রাজধানীর গ্রিন ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী রেজওয়ান হোসেন। গত মার্চে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসক জানান, রেজওয়ানের দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। অবিলম্বে একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা না গেলে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হবে না।

ছেলেকে বাঁচাতে মা পারুল রেখা একটি কিডনি দেবেন বলে জানিয়েছেন। তবে কিডনি প্রতিস্থাপনে প্রয়োজন প্রায় ১২ লাখ টাকা। রেজওয়ানের অসচ্ছল পরিবারের পক্ষে এই অর্থ জোগান দেওয়া সম্ভব নয়। ছেলেকে বাঁচাতে তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন পারুল।

রেজওয়ানের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে। তার বাবা আনোয়ার হোসেন অল্প বেতনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। মা বলেন, ছেলেকে বাঁচাতে নিজের একটা কিডনি দেব। কিন্তু প্রতিস্থাপনের টাকা জোগাড় করতে পারছি না। চোখের সামনে ছেলে ধুঁকে ধুঁকে মারা যাবে–এটা মা হয়ে কীভাবে মেনে নেব? এখন দেশের হৃদয়বান ব্যক্তিরা এগিয়ে এলে ছেলেকে বাঁচাতে পারব।

রেজওয়ানকে সহযোগিতা করতে ০১৭৭৩৩৫৮৪১৭ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ডন র জওয় ন

এছাড়াও পড়ুন:

৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এই সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।

জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

একই দাবিতে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ