নারায়ণগঞ্জে তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগর ভবনের সামনে তিন দফা দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।

দাবিগুলো হলো নিরবচ্ছিন্নভাবে ওয়াসার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, সরকারি হাসপাতালে ভোগান্তি ছাড়া চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণ, শহরের প্রধান সড়কে যানজট নিরসন এবং সিটি করপোরেশনের কাজের স্থবিরতা দূর করা। কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি মোহাম্মদ নূর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সামছুল আলম ও প্রচার সম্পাদক বিল্লাল খান।

বক্তারা বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নগরীতে যানজট লেগে থাকে। প্রধান সড়কে ড্রেনেজ কাজ ধীরগতিতে হওয়ায় এবং অব্যবস্থাপনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি বাড়ছে। ওয়াসার পানির চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা হচ্ছে না, আর সরবরাহকৃত পানিতে রয়েছে ময়লা ও দুর্গন্ধ।

মাসুম বিল্লাহ বলেন, নগরের যানজটের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় নালা ও রাস্তার কাজ চার-পাঁচ মাস ধরে অর্ধেক করে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে নালাগুলো ময়লায় ভরাট হয়ে পড়ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বর্ষার আগেই দ্রুত এসব কাজ সম্পন্ন করে নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবে সিটি করপোরেশনের কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘তিন দফা দাবির পক্ষে নগরবাসীর স্বার্থে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। এক সপ্তাহের মধ্যে সেগুলোর সমাধান না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। প্রয়োজনে নগর ভবন ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচিও দেওয়া হতে পারে।’

মানববন্ধন শেষে ওই দাবিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেনের কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলনের নেতারা আমাদের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। আমরা বিষয়গুলো নোট করে নিয়েছি। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ সরবর হ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

গ্যাস সংকট

রাজধানী ঢাকার একটি ঘনবসতিপূর্ণ শনির আখড়ায় গ্যাস সংকট এখন নিয়মিত ভোগান্তির নাম। ভোর থেকে দুপুর—কখনো কখনো পুরো দিন গ্যাসের দেখা মেলে না। এর ফলে রান্না, দৈনন্দিন জীবনযাপন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

আমরা যারা সকালবেলা অফিস, স্কুল বা কলেজে যাবার আগে তড়িঘড়ি করে রান্না সেরে বের হওয়ার চেষ্টা করি, তাদের জন্য গ্যাস না থাকা মানেই বিশৃঙ্খল একটি দিন। একদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন দাম, অন্যদিকে গ্যাস না থাকায় বিকল্প ব্যবস্থায় রান্না করতে গিয়ে বেড়ে যাচ্ছে বাড়তি খরচ। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন গৃহিণী ও কর্মজীবী নারীরা।

সবচেয়ে হতাশাজনক বিষয় হলো, আমরা নিয়মিত মাসিক বিল পরিশোধ করেও সে অনুযায়ী সেবা পাচ্ছি না। কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই দিনের পর দিন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে। কবে আসবে, কখন বন্ধ থাকবে—এমন কোনো সময়সূচিও জানানো হয় না। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের তরফ থেকেও পাওয়া যায় না সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা বা সমাধানের আশ্বাস।

গ্যাস না থাকায় অনেকেই বাধ্য হয়ে সিলিন্ডার ব্যবহারে ঝুঁকছেন। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি ও অতিরিক্ত ব্যয় বহনের কারণে এটি নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য কোনো টেকসই সমাধান নয়। বারবার সিলিন্ডার ভরানো এবং নিয়মিত হারে খরচ চালানো এই শ্রেণির জন্য প্রায় অসম্ভব। এ অবস্থায়, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ জোরদার করে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

গ্যাস সরবরাহে ঘাটতি থাকলে তা আগেভাগে জানিয়ে সময়সূচি প্রকাশ করতে হবে, যাতে মানুষ প্রস্তুতি নিতে পারে। মাসিক বিলের বিপরীতে ন্যায্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি এলাকার জন্য সমস্যা নিরসনে হটলাইন চালু করতে হবে, যেখানে তাৎক্ষণিক অভিযোগ জানানো সম্ভব হবে।

নুসরাত অপর্ণা

শনিরআখড়া, ঢাকা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইরানের ভুলে আজারবাইজান যেভাবে ইসরায়েলের দিকে ঝুঁকে পড়ল
  • গাজায় দুর্ভিক্ষের অংক
  • গ্যাস সংকট
  • ২৫ শতাংশ শুল্কে ভারতে যেসব খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে
  • কাফকো সার কারখানায় গ্যাস বিক্রির চুক্তি সই
  • না’গঞ্জে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মানববন্ধন : হুশিয়ারী
  • না’গঞ্জে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মানববন্ধন, হুশিয়ারী
  • পাবনায় আগাম পাটের বাজার চড়া, বেশি দাম পেয়ে কৃষক খুশি
  • পায়রা বন্দরসহ দুই প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন
  • ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধে জয় হচ্ছে বোয়িংয়ের