এ. কে. ফজলুল হকের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে: তারেক রহমান
Published: 27th, April 2025 GMT
দেশ ও জাতির কল্যাণে অবদানের জন্য ইতিহাসের পাতায় এ. কে. ফজলুল হকের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রোববার এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, আমাদের জাতীয় ইতিহাসে শেরে বাংলা ফজলুল হক ছিলেন এক অনন্য প্রতিভার অধিকারী। স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিকবোধ সৃষ্টিতে তার অসামান্য অবদানের কথা এদেশের মানুষের মন থেকে কোনদিনই বিস্মৃত হবে না। তার অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা আগামী প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। দেশ এবং জাতির কল্যাণে অবদানের জন্য ইতিহাসের পাতায় তাঁর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
জাতীয় নেতা শেরে বাংলা এ.
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ঋণ সালিশী বোর্ড গঠনের মাধ্যমে বাংলার শোষিত ও নির্যাতিত কৃষককুলকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছিলেন। তিনি বঙ্গীয় চাকরি নিয়োগবিধি, প্রজাস্বত্ব আইন, মহাজনি আইন, দোকান কর্মচারী আইন প্রণয়ন করেন, যা এ অঞ্চলের অবহেলিত কৃষক-শ্রমিকের ভাগ্যোন্নয়নে যুগান্তকারী অবদান রেখেছে। আমি মহান নেতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতীয় নেতা শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। এদেশের মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ে ফজলুল হকের অবদানের কথা কোনদিনই ভুলবে না। শিক্ষানুরাগী এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কিংবদন্তী হিসেবেও ইতিহাসের পাতায় তার রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
তিনি বলেন, ঔপনেবিশিক শক্তির অমানবিক, অন্যায় ও চাপিয়ে দেয়া কঠোর শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার সংগ্রামে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে ইতিহাসে অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন। এদেশের কৃষক সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে ঋণ সালিশী বোর্ড গঠন তার একটি যুগান্তকারী ও ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।
তিনি ছিলেন বহুগুণে গুনান্বিত অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী একজন মহান ব্যক্তিত্ব। আমাদের জাতীয় ইতিহাসে তার অবদানের গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি দেশ এবং জাতির কল্যাণে অবদানের জন্য তিনি ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন অবদ ন র র জন য র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি