বিগত ১৬ বছর দেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে দলীয় প্রভাবের পাশাপাশি বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

তিনি বলেন, ‍“বিগত বছরের নববর্ষগুলোতে খুব স্বাভাবিকভাবেই শুধু দলীয় নয়, বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব আমরা দেখেছি। বিভিন্ন ধরনের কনসেপ্ট তৈরি করে নববর্ষগুলোতে অপসংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হতো।”

রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের নায়েক পাড়ায় অভ্যুত্থানে শহীদ সাগর ইসলামের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

আরো পড়ুন:

নববর্ষের দিন টিএসসি-শাহবাগ মেট্রো স্টেশন ‘সাময়িক বন্ধ থাকবে’

‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম হলো ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’

সারজিস আলম বলেন, “ক্ষমতার জায়গা থেকে কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া কখনোই সাসটেইনেবল (টেকসই) নয়। এটি কখনো আমরা প্রত্যাশাও করি না। আমরা মনে করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ততটুকু স্পেস বাংলাদেশের মানুষকে দিয়েছে- আমরা যা ধারণ করি, সেটাই প্রকাশ করি এবং করতে পারি। আমরা বিশ্বাস করি, আগামীতে যারাই এই দেশের দায়িত্বে থাকুক না কেন, তারা যেন কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়ার সাহসটুকু না করে। আমাদের প্রকৃত সংস্কৃতি ধরাণ করার জন্য তারা যেন তাদের প্রচেষ্টা রাখেন।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা অভ্যুত্থান পরবর্তী দেশে নতুন একটি নববর্ষ পেতে যাচ্ছি। যে সংস্কৃতিকে ধারণ করে আমাদের বাবা, দাদা, নানারা যেভাবে নববর্ষ পালন করে এসেছেন, সেগুলোই আমাদের মূল কালচার। আমরা সেগুলোকে সামনে রেখে যদি নববর্ষকে উদযাপন করি, তাহলে সেটাই আমাদের নিজেদের প্রকৃতভাবে তুলে ধরা হবে। আমরা প্রত্যাশা করব, আমাদের সংস্কৃতির ওপরে কোনো দেশের বা নির্দিষ্ট কোনো এলাকার অপসংস্কৃতি যেন চাপিয়ে না দেওয়া হয়।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- চাকলাহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, শহীদ সাগরের বাবা রবিউল ইসলাম, নাগরিক পার্টির পঞ্চগড়ের সংগঠক তানবীরুল বারী নয়ন।

ঢাকা/নাঈম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নববর ষ নববর ষ আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা টোল আদায় 

ঈদের ছুটি শেষে রাজধানী ঢাকায় ফিরতে মানুষের ঢল নেমেছে। এতে যানজট ও ধীরগতির কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক দিয়ে ফিরতি পদে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। 

এদিকে যমুনা সেতু’র ওপর দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শনিবার রাত ১২ টা পর্যন্ত ৫১ হাজার ৫৯৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৩৬ হাজার ২৫০ টাকা। 

যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ হাজার ৫৯৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৮ হাজার ২৬৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫২ হাজার ২০০ টাকা। অপরদিকে ঢাকাগামী ৩৩ হাজার ৩২৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীত টোল আদায় ২ কোটি ৩৮ লাখ ৪ হাজার ৫০ টাকা।

সেতু কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, শুক্রবার সেতু দিয়ে ৪৯ হাজার ১৮২টি যানবাহন পারাপার হয়। শনিবার সেতু দিয়ে শুক্রবারের চেয়ে ২ হাজার ৪১৩টি যানবাহন বেশি পারাপার হয়। 

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানান, যমুনা সেতুর দুই পাশ দিয়ে ৯টি করে মোট ১৮ বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এর মধ্যে দুইপাশেই ২টি করে বুথ দিয়ে আলাদাভাবে মোটরসাইকেল পারাপার হচ্ছে।

ঢাকা/কাওছার/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ