ব্যক্তিগত বা কাজের প্রয়োজনে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে নিয়মিত অডিও-ভিডিও কল করেন অনেকেই। কিন্তু হঠাৎ কেউ ভিডিও কল করলে প্রস্তুতি না থাকায় চেহারা নিয়ে বেশ বিব্রত হতে হয়। এ সমস্যা সমাধানে ফোনের ক্যামেরা বন্ধ রেখে ভিডিও কলে কথা বলার পাশাপাশি ইমোজি প্রতিক্রিয়া জানানোর সুবিধা চালু করছে হোয়াটসঅ্যাপ। এ ছাড়া অডিও কল গ্রহণের আগে মাইক্রোফোন মিউট করার সুবিধাও চালু করছে মেসেজিং অ্যাপটি। নতুন এই তিন সুবিধা যুক্ত হলে বর্তমানের তুলনায় আরও স্বাচ্ছন্দ্যে অডিও-ভিডিও কল করা যাবে।

হোয়াটসঅ্যাপের বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ডব্লিউএবেটা ইনফো জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের অ্যান্ড্রয়েড ২.

২৫.১০.১৬ বেটা সংস্করণে ‘মাইক্রোফোন মিউট’, ‘ক্যামেরা অফ’ এবং ‘ইমোজি রিঅ্যাকশন’–সুবিধা শনাক্ত করা হয়েছে। সুবিধাগুলো চালু হলে অডিও কল গ্রহণের আগে মাইক্রোফোন মিউট করে রাখার পাশাপাশি ভিডিও কলের সময় চাইলেই ফোনের সামনের ক্যামেরা বন্ধ রেখে কথা বলা যাবে। এর ফলে প্রস্তুতি না থাকলেও স্বাচ্ছন্দ্যে পরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ মিলবে।

আরও পড়ুনহোয়াটসঅ্যাপে বার্তা ও ছবি নিরাপদ রাখতে ব্যবহার করতে হবে এই ৫ সুবিধা১১ মার্চ ২০২৫

ডব্লিউএবেটা ইনফোর তথ্যমতে, হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হতে যাওয়া ইমোজি রিঅ্যাকশন–সুবিধা কাজে লাগিয়ে ভিডিও কল চালু থাকা অবস্থায় ব্যবহারকারী ব্যক্তিরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবেন। এর ফলে গ্রুপ কলে বিভিন্ন ইমোজি ব্যবহার করে সহজেই নির্দিষ্ট বিষয়ে নিজের মতামত বা অনুভূতি প্রকাশ করা যাবে। এসব সুবিধা এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। আপাতত শুধু গুগল প্লে বেটা প্রোগ্রামে যুক্ত নির্দিষ্টসংখ্যক ব্যবহারকারী সুবিধাগুলো পরখ করতে পারছেন। শিগগিরই এসব সুবিধা সব হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর জন্য উন্মুক্ত করা হতে পারে।

সূত্র: ম্যাশেবল

আরও পড়ুনহোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট যে ৪ কৌশলে বেশি হ্যাক করা হয়২১ মার্চ ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প টসঅ য প র ভ ড ও কল ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা

‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’

এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন। 

এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী  বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’

প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’

প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ