শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গত ২৫ এপ্রিল রাতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদকে অব্যাহত দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শনিবার বিকেল পর্যন্ত তিনি বাসভবনেই অবস্থান করছিলেন। এদিকে এর আগ পর্যন্ত উপাচার্য পদে দায়িত্ব পালনে অনড় অবস্থানে ছিলেন অধ্যাপক মাছুদ। কিন্তু সরকারের কঠোর অবস্থান বুঝতে পেরে নিজের পছন্দের ১১ কর্মচারী ও ৪ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন দপ্তরে বদলি ও পদায়ন করেন।

এছাড়া ফজলুল হক হলের প্রভোস্টকে বাদ দিয়ে নতুন প্রভোস্ট নিয়োগ, কেন্দ্রীয় কম্পিউটার সেলের প্রধানকে বাদ দিয়ে নতুন প্রধান নিয়োগ এবং মেকানিক্যাল বিভাগের প্রধানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। গত ২৩ এপ্রিল তারিখে এসব অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।

তবে কুয়েটের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার নিজ বাসভবনে অফিস করেন উপাচার্য। মূলত ওই সময়ই এসব নথিতে স্বাক্ষর করেন তিনি। তার নির্দেশেই ২৩ এপ্রিল তারিখে অফিস আদেশ জারি করা হয়। গত শুক্রবার রাতে এসব আদেশ সম্পর্কে জানতে পারেন সবাই।

কুয়েটের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিছুর রহমান ভূঞার স্বাক্ষর করা অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, সিনিয়র নিরাপত্তা গার্ড (গ্রেড-১৪) মো.

আবুল হোসেনকে বিইসিএম বিভাগে, আতাউর রহমানকে মেডিকেল সেন্টারে, মনির হোসেনকে ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের দপ্তরে, বেল্লাল হোসেনকে আর্কিটেকচার বিভাগে, অফিস সহায়ক বিপুল কান্তি ঘোষকে রেজিস্ট্রারের দপ্তরে, মো. আবদুল্লাহকে এমইর ডিনের দপ্তরে, ভিসির ল্যাব এ্যাটেনডেন্ট কামাল হোসেনকে এমই বিভাগে, গার্ডেনার নূর ইসলামকে অমর একুশে হলে, অফিস সহায়ক আবদুল্লাহ আল ওমর ফারুক শুভকে এমই বিভাগে, মো. হালিমকে পিআর বিভাগে, হাসিবুল মিয়াকে সিএসই বিভাগে বদলি করা হয়েছে।

কর্মকর্তাদের মধ্যে ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. মনিরুজ্জামানকে এমইআরসি বিভাগে, জনসংযোগ বিভাগের সেকশন অফিসার শাহেদুজ্জামান শেখকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে, সেকশন অফিসার আজিজুর রহমানকে এমই বিভাগে, সেখ হাফিজুর রহমানকে রেজিস্ট্রারের দপ্তরে বদলি করা হয়েছে।

কর্মকর্তারা জানান, মো. মনিরুজ্জামানকে বিধি বহির্ভূতভাবে পদোন্নতি দিয়ে রেজিস্ট্রারের দপ্তরে পদায়ন করা হয়। পরে তার নেতৃত্বেই গত ৮ মাসে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে ৪২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই কাজে সহযোগিতা করেন আতাউর রহমান মোড়ল ও তার ভাই ইমাদাদুল হক মোড়ল।

একই তারিখে পৃথক আরেক অফিস আদেশে ফজলুল হক হলের প্রভোস্ট ড. এ বি এম আওলাম হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ওই হলে প্রভোস্ট পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ইলেট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহানকে।

কেন্দ্রীয় কম্পিউটার সেন্টারের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আরাফাত হোসেনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ওই পদে ইলেট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

২৪ এপ্রিল থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। আরেক আদেশে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তাফিজুর রহমানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। 

এ বিষয়ে কুয়েটের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিছুর রহমান ভূঞার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপ চ র য র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

অসুস্থ যুবদল নেতা শহিদুলকে দেখতে তার বাসভবনে ছুটে গেলেন সজল ও সাহেদ

\নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য অসুস্থ মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামকে দেখতে তার বাসভবনে ছুটে গেলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদসহ যুবদলের নেতৃবৃন্দ।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১ নম্বার ওয়ার্ডের মিজমিজি বাতেন পাড়াস্থ অসুস্থ যুবদল নেতা শহিদুল ইসলামের বাসভবনে যান মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ। এসময়ে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন এবং তার ও শারীরিক সুস্থতার জন্য দোয়া করেন।

এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক বন ও পরিবেশ সম্পাদক মো. ওসমান গনি, নাসিক ৭ নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. সোহেল, ১নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম ভুট্টু, ৭নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. রুবেল, ১নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. জাহিদ, ১নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. রুবেল, নাসিক ১নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. হাসান, মো. সাগর হোসেনসহ যুবদলের নেতৃবৃন্দ।##

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উন্নয়ন বৈষম্যের প্রতিবাদে সিলেটবাসীর গণঅবস্থান
  • অসুস্থ যুবদল নেতা শহিদুলকে দেখতে তার বাসভবনে ছুটে গেলেন সজল ও সাহেদ
  • ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য অ্যান্ড্রুর প্রিন্স উপাধি বাতিল, ছাড়তে হবে রাজকীয় বাড়িও