বাংলাদেশ আমার সেকেন্ড হোম, বাটার চিকেন সুস্বাদু: মাসাকাদজা
Published: 21st, April 2025 GMT
দুই বছর পর টেস্ট দলে প্রত্যাবর্তন দারুণভাবে রাঙিয়েছেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪ মেডেনে ২১ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন। মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হকের উইকেটের পর তার পকেটে ঢুকেছে তাইজুলের উইকেট। জানিয়ে রাখা ভালো, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও সিঙ্গি মাসাকাদজার ছোট ভাই ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।
২০১৮ সালে সিলেটে টেস্ট ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে পা রেখেছিলেন মাসাকাদজা। যদিও এরপর খুব বেশি টেস্ট খেলা হয়নি তার। ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্ট। দুই বছর বাইরে থাকার পর আবার সিলেটেই তার ফিরে আসা। ৩১ বছর বয়সী এই স্পিনার অনুভব করেন, বাংলাদেশ তার সেকেন্ড হোম। ফিরে এসে আনন্দ পান। পছন্দ করেন বাংলাদেশের খাবারও।
সোমবার টেস্টের দ্বিতীয় দিনের সকালে ব্রডকাস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাসাকাদজা বলেছেন, ‘‘নিশ্চিতভাবেই (বাংলাদেশে ফিরে ভালো লাগে) । আমি অনুভব করি এটা আমার সেকেন্ড হোম। বিশেষ করে স্পিনার হিসেবে এখানকার কন্ডিশন বেশ মানানসই। তারা সুবিধা পেয়ে থাকে। এখানের বাটার চিকেনও সুস্বাদু।’’
‘‘হ্যাঁ, নিশ্চিতভাবেই এটা দারুণ কিছু (বাংলাদেশে ফেরা) । আমার টেস্ট অভিষেক এখানে হয়েছিল। যেই প্রান্ত থেকে বোলিং শুরু করেছিলাম সেখান থেকেই গতকাল করেছিলাম। কয়েক বছর টেস্ট ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাচ্ছিলাম না। এখন ফিরে এসে ভালো কিছু করেছি যা ভালো লাগছে।’’ – যোগ করেন মাসাকাদজা।
মুশফিকুর ও মুমিনুলকে ফেরাতে দুর্দান্ত কোনো ডেলিভারী করতে হয়নি মাসাকাদজাকে। মুশফিক লেন্থ বল উড়াতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন। মুমিনুল ফিফটি ছোঁয়ার পর হাওয়ায় ভাসানো বল স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিড উইকেটেই ক্যাচ দেন। এছাড়া তাইজুল বল পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।
উইকেটের সহায়তা পেয়ে ভালো করায় উচ্ছ্বসিত মাসাকাদজা, ‘‘আমরা এই উইকেটে সঠিক লাইনে বলটা করতে চেয়েছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম এখানে সিমারদের জন্য কিছু সাহায্য থাকবে। সেরকমই হয়েছে। সেই সাথে আমরা স্পিনাররা কিছু উইকেট পেয়েছি যা নিশ্চিতভাবেই দারুণ সংকেত।’’
সিলেট/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?