মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ইউক্রেনের উপর বুধবার রাতে রুশ হামলায় ‘খুশি নন।’ বৃহস্পতিবার ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথে এক পোস্টে এ কথা বলেছেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প লিখেছেন, “ভ্লাদিমির, থামো... শান্তি চুক্তি সম্পন্ন করা যাক।”

রাশিয়ার সর্বশেষ আক্রমণটি গত বছরের ৮ জুলাইয়ের পর থেকে ইউক্রেনের রাজধানীতে সবচেয়ে মারাত্মক ছিল। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছে।

রাশিয়া শান্তিচুক্তির শর্ত হিসেবে ক্রিমিয়ার ওপর মস্কোর নিয়ন্ত্রণকে স্বীকৃতি দিতে ইউক্রেনের প্রতি দাবি জানিয়েছে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। বুধবার ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ক্রিমিয়ার উপর রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণকে স্বীকৃতি না দিয়ে শান্তি আলোচনার ক্ষতি করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। 

ট্রাম্প লিখেছেন, “তিনি (জেলেনস্কি) শান্তিতে থাকতে পারেন অথবা পুরো দেশ হারানোর আগে আরো তিন বছর লড়াই করতে পারেন। জেলেনস্কি হলেন এমন ব্যক্তি যারা খেলার জন্য কোনো তাস নেই।”

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাতারাতি মারাত্মক হামলাগুলো ইউক্রেনের সামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে করা হয়েছে। এই হামলার মাধ্যমে তাদের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন র

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত, থানায় অভিযোগ করায় নানাকে কুপিয়ে হত্যা

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় কয়েক বখাটের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তার স্বজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীর নানা আজগর আলীকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়ভাবে বখাটে হিসেবে পরিচিত আল-আমিন নামে এক যুবক ও তার সহযোগীরা। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রায়দক্ষিণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আজগর আলী রায়দক্ষিণ গ্রামে একটি চায়ের দোকান চালাতেন। অভিযুক্ত আল-আমিন একই গ্রামের মৃত কালু প্রামাণিকের ছেলে।

পুলিশ, নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, যে শিশুটিকে উত্ত্যক্ত করত বখাটেরা, তার মা পাঁচ বছর আগে মারা যান। মেয়েটি নানা আজগর আলীর বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়ত। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে শিশুটিকে প্রায় উত্ত্যক্ত এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করত আল-আমিন। এ নিয়ে আজগর আলীসহ মেয়েটির স্বজন বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। গত সোমবার মেয়েটির নানা আজগর আলী সিংগাইর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার অভিযোগটি তদন্ত করার পর তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।    

এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় আল-আমিন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আল-আমিন চার থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে সহযোগীদের নিয়ে আজগর আলীর চায়ের দোকানে যায়। তারা বৃদ্ধ আজগর আলীকে দোকান থেকে বের করে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাটিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। হামলাকারীরা চলে গেলে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আজগর আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাতেই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আজগর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

আজগর আলীর শ্যালক নজরুল ইসলাম জানান, মাদক সেবন, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে জড়িত বখাটে আল-আমিন। 

সিংগাইর থানার ওসি তৌফিক আজম বলেন, নিহতের বড় ছেলে আইয়ুব খান বুধবার আল-আমিনকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে আল-আমিন ও তার সহযোগীরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ