ভাগাড়ে পাওয়া শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন বিএনপি নেতা
Published: 24th, April 2025 GMT
ভাগাড়ে কুড়িয়ে পাওয়া একটি অসুস্থ শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম। গতকাল বুধবার সকালে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শিশুটিকে দেখতে গিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন। শিশুটির চিকিৎসা ব্যয় বাবদ তিনি তাৎক্ষণিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অর্থ সহায়তা দেন।
সাভারের বংশী নদীর পারে ভাগাড়ে কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটি অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন ধরে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার হৃদযন্ত্রে ছিদ্র পাওয়া গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
বিএনপি নেতা খোরশেদ আলম জানান, তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে অসুস্থ শিশুটির পাশে দাঁড়ানোর জন্য মানবিক সহায়তা দিয়েছেন। পাশাপাশি শিশুটির হৃদপিণ্ডে অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। চিকিৎসার যাবতীয় খরচ তারাই বহন করবেন বলে জানান তিনি।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি সাভারের বংশী নদীর তীরের ভাগাড় থেকে কুড়িয়ে পাওয়া দুই মাসের অসুস্থ এক মেয়ে শিশুকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয় বৃদ্ধা কামরুন্নাহার। অসুস্থ থাকায় শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য ওই সময়ই এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই শিশুটির চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু চিকিৎসকরা শিশুটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন তার হৃদপিণ্ডে ছিদ্র রয়েছে। এর চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল বলে হাসপাতালেই পড়েছিল শিশুটি। খবরটি গত কয়েকদিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নজরে আসে বিএনপি নেতা খোরশেদ আলমের। বুধবার সকালে তিনি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শিশুটির চিকিৎসার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাজমুল হাসান অভি, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি তমিজ উদ্দিন, এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিইও নাজিমুদ্দিনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জামায়াত আমিরের হার্টে ৩ ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের হৃদযন্ত্রে তিনটি বড় ব্লক ধরা পড়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শে তার বাইপাস সার্জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন তিনি ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, চিকিৎসক দলের প্রধান কার্ডিওলজিস্ট ডা. মমিনুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে গতকাল বিকেলে ৪টায় তাঁর এনজিওগ্রাম করা হয়। পরীক্ষায় দেখা যায়, হৃদযন্ত্রে রয়েছে তিনটি বড় ব্লক। বাইপাস সার্জারিই সর্বোত্তম চিকিৎসা হিসেবে বিবেচনা করছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ডা. শফিকুর রহমান। প্রথমবার পড়ে যাওয়ার পর উঠে দাঁড়িয়ে আবার বক্তব্য শুরু করলেও দ্বিতীয়বার পড়ে গেলে আর দাঁড়াতে পারেননি। পরে তাকে দ্রুত ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেদিন গুরুতর কিছু ধরা না পড়ায় তিনি বাসায় ফিরে যান।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে ৩০ জুলাই সকালে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরই ধরা পড়ে হার্টের তিনটি ব্লক।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানান, চিকিৎসকরা আরো কিছু পরীক্ষা করছেন। সেগুলোর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই বাইপাস সার্জারির সময় নির্ধারণ করা হবে।
ডা. শফিকুর রহমানের পিএস মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আরো জানান, বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল। সার্জারির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, তবে এখনো নির্দিষ্ট তারিখ চূড়ান্ত হয়নি।
ঢাকা/কেএন/ইভা