আগামী ৩ তারিখের পূর্বে নারী কমিশন প্রস্তাবনা প্রত্যাখান করার আল্টিমেটাম জানিয়ে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেন, যদি এই প্রস্তাব প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব। 

আল্লাহর কুরআনের বিরুদ্ধে ইসলামকে কটাক্ষপূর্ণ এই ধরনের সুপারিশ করার দায়ে নারী কমিশনে থাকা প্রতিটি সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। কুরআন বিরোধী কোনো অপশক্তির ঠায় বাংলাদেশে হবে না। 

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়াস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা হেফাজত ইসলামের উদ্যোগে আয়োজিত গণজমায়েতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এই আল্টিমেটাম দেন। 

আগামী ৩ মে নারী কমিশন বাতিলের দাবীতে আয়োজিত মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে এই গণজমায়েতের আয়োজন করা হয়।

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীনতা পরবর্তী এই সময়ে ব্যাপক সংস্কারের একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিগত দিনে সংবিধানে অনেক সংশোধনী এসেছে কিন্তু কখনও সংবিধান সংস্কারের আওয়াজ উঠেনি।

জুলাই এবং আগস্ট বিপ্লবের দুই হাজার তাজা প্রাণের বিনিময়ে গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে এবং অন্তবর্তীকালিন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সরকারের অন্যতম একটি মহতী উদ্যোগ হলো সংবিধান সহ বিভিন্ন ধরণের সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করা। 

তিনি বলেন, আমরা এই সকল সংস্কার কার্যক্রমকে শুরু থেকেই সাধুবাদ জানিয়েছি। ৬ টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রস্তবনাকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। এতে প্রতীয়মান হয় ফেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ এবং দেশের আলেম সমাজ বাংলাদেশের বর্তমান সংস্কার কার্যক্রমের সবচেয়ে বড় সহযোগী শক্তি। 

কিন্তু দুঃখের বিষয় বিগত ১৯ এপ্রিল নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে, এটাকে আমরা স্বাগত জানাবো দূরের কথা বাংলাদেশের আলেম সমাজ বিস্মিত হয়েছি। আমরা এখন পর্যন্ত কল্পনা করতে পারছি না, আগস্ট বিপ্লব পরবর্তী সময়ে এ ধরণের কুরআন বিরোধী প্রদক্ষেপের প্রস্তাব উত্থাপিত হতে পারে। 

তিনি আরও বলেন, তাদের প্রস্তাবনায় বাংলাদেশে নারীর প্রতি বৈষম্যের জন্য কুরআনের আইনকে এবং ইসলামের আইনকে বেশি দায়ী করেছে। অথচ সকল বৈষম্য দূর করে ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কুরআন নাযিল হয়েছে। আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করার ধৃষ্টতাবরদাশত করতে প্রস্তুত নই। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, কিছুদিন আগে ড.

ইউনুস আমাদের সাথে আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। আজ তাকে পুলিশ বেষ্টনিতে পাহারা দেয়া হয়। আমরাই তাকে এখানে পৌঁছে দিয়েছি। পরিস্কার ভাষায় বলছি, এমন ফুঁ আমরা জানি আগামী ৩ তারিখের পর আপনাকে ইঁদুর বানিয়ে ছেড়ে দেয়া হবে।  

নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজত ইসলামের সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, মহানগর সভাপতি মুফতি হারুনুর রশিদ প্রমুখ।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ প রস ত ব ইসল ম র ক রআন

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় বসতবাড়িতে হামলা ও লুটপাট, থানায় অভিযোগ

সিদ্ধিরগঞ্জে মাদক সেবনে ও মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় এক বসত বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য ও মাদক ব্যবসায়ীরা।

গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টার সময় নাসিক ১নং ওয়ার্ডের পাইনাদী পূর্ব পাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কামরুন নাহার শারমিন বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০/৩০ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্তরা হলেন, নাসিক ১নং ওয়ার্ডের সিআই খোলা এলাকার কালামের ছেলে মো. সাগর (২৩), মো. জাকির হোসেনের ছেলে কিশোর গ্যং লিডার মো. জিহাদ (২৪) ও বিশেষ পেশার পরিচয়দানকারী মো. শরীফ (২৩)।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা গত শুক্রবার সকালে উক্ত বসত বাড়ির পিছনে মাদক সেবন ও ক্রয় বিক্রয় করতে ছিলো। উক্ত ঘটনা দেখে ভুক্তভোগীর স্বামী তাদের মাদক সেবন ও ক্রয় বিক্রয়ে বাধা প্রধান করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। 

এরই জের ধরে শুক্রবার রাতে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর বাসায় ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে ৩নং অভিযুক্ত বিশেষ পেশার পরিচয় দিলে ভুক্তভোগী বাসার মেইন গেট খুলে দেয়। 

পরবর্তীতে অভিুক্তরাসহ অজ্ঞাত আরও ২০/২৫ জন কিশোর গ্যাং সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাসায় ঢুকে বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে ঘরে থাকা নগদ ১ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এবং যাওয়ার সময় ভুক্তভোগীর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন অভিযুক্তরা। 

পাশাপাশি এ ঘটনায় কোনো আইনি ব্যবস্থা নিলে প্রাণ নাশের হুমকি প্রধান করে চলে যায় তারা। 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাইনাদী পূর্বপাড়া, সি আই খোলা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সেল্ডার দাতা ও মাদক ব্যবসা পরিচালনা করতো চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রতন।

মাদক মামলায় রতন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে আছে। পরবর্তীতে মাদক ব্যবসায়ী রতনের পাইনাদী পূর্বপাড়া, সি আই খোলা এলাকায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান ও সাবেক কাউন্সিলর ওমর ফারুকের এর ঘনিষ্ট সহচর আতাহার আলী এর নাতি সাগর, জিহাদ, শরিফসহ অজ্ঞাতরা মাদক ব্যবসা বীরদর্পে পরিচালনা করে আসছে।

এলাকাবাসী বলছে এক মাদক ব্যবসায়ী জেল হাজতে গেলেও, এখন দেখি নতুন করে সাগর সিন্ডিকেট মাদক ব্যবসা এবং কিশোর গ্যাং পরিচালনা করে এলাকায়। 

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এএসআই রাশেদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। অভিযুক্তরা ঘটনার সাথে জড়িত তারা ওই বাসায় গিয়েছিলো। কিন্তু টাকা নেয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তার প্রমান এখনো পাইনি। তদন্ত চলমান বলেও জানান তিনি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সেল্টাকে হারিয়ে শিরোপা দৌড়ে বার্সাকে চাপে রাখলো রিয়াল
  • শ্রদ্ধার আকাশচুম্বী পারিশ্রমিক
  • শিক্ষক সমিতির আন্দোলন: কুয়েটের অচলাবস্থা নিরসন নিয়ে অনিশ্চয়তা
  • বাবা-মা হতে যাচ্ছেন নাগা-শোভিতা?
  • গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নেতানিয়াহুর ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান কাতারের
  • চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল শুনানি আজ
  • সিদ্ধিরগঞ্জে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় বসতবাড়িতে হামলা ও লুটপাট, থানায় অভিযোগ
  • কুয়েটে ক্লাস শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তা
  • সাত অঞ্চলে ঝড়ো বৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত
  • ১৬ বছর গণমাধ্যমের ভূমিকা মূল্যায়নে জাতিসংঘের সহযোগিতা চাওয়া হবে