উবার চালক বলেছেন, আমি নাকি অনেক বেশি মোটা। তাই তাঁর গাড়িতে আমাকে নেওয়া সম্ভব নয়। এমনকি তিনি আমার দিকে বন্দুক তাক করার হুমকিও দিয়েছেন।’ মাইকেলের ওই ভিডিও পাঁচ কোটিবারের বেশি দেখা হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, মাইকেল উবারের গাড়িচালককে বলছেন, ‘আপনি এইমাত্র বললেন, আমি নাকি অনেক বেশি মোটা। আমি কিন্তু আপনার ভিডিও করছি।’ উত্তরে উবার চালক নারী বলেন, ‘এটা যুক্তি আর বাস্তবতার ব্যাপার। আর আমি এটা বলার অধিকার রাখি।’ কিন্তু বাক্যটি শেষ করার আগেই মাইকেল তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘না, আপনি এটা বলতে পারেন না।’ তখন ওই নারী হাত উঁচিয়ে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি পারি। এটা আমার গাড়ি। আপনি এখান থেকে চলে যান।’

বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে ওই উবার চালক বলেন, ‘আপনি কি চান, আমি আমার বন্দুকটা বের করি?’ এ কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে মাইকেল গাড়ির দরজা বন্ধ করে সেখান থেকে চলে যান। এক্সে দেওয়া অন্য একটি পোস্টে মাইকেল বলেন, এ ঘটনার কারণে তিনি সেদিন চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেননি।

উবারের নীতি অনুযায়ী, চালকেরা বৈধ কারণ ছাড়া কোনো যাত্রীকে গাড়িতে তুলতে অস্বীকৃতি জানাতে পারবেন না। ওজন, লিঙ্গ, বর্ণ কিংবা ধর্মের ভিত্তিতে কোনো যাত্রীর সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা সম্পূর্ণ নিষেধ।

এই ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পর উবার চালকের আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছেন অনেকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ