বান্দরবানে প্রথমবারে মতো ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ হিল ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ম্যারাথন ৩০০ জন প্রতিযোগী অংশ নেন । 

শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টায় রাজার মাঠ থেকে শুরু হয়ে সুয়ালক আনসার ক্যাম্প পর্যন্ত গিয়ে আবার রাজার মাঠে ফিরে সকাল ১০টায় শেষ হয় এই ম্যারাথন।

বান্দরবান স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট ফোরাম ও বান্দরবান হিল রার্নাস এর যৌথ আয়োজনে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ, বান্দরবান সেনা রিজিয়ন, সদর সেনা জোন ও জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতায় এই প্রথমবারের মতো হিল ম্যারাথন অনুষ্টিত হলো। 

সকালে এই হিল ম্যারাথন উদ্বোধন করেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট উবাথোয়াই মারমা।

ম্যারাথনে প্রথম স্থান অর্জন করেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানার আশরাফুল আলম, তিনি ১ ঘণ্টা ২২ মিনিট সময় নিয়ে ম্যারাথন শেষ করেন। দ্বিতীয় হয়েছেন খুলনা সদরের পলাশ শেখ, তিনি শেষ করেন ১ ঘণ্টা ২৮ মিনিটে এবং তৃতীয় হয়েছেন সুনামগঞ্জের রায়হান উদ্দিন ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিটে দৌড় শেষ করেন।

আশরাফুল আলম জানান, তিনি এর আগে ১৩০ বারেরও বেশি দেশি ও আন্তর্জাতিক ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেছেন এবং ভারতে ৪২ কিলোমিটার ম্যারাথনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। 

এই ম্যারাথনে নারী অংশ নেন ৮ জন। তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তার জুলি জানান, তিনি সাধারণ নারীদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন। এবারই প্রথম তিনি পাহাড়ি এলাকায় ম্যারাথনে অংশ নেন। এর আগে তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ১২ বার ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেছেন।

সবচেয়ে বয়স্ক প্রতিযোগী ছিলেন গাজীপুর থেকে আসা ৭৮ বছর বয়সী আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া। তিনি এর আগে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৪২ বার ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন। হিল ম্যারাথনে এটি তার দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণ। 

ম্যারাথন শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট উবাথোয়াই মারমা, নাছির উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, অধ্যাপক মো.

ওসমান গণি, বান্দরবান স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট ফোরাম এর সভাপতি অংচ মং মারমা ও মো. সোহেল প্রমুখ।

ঢাকা/চাই মং/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ন দরব ন হয় ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব

সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।

বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।

সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।

আরো পড়ুন:

যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ

পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার

কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।

এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।

এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশ গড়ার নায়কদের জন্য ফ্লাইট এক্সপার্টের বিশেষ উদ্যোগ
  • প্রথমবারের মতো দেশে সংযোজিত এসইউভি গাড়ি আনল প্রোটন
  • এক সপ্তাহে এভারেস্ট জয় কি সত্যিই সম্ভব
  • সম্পর্কের ৫০ বছর: বাংলাদেশে প্রথমবার চীনা ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী
  • জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
  • বন্ধু রাশিয়াকে সাহায্য করতে সেনা পাঠায় উত্তর কোরিয়া