দুমকীতে কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত শতাধিক ঘরবাড়ি, আহত ২
Published: 14th, April 2025 GMT
পটুয়াখালীর দুমকীতে আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ উপরে পড়ে দুই জন আহত, শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও সহস্রাধিক গাছ উপরে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার দুপুরে উপজেলার রাজাখালী ও চরবয়ড়া এলাকার উপর দিয়ে আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়।
জানা যায়, সোমবার দুপুর দুইটার দিকে ঝড় শুরু হলে দুমকী বগা বাউফল মহাসড়কে রাজাখালী ফার্মগেট এলাকার পশ্চিম পাশে গাছের নিচে একটি মাহিন্দ্রা যাত্রীসহ আশ্রয় নেয়। ঝড়ের তাণ্ডবে একটি বড় রেইনট্রি গাছ উপরে পড়ে যাত্রী সহ মাহিন্দ্রা গাড়িটিকে চাপা দেয়। এতে বাউফলগামি একজন যাত্রীসহ ড্রাইভার হানিফ হাওলাদার (৩৫) আটকা পড়ে। স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তায় আহতের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে মহাসড়কের উভয়পাশে তিন কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। তিন ঘণ্টা পরে স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তায় রাস্তার উপর পড়ে থাকা গাছটি সরিয়ে ফেললে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮
কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার খামার থেকে গত শুক্রবার পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। এ সময় তাদের হামলায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আটজন আহত হন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করেছে।
গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এর সংলগ্ন এতিমখানার খামারে ঘটনাটি ঘটে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু লুট করেছিল ডাকাতরা।
আরো পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
এলাকাবাসী জানান, মাদরাসার আয় এই খামারের মাধ্যমে হয়। তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খামারের বড় গরুগুলো লুট হয়ে যাওয়ায় এক পাশ ফাঁকা পড়ে আছে। বর্তমানে খামারে ১১টি গরু অবশিষ্ট রয়েছে।
খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাত দলের ব্যবহৃত তুষের বস্তা, যা দিয়ে গরুগুলো পিকআপ ভ্যানে তোলে তারা। গরু উদ্ধার এবং ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মামলার বাদী এবং মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নেয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, খামারের আয়ের ওপর ভিত্তি করে মাদরাসার কার্যক্রম চলে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাতরা।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, “লুট হওয়া গরু উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।”
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ