আসুন সবাই ড. ইউনূসকে সাহায্য করি: ফখরুল
Published: 19th, April 2025 GMT
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আমি প্রফেসর ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। আমার বিশ্বাসও আছে, তিনি সফল হবেন। আসুন, আমরা সবাই মিলে তাকে সাহায্য করি। আমরা নিজেরা নিজেদের সাহায্য করি।”
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর বসুন্ধরায় ‘রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম-এর দূরদৃষ্টিতে ক্ষমতায়ন বাংলাদেশ নেতৃত্ব-ঐক্য এবং প্রবৃদ্ধি’র পথে কূটনীতি-শাসনব্যবস্থা রূপান্তরমূলক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “যেদিন ছাত্রদের ওপর রাস্তায় গুলি শুরু হয়েছে, সেদিন কিন্তু সবাই রাস্তায় নেমে এসেছে। ঠিক না? আজকে সেই একইভাবে আসুন, আমরা সবাই এক হয়ে যাই। সমস্যা আছে, সমস্যার সমাধান হবে। ইতোমধ্যে অনেক দূর এগিয়েছে।”
আরো পড়ুন:
জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার চিন্তা ইসির
ঐক্যের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই: ফখরুল
বিএনপি সমাসচিব বলেন, “একটা কথা জোর দিয়ে বলতে চাই, গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই। গণতন্ত্রকে চাপিয়ে দেওয়া যায় না। আপনি আমার ওপর চাপিয়ে দিলেন, তা দেওয়া যাবে না। এটাকে চর্চা করতে হবে। সেই জায়গাগুলোকে ধরে রাখতে হবে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমার চারদিকে তাকিয়ে, বিশেষ করে টেলিভিশনের টক-শো, বিদ্যান মানুষদের কথা, রাজনীতির বক্তৃতা সবকিছু মিলে সবাই কেমন যেন একটু হতাশ হয়ে পড়েছেন। এত যে রক্তপাত হলো, এত মায়ের বুক খালি হলো; তার পরিণতি কী হবে শেষ পর্যন্ত? আমি বিশ্বাস করি এবং দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ভালো হবে এবং খুব ভালো হবে।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “কারণ, আমরা বাংলাদেশের মানুষ চিরকাল ভালোর জন্য লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি এবং জয়ী হয়েছি। বিশেষ করে আমাদের তরুণেরা, আমাদের ছেলেরা; আজকে বাংলাদেশের যা কিছু ভালো অর্জন, সব তাদের জন্য। সেই ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ২৪-এর জুলাই-আগস্টের অন্দোলন পর্যন্ত, প্রতিটিতেই সামনে ভ্যানগার্ডের ভূমিকা পালন করেছে আমাদের ছেলেরা। সেখানেই আমাদের শক্তি।”
ঢাকা/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ব এনপ আম দ র ফখর ল ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেক এলাকায়।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
স্বজনেরা জানান, গত ২ জুন অপহরণকারীরা নিহতের পরিবারের কাছে প্রথমে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এক কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছিল। সেখানে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইকবালের পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করে আসছিলেন।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের ভগ্নীপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, ‘‘গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় ৪ জন অপহরণকারী ইকবালকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুদিন পরে ইকবালের স্ত্রীর ফোন নাম্বারে কল করে সাউথ আফ্রিকান ৫০ লাখ (বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি টাকা) দাবি করে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘একাধিকবার কথা বলার পরিবার এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সর্বশেষ এক কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু, পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। ১২ জুন একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগামী ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজে নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ দেশে আসবে।’’
ঢাকা/অনিক/রাজীব