প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফরে প্রাধান্য পাবে যেসব বিষয়
Published: 29th, April 2025 GMT
চীন ও কাতার সফরের পর আগামী মে মাসের শেষের দিকে জাপান যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফরে অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যু, মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা সমস্যা, আঞ্চলিক নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলো আলোচনায় প্রাধান্য পাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারপ্রধানের সফর নিয়ে আলোচনা করতে আগামী মাসের মাঝামাঝিতে টোকিও সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো.
ঢাকা-টোকিও’র নির্ভরযোগ্য কূটনৈতিক সূত্র জানায়, আগামী ১৫ মে জাপানের রাজধানী টোকিওতে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের আলোচনা, ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ ও জাপান। ওই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
আরো পড়ুন:
ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
বাংলাদেশে লাইসেন্স পেল ইলন মাস্কের স্টারলিংক
প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রধান উপদেষ্টার ২৯-৩১ মে জাপান সফর করার পরিকল্পনা রয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি জাপানের রাজধানী টোকিওতে দুইদিন এবং ওসাকায় একদিন অবস্থান করতে পারেন। জাপানের টোকিওতে ২৯ ও ৩০ মে নিক্কেই ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে। সেই ফোরামে অংশগ্রহণ করবেন সরকারপ্রধান।
পাশাপাশি তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। জাপান সফরকালে সরকারপ্রধান দেশটির সম্রাট যুবরাজ নারুহিতোর সাক্ষাৎ পেতে পারেন। এছাড়া, অধ্যাপক ইউনূসের ওসাকা এক্সপো পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
টোকিওতে আসন্ন এফওসি বৈঠক নিয়ে স্থানীয় কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, আগামী ১৫ মে টোকিওতে ষষ্ঠ পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের আলোচনায় বসবে বাংলাদেশ ও জাপান। সেখানে ঢাকার পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিন। অন্যদিকে, টোকিও’র পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির সিনিয়র ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার আকাহরি তাকিশি। আলোচনায় দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সামগ্রিক বিষয় থাকবে।
টোকিওতে আসন্ন এফওসি বৈঠক নিয়ে পররাষ্ট্রসচিবের সভাপতিত্বে চলতি সপ্তাহে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে জাপানের প্রস্তাবিত এবং বাংলাদেশের এজেন্ডা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি গত সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দেন। এরপর নভেম্বরে আজারবাইজানে কপ-২৯ সম্মেলনে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা। গত ডিসেম্বরে অধ্যাপক ইউনূস ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে মিসর সফর করেন।
এছাড়া, প্রধান উপদেষ্টার চীনে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। দু’দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে যৌথ বিবৃতিতে। গত সপ্তাহে আর্থনা সামিট-২০২৫ উপলক্ষে চার দিনের সফরে কাতারে যান প্রধান উপদেষ্টা।
ঢাকা/হাসান/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পরর ষ ট রসচ ব জ প ন সফর সরক র ইউন স র সফর
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেম ছিল না তবু কেন মধুবালাকে বিয়ে করেছিলেন কিশোর কুমার
দিলীপ কুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদের কিছুদিন পরই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী মধুবালা। তবে তখন তিনি ছিলেন অসুস্থ। কিশোর কুমার জানিয়েছিলেন, ভালোবাসা থেকে নয়, বরং কথা রাখতেই তিনি এ বিয়ে করেছিলেন।
মধুবালা ও দিলীপ কুমারের প্রেম নিয়ে একসময় মুখর ছিল মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু অভিনেত্রীর বাবার বাধার কারণে সে সম্পর্কে ফাটল ধরে এবং দুজনের বিচ্ছেদ ঘটে। কিছুদিন পরেই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন মধুবালা। তাঁদের এই বিয়ে অনেককে চমকে দিয়েছিল। কারণ, তাঁদের প্রেমের কথা তখনো গোপন ছিল। তবে মধুবালার শরীর তখন ভালো যাচ্ছিল না। বলা হয়, দীর্ঘ রোগভোগের সময় কিশোর কুমার তাঁকে মায়ের বাড়িতে রেখেই চলে যান।
দ্য ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেছিলেন, ‘বিয়ের আগেই জানতাম, ও খুব অসুস্থ। কিন্তু কথা তো দিয়েছিলাম। তাই সে কথা রেখেই ওকে ঘরে এনেছিলাম স্ত্রী হিসেবে। জানতাম, ওর জন্মগত হৃদ্রোগ আছে। তবু ৯ বছর ধরে সেবা করেছি। চোখের সামনেই ওকে মরতে দেখেছি। কেউ বুঝবে না এর যন্ত্রণা, না ভুগলে। ও অসম্ভব সুন্দরী ছিল। আর কত যন্ত্রণায় মারা গেছে, সেটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। হতাশায় চিৎকার করত, কান্নাকাটি করত। এত প্রাণোচ্ছল মানুষ নয়টা বছর বিছানায় শুয়ে থাকবে—এ কল্পনাই করা যায় না। ডাক্তার বলেছিল, ওকে হাসিখুশি রাখতে হবে। আমি তা–ই করেছি—ওর শেষনিশ্বাস পর্যন্ত। কখনো হেসেছি, কখনো কেঁদেছি ওর সঙ্গে।’
তবে কিশোর কুমারের এই বক্তব্য নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। কারণ, পরে ফিল্মফেয়ার সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একেবারে ভিন্ন কথা বলেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেন, ‘মধুবালার সঙ্গে আমি প্রেমে পড়িনি কখনো। বরং ওর প্রেমিক ছিল আমার বন্ধু দিলীপ কুমার। আমি তো শুধু ওদের বার্তা পৌঁছে দিতাম। বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়েছিল মধুবালাই। এমনকি, যখন আমার প্রথম স্ত্রী রুমা তখনো আমার সঙ্গে ছিল, তখনো মধু বলত, “ওকে কখনো ছেড়ো না, না হলে আমি তোমার হয়ে যাব।”’
আরও পড়ুনকিশোর কুমার কি সত্যিই ঘরে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন২৭ মে ২০২৫মধুবালার পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, চিকিৎসকেরা তখন বলেছিলেন, অভিনেত্রীর পক্ষে শারীরিক সম্পর্ক কিংবা সন্তানধারণ কোনো কিছুই সম্ভব নয়। সেই বাস্তবতা হয়তো প্রভাব ফেলেছিল কিশোরের সিদ্ধান্তে। এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, ‘আমরা বলছি না কিশোরদা ভুল করেছিলেন। ডাক্তার তো স্পষ্ট বলেছিল—শারীরিক সম্পর্ক বা সন্তান কোনোটাই সম্ভব নয়। তবে একজন নারীর তো মানসিক সঙ্গীও দরকার হয়।’
ওই ঘনিষ্ঠজন আরও জানান, কিশোর কুমার তিন মাসে একবার আসতেন মাত্র। বলতেন, ‘আমি এলে তুমি কাঁদবে, আর এতে তোমার হৃদ্যন্ত্রের ক্ষতি হবে। তুমি বিষণ্ন হয়ে পড়বে।’ সে সময় মধু অনেক ছোট ছিলেন, ঈর্ষাও ছিল স্বাভাবিক। হয়তো এ দূরত্বই ধীরে ধীরে তাঁকে শেষ করে দিয়েছিল।
১৯৬৯ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বলিউড অভিনেত্রী মধুবালা