নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে : খেলাফত মজলিস
Published: 26th, April 2025 GMT
ইসলাম বিদ্বেষী নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল ও ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
খেলাফত মজলিস নেতৃবৃন্দ বলেছেন- নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তার ১০ টির মত প্রস্তাবনা সরাসরি কুরআনের বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। কমিশনের প্রতিবেদনে মুসলিম উত্তরাধিকার আইন বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে।
মুসলিম পারিবারিক আইন সংস্কার করে সকল ধর্মের জন্য অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে যেখানে বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার ও ভরণপোষণে নারী-পুরুষের কথিত সমান অধিকার থাকবে। স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করতে পারবে।
যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব প্রস্তাবনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যকর করারও প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন- আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, দেশের স্বার্থে, ইসলামের স্বার্থে এবং নারীদের স্বার্থে এই কমিশন বাতিল করতে হবে। কারণ, দেশের মানুষের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এই কমিশন দাঁড়িয়েছে। তারা পরিবার ও সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরির অপচেষ্টা করছে। পাশ্চাত্য জীবন দর্শনে প্রভাবিত কমিশনের এসব সদস্যরা বাংলাদেশের নারীদের সর্বসাধারণের আদৌ প্রতিনিধিত্ব করেন না।
এরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তাদের প্রস্তাবনাসমূহ মেনে নিলে তা হবে ইসলাম ও মুসলিম পরিচয়ের অস্তিত্বের উপর একটি সুপরিকল্পিত আঘাত। কমিশনের এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। এই কমিশন বাতিল ঘোষণা দেওয়া পর্যন্ত সকলকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
সম্প্রতি ভারতে ওয়াক্ফ আইন সংস্কারের মাধ্যমে মুসলিমদের সম্পত্তি উচ্ছেদ ও বাজেয়াপ্ত করছে বিজেপি সরকার। কাশ্মীরের মুসলমানদের উপর ফিলিস্তিনের গাজার মত গণহত্যা চালানোর জন্য বিজেপি নেতারা উস্কানি দিচ্ছে। আমরা ভারতীয় মুসলমানদের উপর উগ্রবাদী হিন্দুত্ববাদের সকল আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানাই।
ভারত সরকারকে তার নিজ দেশের সংখ্যালঘু মুসলমানদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানাই। বাদ জুমা খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ মহানগর আয়োজিত ইসলাম বিদ্বেষী নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল ও ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
২৫ এপ্রিল বাদ জুমআ নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরে খেলাফত মজলিসের মহানগর সভাপতি হাফেজ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে ও মহানগর সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতী শেখ শাব্বীর আহমাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- খেলাফত মজলিসের মহানগর সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আহমদ, জেলা সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, ফতুল্লা থানা সভাপতি কামরুল হাসান পায়েল, সদর থানা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হাফেজ আওলাদ, ফতুল্লা থানা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শরীফ মাহমুদ, ইসলামী যুব মজলিসের মহানগর সভাপতি ডাঃ মোতাহার হুসাইন, ইসলামী ছাত্র মজলিসের মহানগর সভাপতি মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ, প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল ডিআইটি মসজিদের সামনে এসে সমাপ্ত হয়।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ র প রস ত ব ত ব কর ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।