চরমোনাই পীরের ভাই ফয়জুলকে বিজয়ী চেয়ে মামলা
Published: 17th, April 2025 GMT
বরিশাল সিটি করপোরেশনে ২০২৩ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনী ফল বাতিল চেয়ে মামলা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। মেয়র পদে তাকে বিজয়ী ঘোষণার আবেদন জানিয়ে বৃহস্পতিবার বরিশাল নির্বাচনী ট্রাইবুনালে মামলাটি করেন তিনি।
ফয়জুল ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্বিতা করে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছিলেন। জয়ী হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। মামলায় খায়ের আবদুল্লাহ ছাড়াও অপর ৫ জন মেয়র প্রার্থীকে বিবাদী করা হয়েছে।
ফয়জুলের আইনজীবী শেখ নাছের এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ট্রাইবুনালের বিচারক হাসিবুল হাসান মামলা গ্রহণ করে আদেশের জন্য রেখেছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এনে নির্বচনের দিন কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করেছিলেন খায়ের আবদুল্লাহ। বেলা ১টার দিকে ২২নং ওয়ার্ডের সাবেরা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনিয়মের প্রতিবাদ করলে ফয়জুল করীম আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলার শিকার হন। বেলা ৩টায় জাগুয়া কলেজ কেন্দ্রে তার এজেন্টদের বের করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। মামলায় দাবি করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি জয়ী হতেন।
২০২৩ সালের সিটি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী খায়ের আবদুল্লাহ ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট এবং চরমোনাই পীরের ভাই হাত পাখার প্রার্থী ফয়জুল করীম পেয়েছিলেন ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বর শ ল খ য় র আবদ ল ল হ ফয়জ ল
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ দিয়েও পাঁচ মাস ধরে ১৪ তরুণের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা
অবৈধ পথে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১৪ তরুণ। কিন্তু দুবাই হয়ে লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর পাঁচ মাস ধরে তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। স্বজনদের দাবি, দালালের প্রলোভনে পড়ে জনপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণও দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সন্ধান না পাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
ইউরোপের কোনো দেশে গেলে সচ্ছলতা আসবে, এমন ধারণা নিয়ে প্রতিবছর মাদারীপুর থেকে শত শত তরুণ সেখানে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন। তবে অবৈধ পথে ইউরোপ যেতে গিয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। কেউবা দালালের খপ্পরে পড়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে কাটাচ্ছেন বন্দিজীবন। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তথ্য বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত জেলার ৪৫ জন লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে মারা গেছেন। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরেছেন অন্তত ৩৫০ তরুণ। নিখোঁজ আছেন তিন শতাধিক।
সবশেষ নিখোঁজ তরুণদের সবার বাড়ি রাজৈরের বাজিতপুর ইউনিয়নে। তাঁরা হলেন পাখুল্লা গ্রামের জাহাঙ্গীর ব্যাপারীর ছেলে সালমান ব্যাপারী, চৌরাশী গ্রামের মোসলেম শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার, একই গ্রামের মজিবর বয়াতীর ছেলে সাজ্জাদ বয়াতী, জাকির মাতুব্বরের ছেলে বাদল মাতুব্বর, কানাই রায়ের ছেলে লিটন রায়, নিরঞ্জন বাড়ৈর ছেলে বাঁধন বাড়ৈ, কিসমদ্দি বাজিতপুর গ্রামের আলম চৌকিদারের ছেলে ইমন চৌকিদার, অহিদুল মাতুব্বরের ছেলে নয়ন মাতুব্বর, আজিজ খালাসির ছেলে খলিল খালাসি, সোনা মিয়া চৌকিদারের ছেলে সোহেল চৌকিদার, নয়াকান্দি বাজিতপুর গ্রামের গৌরাঙ্গ বাড়ৈর ছেলে গৌতম বাড়ৈ, একই গ্রামের সামচু সরদারের ছেলে ইমরান সরদার, শ্রীনাথদী বাজিতপুরের জলিল বয়াতীর ছেলে আল আমিন বয়াতি ও শ্রীনদী গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ঘরামির ছেলে আলী ঘরামি। তাঁদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে।
স্বজনদের অভিযোগ, মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য বাজিতপুর এলাকার বাবুল হাওলাদার ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেক পরিবারের কাছ থেকে প্রথমে ১৬ লাখ টাকা করে নেন। পরে লিবিয়ায় বন্দী করে আদায় করেন আরও ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এর পর থেকে ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত বাবুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
মাদারীপুরের ১৪ তরুণ ইতালি যেতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দালালের হাত ধরে ঘর ছাড়েন। নিখোঁজ তরুণদের সন্ধানে তাদের ছবি হাতে স্বজনেরা