ভাগাড়ে কুড়িয়ে পাওয়া একটি অসুস্থ শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম। গতকাল বুধবার সকালে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শিশুটিকে দেখতে গিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন। শিশুটির চিকিৎসা ব্যয় বাবদ তিনি তাৎক্ষণিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অর্থ সহায়তা দেন।

সাভারের বংশী নদীর পারে ভাগাড়ে কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটি অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন ধরে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার হৃদযন্ত্রে ছিদ্র পাওয়া গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

বিএনপি নেতা খোরশেদ আলম জানান, তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে অসুস্থ শিশুটির পাশে দাঁড়ানোর জন্য মানবিক সহায়তা দিয়েছেন। পাশাপাশি শিশুটির হৃদপিণ্ডে অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। চিকিৎসার যাবতীয় খরচ তারাই বহন করবেন বলে জানান তিনি।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি সাভারের বংশী নদীর তীরের ভাগাড় থেকে কুড়িয়ে পাওয়া দুই মাসের অসুস্থ এক মেয়ে শিশুকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয় বৃদ্ধা কামরুন্নাহার। অসুস্থ থাকায় শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য ওই সময়ই এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই শিশুটির চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু চিকিৎসকরা শিশুটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন তার হৃদপিণ্ডে ছিদ্র রয়েছে। এর চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল বলে হাসপাতালেই পড়েছিল শিশুটি। খবরটি গত কয়েকদিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নজরে আসে বিএনপি নেতা খোরশেদ আলমের। বুধবার সকালে তিনি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শিশুটির চিকিৎসার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাজমুল হাসান অভি, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি তমিজ উদ্দিন, এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিইও নাজিমুদ্দিনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ র জন য ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) আইটি গেট সংলগ্ন বিএনপি নেতার দলীয় কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ইমদাদুল নামে এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মামুন শেখ (৪৫) ও মিজানুর রহমান নামে দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

রবিবার (২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ খায়রুল বাশার।

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু

নবীনগরে গুলিবিদ্ধ ৩

তিনি বলেন, ‍“ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। তার ভেতর ভুসি রাখা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এর ভেতরেই বোমা নিয়ে আসা হয়েছিল।” পেশাদার কিলারের সম্পৃক্তা থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন ওসি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৯টার দিকে বিএনপি নেতা মামুন শেখ স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে অফিসে বসেছিলেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুইটি বোমা ও চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। পরে নেতাকর্মী ও স্বজনরা গুরুতর আহত মামুনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

খানজাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান বলেন, “যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন শেখকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”

যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর শওকত হোসেন হিট্টু বলেন, “ঘটনার সময় আমি ফুলবাড়িগেটে ছিলাম। শুনেছি, আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ