ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার কান্দিপাড়া বাজারে অর্ধদিবস হরতাল পালন করছেন ব্যবসায়ীরা। বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও পাগলা থানা কৃষক দলের সাবেক আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সুজনকে কুপিয়ে জখমের প্রতিবাদে এই হরতাল ডাকা হয়েছে।

আজ রোববার ভোর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাজারের সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আজ সকালে বাজারের সড়কে আগুন জ্বালিয়ে এবং স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানান আসাদুজ্জামানের সমর্থকেরা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা বিএনপির বহিষ্কৃত সদস্য ও উস্থি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কবির সরকারের সঙ্গে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আসাদুজ্জামান সুজনের দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে কান্দিপাড়া বাজারে আসকর আলী উচ্চবিদ্যালয়ের মালিকানাধীন একটি মার্কেট নিয়ে। বিদ্যালয়ের জমিতে নির্মিত ১১টি দোকান দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। সাবেক চেয়ারম্যান কবির সরকারের লোকজন মার্কেটটি দখল করেছেন বলে অভিযোগ করেন আসাদুজ্জামান।

এই বিরোধের জেরে গত বৃহস্পতিবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ছয়জন আহত হন। ঘটনার পর এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গত শুক্রবার এ নিয়ে থানায় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা হয়েছে। আসাদুজ্জামানের সমর্থকেরা গতকাল শনিবার বিকেলে কান্দিপাড়া বাজারে বিক্ষোভ করেন এবং হামলাকারীদের বিচার দাবি করেন। আজ সকাল থেকে শুরু হয়েছে হরতাল।

পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষই মামলা করেছে। হরতালের বিষয়ে পুলিশ আগে থেকে অবগত ছিল না। তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস য় হরত ল

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ