সাতক্ষীরায় পৃথক দুর্ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাড়ি ও শ্যামনগর উপজেলার তারানপুরে এদুটি দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি ইউনিয়নের কাকডাঙ্গা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে নাঈম হাসান (১৮) এবং শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের তারানপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মাও.
নিহত নাঈম হোসেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং ফজলুর রহমান শ্যামনগর উপজেলার দরগাহপুর এনডিএস মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক।
কেড়াগাছি গ্রামের শহীদুল ইসলাম জানান, তার ছেলে নাঈম হাসান ২০২০ সালে সেনাবাহিনীতে চাকরি পাওয়ার পর রাজশাহীতে চার মাস প্রশিক্ষণ দিয়ে বাড়ি চলে আসে। বর্তমানে সে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশুনা করার পাশপাশি সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের মোহরার হিসেবে কাজ করতেন।
প্রতিদিনের মতো সোমবার সকালে সে কর্মস্থলে আসার উদ্দেশ্যে মোটর সাইকেল যোগে বাড়ি থেকে বের হয়। পথিমধ্যে আগরদাড়ি মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সামনে পৌঁছালে সাতক্ষীরা থেকে বাঁশদহাগামি একটি পণ্যভর্তি ট্রাক (যার নাম্বার যশোর-ট-১১-১৬৫৬) তার মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘেষেণা করেন। বিক্ষুদ্ধ জনতা এসময় ঘাতক ট্রাকটি আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক রাশেদুজ্জামান জানান, হাসপাতালের আনার আগেই নাঈমের মৃত্যু হয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামিনুল হক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, শ্যামনগরের তারানপুর গ্রামে বিদ্যুৎ স্পর্শে মাওলানা ফজলুর রহমান নামে এক মাদ্রাসা প্রভাষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টার দিকে নিজ বাড়ির প্রাচীরে মোটর দিয়ে পানি দেওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কারো কোন অভিযোগ না থাকায় প্রভাষক ফজলুর রহমানের মরদেহ পারিবারিকভাবে দাফন করা হয়েছে।
ঢাকা/শাহীন/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফজল র রহম ন শ য মনগর উপজ ল র দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
বিপিএলে দল নিতে চান আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের ‘রেড ফ্ল্যাগ’ তালিকায় থাকারাও
আসন্ন দ্বাদশ বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে ১১টি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখালেও প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে না পারায় তিনটি প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ বাতিল করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। বাকি আটটি প্রতিষ্ঠানের সব যে ফ্র্যাঞ্চাইজি পাবে, তা–ও নয়। এক-দুটি প্রতিষ্ঠানে থাকা মালিকদের মধ্যে দু-একজন তো আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের ‘রেড ফ্ল্যাগ’ধারী বলেও জানা গেছে।
বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল