বাংলাদেশে আইফোন ১৬ প্রো মাক্সের দাম কত?
Published: 29th, April 2025 GMT
গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর আইফোন ১৬, আইফোন ১৬ প্লাস, আইফোন ১৬ প্রো ও আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স নামের নতুন চারটি মডেলের আইফোন উন্মুক্ত করে অ্যাপল। ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন মডেলের আইফোনগুলোর বিক্রি কার্যক্রম শুরু হলেও গত ফেব্রুয়ারি মাসে আইফোন ১৬ই মডেলের আরও একটি মডেলের আইফোন বাজারে আনার ঘোষণা দেয় অ্যাপল। বাংলাদেশে সব কটি মডেলের আইফোনের চাহিদা থাকলেও জনপ্রিয়তার বিচারে এগিয়ে রয়েছে আইফোন ১৬ প্রো মাক্স। অফিশিয়াল আইফোন বেশি দামে পাওয়া গেলেও আনঅফিশিয়াল (লাগেজের মাধ্যমে আনা) আইফোনের দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় বাংলাদেশে আনঅফিশিয়াল আইফোন বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মোবাইল ব্যবসায়ীরা।
গতকাল সোমবার ঢাকার একাধিক মোবাইল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম বেশি হলেও ১৬ সিরিজের বিভিন্ন মডেলের আইফোনগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। একাধিক বিক্রেতা জানিয়েছেন, বর্তমানে প্রত্যাশার চেয়ে আইফোনের চাহিদা বেশি রয়েছে বাজারে। ফলে বিক্রিও বেড়েছে। আইফোনের ১৬ সিরিজের পাশাপাশি ১৩, ১৪ ও ১৫ মডেলের আইফোনগুলোও কিনছেন ক্রেতারা। ঢাকার একাধিক কম্পিউটার বাজার ঘুরে আইফোন ১৬ সিরিজের বিভিন্ন মডেলের দাম তুলে ধরা হলো।
অফিশিয়াল আইফোনআইফোন ১৬ (১২৮ গিগাবাইট) ১ লাখ ৪৬ হাজার ৯৯৯ টাকা ও আইফোন ১৬ (২৫৬ গিগাবাইট) ১ লাখ ৬৪ হাজার ৯৯৯ টাকা।
আইফোন ১৬ প্রো (১২৮ গিগাবাইট) ১ লাখ ৮৪ হাজার ৯৯৯ টাকা, আইফোন ১৬ প্রো (২৫৬ গিগাবাইট) ২ লাখ ১ হাজার ৯৯৯ টাকা ও আইফোন ১৬ প্রো (৫১২ গিগাবাইট) ২ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।
আইফোন ১৬ প্লাস (১২৮ গিগাবাইট) ১ লাখ ৬৪ হাজার ৯৯৯ টাকা ও আইফোন ১৬ প্লাস (২৫৬ গিগাবাইট) ১ লাখ ৮৪ হাজার ৯৯৯ টাকা।
আইফোন ১৬ই (১২৮ গিগাবাইট) ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।
আইফোন ১৬ প্রো মাক্স (২৫৬ গিগাবাইট) ২ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৯ টাকা, আইফোন ১৬ প্রো মাক্স (৫১২ গিগাবাইট) ২ লাখ ৫৪ হাজার ৯৯৯ টাকা ও আইফোন ১৬ প্রো মাক্স (১ টেরাবাইট) ২ লাখ ৯০ হাজার ৯৯৯ টাকা।
আনঅফিশিয়াল আইফোনআইফোন ১৬ (১২৮ গিগাবাইট) ১ লাখ টাকা ও আইফোন ১৬ (২৫৬ গিগাবাইট) ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা।
আইফোন ১৬ প্রো (১২৮ গিগাবাইট) ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা ও আইফোন ১৬ প্রো (২৫৬ গিগাবাইট) ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।
আইফোন ১৬ প্লাস (১২৮ গিগাবাইট) ১ লাখ ১২ হাজার টাকা ও আইফোন ১৬ প্লাস (২৫৬ গিগাবাইট) ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা।
আইফোন ১৬ই (১২৮ গিগাবাইট) ৭৮ হাজার টাকা।
আইফোন ১৬ প্রো মাক্স (২৫৬ গিগাবাইট) ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, আইফোন ১৬ প্রো মাক্স (৫১২ গিগাবাইট) ১ লাখ ৮২ হাজার টাকা ও আইফোন ১৬ প্রো মাক্স (১ টেরাবাইট) ২ লাখ ৩ হাজার টাকা।
ঢাকার বিভিন্ন বাজার থেকে সংগৃহীত আনঅফিশিয়াল আইফোনের দাম কিছুটা হেরফের হতে পারে।
রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের অবস্থিত গ্যাজেট ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকারী মোহাম্মাদ নাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশে ১৬ সিরিজ এলেও গুলশানে আইফোনের বিক্রি আগের তুলনায় একটু কম হচ্ছে। গুলশানে কমলেও বসুন্ধরা ও যমুনা ফিউচার পার্ক মার্কেটে আইফোনের বিক্রি বেশি হচ্ছে।
অফিশিয়াল ওয়ারেন্টিসহ আইফোন বিক্রি করে থাকে গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার। প্রতিষ্ঠানটির বনানী ও যমুনা ফিউচার পার্কের দুটি শাখায় কথা বলে জানা গেছে, আইফোন ১৬ সিরিজের প্রায় সব মডেলেরই চাহিদা রয়েছে। এর ফলে বিক্রিও বেশি হচ্ছে।
বসুন্ধরা সিটির ইলেকট্রো ভিশনের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মাদ এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘প্রত্যাশার থেকে চাহিদা বেশি। আইফোন ১৬ সিরিজের ফোনগুলো চাহিদা বেশি থাকায় অনেক সময় আমাদের কাছে থাকে না। আনঅফিশিয়াল আইফোনের দাম একটু কম থাকায় বিক্রি বেশি হচ্ছে।’
সাইম প্লাস ও সাইম টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ জ র ৯৯৯ ট ক শ য় ল আইফ ন ১৬ স র জ র আইফ ন ব আইফ ন র
এছাড়াও পড়ুন:
‘বউ পেটানো’ অভিনেতার দ্বিতীয় সংসার ভাঙার গুঞ্জন
সৈয়দা আলিজা সুলতানের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেতা ফিরোজ খান। তাদের এই সংসার ভেঙে গেছে। আলিজা অভিযোগ করেছিলেন, তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন ফিরোজ। কেবল তাই নয়, শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ছবিও প্রকাশ করেছিলেন। এরপর তোপের মুখে পড়েন ফিরোজ খান। নেটিজেনদের অনেকে তাকে ‘বউ পেটানো’ অভিনেতার তকমাও দেন।
প্রথম সংসার ভাঙার প্রায় দুই বছর পর ডা. জয়নবের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ফিরোজ খান। এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্বিতীয় সংসার ভাঙার গুঞ্জন ছড়িয়েছে। মূলত, বিনোদনভিত্তিক একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ডা. জয়নবের ইনস্টাগ্রাম পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করা হয়। তারপরই শুরু হয় ফিরোজ খানের সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে জয়নবের অভিযোগের স্ক্রিনশট।
ডা. জয়নব কথিত এই নোটে বলেন, “আমি আমার সহনসীমার শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছি। অবিরাম মানসিক চাপ ও উদ্বেগে ক্লান্ত। এমন একজন মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে আছি, যে আমাকে বিশ্বাস করে না। আমি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমি এখন ক্লান্ত। প্রতিটি কথোপকথন একটা লড়াইয়ের মতো লাগে, প্রতিটি মতবিরোধ যেন যুদ্ধ। এমন আচরণের শিকার হয়ে আমি ক্লান্ত। আমি যখন তাকে কিছু বলি, সে আমার উপর রাগ ঝাড়ে।”
স্ত্রী জয়নবের সঙ্গে ফিরোজ খান
সুখ স্মৃতিগুলো কষ্টে ঢাকা পড়ে গিয়েছে। এমন মন্তব্য করে জয়নব বলেন, “সত্যি বলতে, আমরা একসঙ্গে যে স্মৃতিগুলো তৈরি করেছিলাম, তা এখন কষ্ট ও আঘাতে ঢাকা পড়ে গেছে। আমি অসংখ্যবার তাকে ক্ষমা করেছি। কিন্তু সেই ক্ষতগুলো কখনো পুরোপুরি সারেনি। বুঝতে পারছি, আমি এক ধরণের মানসিক অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি, একটা সম্পর্কে আটকে আছি, যা আমার জীবনের শক্তি শুষে নিচ্ছে। আমি জানি, আমি এর চেয়ে ভালো কিছু পাওয়ার যোগ্য। আমি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও কোমলতার যোগ্য। সবকিছু ঠিক আছে—আমি আর এই ভান করতে চাই না।”
ডিভোর্সের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে জয়নব বলেন “এমন বিষাক্ত একটা সম্পর্কের জন্য আমি আমার সুখ ত্যাগ করেছি। আমি এখন নিজের জন্য, নিজের মানসিক সুস্থতার জন্য দাঁড়াচ্ছি। বেদনা ও কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে, আমি আমার জীবনের এই অধ্যায় (বিবাহিত জীবন) শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি ডিভোর্স নিচ্ছি। কারণ আমি জানি, এর চেয়ে ভালো কিছু পাওয়ার যোগ্য। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরুর জন্য আমি প্রস্তুত, যেখানে আমাকে মূল্য দেওয়া হবে, সম্মান করা হবে, ভালোবাসা হবে।”
জয়নবের এই ‘ডিভোর্স নোট’ নিয়ে যখন জোর চর্চা চলছে, তখন মুখে কুলুপ এঁটেছেন ফিরোজ খান। তবে এর আগে ফিরোজ খানের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দেওয়া একটি পোস্টে দেখা যায়। তাতে জয়নবের বিরুদ্ধে ‘ব্ল্যাকমেইল’ ও ‘মানসিক চাপের’ অভিযোগ তোলেন। যদিও পরবর্তীতে পোস্টটি মুছে ফেলা হয়। পাশাপাশি এই অভিনেতা জানান, তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছিল।
ডা. জয়নব
তবে সংসার ভাঙার গুঞ্জনে সরাসরি কোনো বক্তব্য দেননি ফিরোজ খান কিংবা তার স্ত্রী ডা. জয়নব। তবে বিনোদনভিত্তিক যে পেজ থেকে জয়নবের ‘ডিভোস নোট’ ছড়ানো হয়েছে, সেই পোস্টে মন্তব্য করেছেন তিনি। তাতে জয়নব লেখেন, “এই ধরনের পেজগুলো আনফলো করুন অথবা রিপোর্ট করুন। এই ধরনের পেজ থেকে ভুয়া খবর ছড়িয়ে মানুষকে বিরক্ত করা হচ্ছে। সত্যি বলছি, আমি জানি না কীভাবে তারা আমার স্টোরিতে পোস্টটি করার অ্যাকসেস পেয়েছে। এই পোস্ট আমি কখনো করিনি।”
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম স্ত্রী সৈয়দ আলিজা সুলতানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় ফিরোজ খানের। এ সংসারে সুলতান খান ও ফাতিমা খান নামে দুই সন্তান রয়েছে। বর্তমানে দুই সন্তানের দায়িত্ব নিয়ে আদালতে মামলা লড়ছেন এই প্রাক্তন দম্পতি। ২০২৪ সালে ডা. জয়নবকে বিয়ে করেন ফিরোজ খান।
ঢাকা/শান্ত