ম্যাচ শেষ হয়েছে দুটি, এখনো বাকি তিনটি। অর্ধেকের বেশি ম্যাচ বাকি থাকার অর্থ চূড়ান্ত পয়েন্ট তালিকা নিয়ে অনুমান করা কঠিন।

তবে পাকিস্তানের মাটিতে বাংলাদেশ দল এরই মধ্যে যা খেলেছে আর সামনে যেসব প্রতিপক্ষ অপেক্ষা করছে, তাতে খানিকটা ঝুঁকি নিয়ে সামনের পথ সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়াই যায়। নিগার সুলতানার দল পাকিস্তানে গেছে ভারতের টিকিট কাটতে।

এ বছরের সেপ্টেম্বর–অক্টোবরে মেয়েদের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ভারতে। ৮ দলের সেই টুর্নামেন্টের ছয় দল চূড়ান্ত হয়েছে আগেই। বাকি দুটি জায়গার জন্য পাকিস্তানে বাছাইপর্ব খেলছে বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ ছয় দল।

বাংলাদেশ দল প্রথম ম্যাচ খেলেছিল থাইল্যান্ডের বিপক্ষে, জিতেছিল রেকর্ড ১৭৮ রানে। গতকাল লাহোরে নিগাররা হারিয়েছেন আয়ারল্যান্ডকে। ২৩৫ রান তাড়ার ম্যাচে বাংলাদেশের জয়টি ২ উইকেটে। ২ ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের পয়েন্ট ৪।

৪ পয়েন্ট আছে পাকিস্তান আর স্কটল্যান্ডেরও। এ ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২, আয়ারল্যান্ড ও থাইল্যান্ডের ০। সবচেয়ে বেশি ৪ পয়েন্ট পাওয়া তিন দলের মধ্যে বাংলাদেশই এগিয়ে। রানরেট ১.

৮৯৯, যা দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তানের ০.৫৯৪।

প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশ দল কি বাকি তিন ম্যাচের পরও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রাখতে পারবে? নিদেনপক্ষে দ্বিতীয় স্থান?

নিগারদের পরবর্তী তিন প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান। এই তিনটি দলের মধ্যে পাকিস্তান দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতেছে, স্কটল্যান্ড দুটি জিতেছে তিন ম্যাচের মধ্যে। আর ক্যারিবীয়দের মধ্যে দুই ম্যাচে জয় একটি।

শক্তির বিচারে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান। তবে ভালো দিক হচ্ছে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ম্যাচ সবার শেষে (১৯ এপ্রিল)। তার আগে ১৫ এপ্রিল স্কটল্যান্ড এবং ১৭ এপ্রিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ম্যাচ। স্কটিশ মেয়েরা এরই মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও থাইল্যান্ডকে হারিয়েছে। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ২৪৪ রানের পুঁজি নিয়ে ১১ রানের ব্যবধানে আর থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ২০৬ রানের পুঁজিতে ৫৮ রানে।

তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৮৬ রান করে হেরেছে ৬ উইকেটে। সব মিলিয়ে যা দাঁড়াচ্ছে, স্কটল্যান্ড তাদের পরবর্তী দুই ম্যাচে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডকে হারাতে পারলে শীর্ষ দুইয়ে থাকার সম্ভাবনা বাড়বে। তবে বাংলাদেশ আগামীকাল স্কটিশদের হারিয়ে দিতে পারলে উল্টোটা ঘটবে।

আইরিশদের বিপক্ষে ১৩৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়েও ২৩৫ রান তাড়া করেছে বাংলাদেশ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স কটল য ন ড ল দ শ দল

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

কোন সালের জন্য পুরস্কার —

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

পুরস্কার মল্যমান কত —

১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।

২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ —

আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—

আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

দরকারি তথ্য—

১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।

২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।

৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।

৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।

৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।

৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।

৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।

৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।

# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খুলনায় বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল, ভোলা সদরে কার্যক্রম স্থগিত
  • জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হলো কেন
  • বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
  • নোবিপ্রবিসাসের বর্ষসেরা সাংবাদিক রাইজিংবিডি ডটকমের শফিউল্লাহ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ১০০ কোটির সম্পদ, স্বামীর প্রতারণা, ৪৭ বছর বয়সেই মারা যান এই নায়িকা
  • তানজানিয়ায় ‘সহিংস’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী সামিয়া
  • শিল্পের আয়নায় অতীতের ছবি
  • সনদ বাস্তবায়নে আবারো কমিশনের সভা আয়োজনের দাবি