বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে আরেক প্রবাসী ফুটবলারের আগমন প্রায় নিশ্চিত। কানাডা-প্রবাসী মিডফিল্ডার সামিত সোম জানিয়ে দিয়েছেন তিনি দেশের হয়ে খেলতে প্রস্তুত!

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সূত্রে জানা গেছে, ২৭ বছর বয়সী সামিত সোম আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মতি দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ফেডারেশনকে ই-মেইলের মাধ্যমে নিজের সিদ্ধান্ত জানান এই ফুটবলার। তার সম্মতিতে এবার শুরু হচ্ছে পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া। জানা গেছে আগামীকাল রোববার থেকেই শুরু হবে পাসপোর্ট তৈরির কাজ।

বাংলাদেশের পরবর্তী আন্তর্জাতিক ম্যাচ আগামী ১০ জুন ঢাকায় সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে। বাফুফে চায় এর আগেই সামিতের সব কাগজপত্র ও ফিফার ছাড়পত্র সম্পন্ন করে তাকে জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করতে। জানা গেছে, সামিতও এই ম্যাচেই বাংলাদেশের জার্সি গায়ে জড়িয়ে অভিষিক্ত হতে আগ্রহী।

আরো পড়ুন:

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ইমরুল হাসান

ঈদের শুভেচ্ছা বার্তায় যা বললেন হামজা-জামালরা

কে এই সামিত সোম?
জন্ম তার কানাডায়। পিতা-মাতা উভয়েই বাংলাদেশি। বর্তমানে তিনি কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে কালাভরি এফসির হয়ে খেলছেন। এছাড়া কানাডার হয়ে অনূর্ধ্ব-২০ (৭ ম্যাচ), অনূর্ধ্ব-২১ (৪ ম্যাচ) ও জাতীয় দলেও (২ ম্যাচ, ২০২০) খেলেছেন।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হলেও কানাডার হয়ে খেলায় সামিতের জাতীয় দলে খেলার আগে প্রয়োজন হবে ফিফার ছাড়পত্র। তবে যেহেতু ফিফার নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট শর্ত পূরণে খেলোয়াড়রা জাতীয়তা পরিবর্তন করতে পারেন, তাই খুব বেশি জটিলতা হবে না বলেই মনে করছে বাফুফে।

বাংলাদেশ দলে প্রবাসী ফুটবলারদের ধারাবাহিকতা:
সামিত সোম হচ্ছেন সর্বশেষ সংযোজন, যাঁরা দেশের বাইরে জন্ম নিয়েও বাংলাদেশের হয়ে খেলতে এসেছেন। শুরুটা করেছিলেন ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল ভূঁইয়া ২০১৩ সালে। এরপর ফিনল্যান্ড থেকে এসেছেন তারিক কাজী। আর সবশেষ চমক ছিলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা চৌধুরী। যিনি গেল ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচেই মুগ্ধ করেন সবাইকে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ টবল র প রব স

এছাড়াও পড়ুন:

নেতানিয়াহু অঞ্চলজুড়ে আগুন লাগাতে চাইছেন: ইরানের প্রেসিডেন্টকে এরদোয়ান

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরো মধ্যপ্রাচ্যে আগুন লাগাতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, নেতানিয়াহু ইরানে হামলা চালিয়ে পারমাণবিক আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন। গতকাল শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে এক ফোনালাপে এরদোয়ান এ কথাগুলো বলেছেন।

এরদোয়ানের দপ্তরের দেওয়া এক বিবৃতি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় হওয়া জাতিগত হত্যার ঘটনা থেকে বিশ্বের দৃষ্টি সরাতে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ইরানি প্রেসিডেন্ট ছাড়াও সৌদি আরব, পাকিস্তান, জর্ডান ও মিসরের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এরদোয়ান। ইসরায়েল-ইরান সংঘাত এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।

শনিবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান সতর্ক করে বলেন, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলই এখন এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তুরস্ক সরকারের যোগাযোগবিষয়ক দপ্তরের বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দপ্তরের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, এরদোয়ান মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। সিসিকে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের হামলা গভীরভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করেছে। আইনের তোয়াক্কা না করার যে মনোভাব নেতানিয়াহুর মধ্যে দেখা গেছে তা বিশ্বের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকির।

এরদোয়ান আরও সতর্ক করেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং পুরো বিশ্বের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ