আইসিসির প্রথম পূর্ণ সদস্য হিসেবে ভিন্ন একটি দেশে ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানায় যুক্ত হয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট (এনজেডসি)। ২০২৭ যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটে (এমএলসি) অভিষেক হতে যাওয়া একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির অংশ হয়েছে ক্রিকেট সংস্থাটি। আইসিসির আর কোনো সদস্য বোর্ড অন্য কোনো দেশের লিগে দলের মালিকানায় নেই।

ট্রু নর্থ স্পোর্টস ভেঞ্জার্স (টিএনএস) নামের একটি কনসোর্টিয়ামের মালিকানায় থাকা ফ্র্যাঞ্চাইজিটিতে এনজেডসি দুই ধরনের ভূমিকায় থাকবে। একটি মালিকানায় শেয়ার, আরেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ দেখভাল করা।

টিএনএসের বেশির ভাগ শেয়ারের মালিক মেজর লিগ ক্রিকেটের অন্যতম সহপ্রতিষ্ঠাতা সমির মেহতা ও বিজয় শ্রীনিবাসন। উত্তর আমেরিকাভিত্তিক ক্রিকেট সম্প্রচার চ্যানেল উইলো টিভিরও সহপ্রতিষ্ঠাতা তাঁরা।

মেজর লিগ ক্রিকেটে দুটি নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানাস্বত্ব নিয়ে রেখেছেন সমির ও বিজয়। এর একটি কানাডার টরন্টোভিত্তিক, আরেকটি যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টাভিত্তিক হবে। যার প্রথমটি চালু হবে ২০২৭ সালে।

আরও পড়ুনযে চাকরিতে ভালো না করলেও বেতন বাড়ে৯ ঘণ্টা আগে

ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ জানিয়েছে, নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির কোচিং, ম্যানেজমেন্ট, সাপোর্ট স্টাফসহ হাই পারফরম্যান্সের দিকগুলো দেখবে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট।

এ বিষয়ে এনজেডসির প্রধান নির্বাহী স্কট উইনিংক বলেছেন, ‘চুক্তিটি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের (এনজেডিসি) জন্য একটি অনন্য এবং রোমাঞ্চকর মাইলফলক। যেহেতু ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমাদের ক্রিকেট নেটওয়ার্কের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে এনজেডসিকে কৌশলগত সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে। এটি আমাদের আয়ের উৎস বৈচিত্র্যময় করে, আমাদের বৈশ্বিক ব্র্যান্ড ও অনুসারী বৃদ্ধি করে এবং আমাদের খেলোয়াড় ও কোচ উভয়ের জন্য নতুন প্রতিভা উন্নয়ন ও ধরে রাখার পথ তৈরি করতে সাহায্য করবে।’

২০২৩ সালে শুরু হওয়া মেজর লিগ ক্রিকেট গত বছর আইসিসি কর্তৃক ‘লিস্ট এ’ মর্যাদা পেয়েছে। বর্তমানে লিগটিতে ৬ দল খেলে, যা ২০২৭ সালে আট ও ২০৩১ সালে ১০ দলে উন্নীত হওয়ার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুনগুগলের সুন্দর পিচাই এবার দ্য হানড্রেডে, সঙ্গে মাইক্রোসফটের সত্য নাদেলাও১৬ জানুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ র য ঞ চ ইজ র আম দ র এনজ ড

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ