ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রুপগঞ্জ থানার ২০২৫-২৬ সালের কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। নবগঠিত কমিটিকে শপথ বাক্য পাঠ করান জেলা সভাপতি মাওলানা দ্বীন ইসলাম। 

রবিবার (২০ এপ্রিল) রূপগঞ্জ গাউছিয়া মার্কেটের তৃতীয় তলায় বিকাল তিনটায় শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সেক্রেটারি মোঃ জাহাঙ্গীর কবির, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জুবায়ের হোসেন।

মুফতি এমদাদুল্লাহ হাশেমীকে সভাপতি, মুফতি শিব্বির আহমেদকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মাকসুদুল হাসানকে সেক্রেটারি করে ৩৫ সদস্য কমিটি ঘোষণা করা হয়। 

অন্যান্যরা হলেন সিনিয়র সহ সভাপতিঃ মুফতী শিব্বির আহমাদ সহ-সভাপতিঃ কাজী শফিকুল ইসলাম ,সহ-সভাপতিঃ জনাব শফিকুল ইসলাম খোকন,জয়েন্টসেক্রেটারীঃ  মাওলানা আঃ সাত্তার ,এ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারীঃ মুহাম্মাদ সোলাইমান মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পদকঃ মুফতী ইয়াসিন মাদানী, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদকঃ মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী,দপ্তর সম্পাদকঃ মাষ্টার মুহাম্মদ আজিজুল হক,অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদকঃ মুহাম্মাদ আরিফ মীর। 

কমিটিতে আরো ছিলেন প্রশিক্ষন সম্পাদকঃ মাওলানা নুরুল আমিন,ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদকঃ মুহাম্মাদ মেহেদী হাসান,মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদকঃ- মুহাম্মাদ আতাউর রহমান,সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদকঃ- মুহাম্মাদ রাশিদুল ইসলাম ,শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদকঃ- মুহাম্মাদ শরীফ ভুইয়া,

সাস্হ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকঃ- ওমর ফারুক গাজী,সহ- সাংগঠনিক সম্পাদকঃ হাফেজ কাউসার,সহ প্রচার সম্পাদকঃ মুহাম্মাদ হাবিবুর রহমান, সহ দপ্তর সম্পাদকঃ ডক্টর ফজলুল হক,সহ অর্থ ও কল্যানঃ মুহাম্মাদ আরিফ ভুইয়া,সহ প্রশিক্ষন সম্পাদকঃ-হাফেজ মাসুদ,

সদস্যঃ-হাজী হোসেন আলী,সদস্যঃ-মওলানা মনিরুজ্জামান ,সদস্যঃ- হাজী ফজলুল হক,সদস্যঃ- হাজী বিল্লাল হোসেন,সদস্যঃ- আবুল হাশেম,সদস্যঃ- মুহাম্মাদ সাদিকুর রহমান,সদস্যঃ- হাজী সানাউল্লাহ, সদস্যঃ- হাসান আলী মুন্সী,

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেম ছিল না তবু কেন মধুবালাকে বিয়ে করেছিলেন কিশোর কুমার

দিলীপ কুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদের কিছুদিন পরই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী মধুবালা। তবে তখন তিনি ছিলেন অসুস্থ। কিশোর কুমার জানিয়েছিলেন, ভালোবাসা থেকে নয়, বরং কথা রাখতেই তিনি এ বিয়ে করেছিলেন।
মধুবালা ও দিলীপ কুমারের প্রেম নিয়ে একসময় মুখর ছিল মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু অভিনেত্রীর বাবার বাধার কারণে সে সম্পর্কে ফাটল ধরে এবং দুজনের বিচ্ছেদ ঘটে। কিছুদিন পরেই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন মধুবালা। তাঁদের এই বিয়ে অনেককে চমকে দিয়েছিল। কারণ, তাঁদের প্রেমের কথা তখনো গোপন ছিল। তবে মধুবালার শরীর তখন ভালো যাচ্ছিল না। বলা হয়, দীর্ঘ রোগভোগের সময় কিশোর কুমার তাঁকে মায়ের বাড়িতে রেখেই চলে যান।

দ্য ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেছিলেন, ‘বিয়ের আগেই জানতাম, ও খুব অসুস্থ। কিন্তু কথা তো দিয়েছিলাম। তাই সে কথা রেখেই ওকে ঘরে এনেছিলাম স্ত্রী হিসেবে। জানতাম, ওর জন্মগত হৃদ্‌রোগ আছে। তবু ৯ বছর ধরে সেবা করেছি। চোখের সামনেই ওকে মরতে দেখেছি। কেউ বুঝবে না এর যন্ত্রণা, না ভুগলে। ও অসম্ভব সুন্দরী ছিল। আর কত যন্ত্রণায় মারা গেছে, সেটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। হতাশায় চিৎকার করত, কান্নাকাটি করত। এত প্রাণোচ্ছল মানুষ নয়টা বছর বিছানায় শুয়ে থাকবে—এ কল্পনাই করা যায় না। ডাক্তার বলেছিল, ওকে হাসিখুশি রাখতে হবে। আমি তা–ই করেছি—ওর শেষনিশ্বাস পর্যন্ত। কখনো হেসেছি, কখনো কেঁদেছি ওর সঙ্গে।’

তবে কিশোর কুমারের এই বক্তব্য নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। কারণ, পরে ফিল্মফেয়ার সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একেবারে ভিন্ন কথা বলেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেন, ‘মধুবালার সঙ্গে আমি প্রেমে পড়িনি কখনো। বরং ওর প্রেমিক ছিল আমার বন্ধু দিলীপ কুমার। আমি তো শুধু ওদের বার্তা পৌঁছে দিতাম। বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়েছিল মধুবালাই। এমনকি, যখন আমার প্রথম স্ত্রী রুমা তখনো আমার সঙ্গে ছিল, তখনো মধু বলত, “ওকে কখনো ছেড়ো না, না হলে আমি তোমার হয়ে যাব।”’

আরও পড়ুনকিশোর কুমার কি সত্যিই ঘরে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন২৭ মে ২০২৫

মধুবালার পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, চিকিৎসকেরা তখন বলেছিলেন, অভিনেত্রীর পক্ষে শারীরিক সম্পর্ক কিংবা সন্তানধারণ কোনো কিছুই সম্ভব নয়। সেই বাস্তবতা হয়তো প্রভাব ফেলেছিল কিশোরের সিদ্ধান্তে। এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, ‘আমরা বলছি না কিশোরদা ভুল করেছিলেন। ডাক্তার তো স্পষ্ট বলেছিল—শারীরিক সম্পর্ক বা সন্তান কোনোটাই সম্ভব নয়। তবে একজন নারীর তো মানসিক সঙ্গীও দরকার হয়।’
ওই ঘনিষ্ঠজন আরও জানান, কিশোর কুমার তিন মাসে একবার আসতেন মাত্র। বলতেন, ‘আমি এলে তুমি কাঁদবে, আর এতে তোমার হৃদ্‌যন্ত্রের ক্ষতি হবে। তুমি বিষণ্ন হয়ে পড়বে।’ সে সময় মধু অনেক ছোট ছিলেন, ঈর্ষাও ছিল স্বাভাবিক। হয়তো এ দূরত্বই ধীরে ধীরে তাঁকে শেষ করে দিয়েছিল।
১৯৬৯ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বলিউড অভিনেত্রী মধুবালা

সম্পর্কিত নিবন্ধ