বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অনেকেই বলছেন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা আবার ফিরে আসবেন। এ বিষয়ে বিএনপিকে কিছুই করতে হবে না, সাধারণ মানুষ তার ব্যবস্থা নেবে। তাকে আর এদেশে এসে কোনোদিন রাজনীতি করতে হবে না। সাধারণ মানুষের ওপর যে অন্যায় অত্যাচার হয়েছে এজন্য তারাই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।

মঙ্গলবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের মোলানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গণসংযোগ কর্মসূচিতে এ মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

মির্জা ফখরুল বলেন, সনাতন ধর্মের মানুষ বিএনপির আমলে সবচেয়ে বেশি নিরাপদে থাকবে। কারণ বিএনপি একটি শান্তিপ্রিয় দল। ফেসবুক ইউটিউব নিয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন তিনি বলেন, ফেসবুকে অসংখ্য মিথ্যা আসে। ইউটিউবে এমন এমন কথা বলে যা দেখে মানুষের মাথা খারাপ হয়ে যাবে। এগুলো দেখে বিভ্রান্ত হবেন না।

তিনি বলেন, এসব মিটিংয়ে মানুষের মুখ দেখেই বুঝা যায় তারা সবাই পরিবর্তন চায়। সবাই ভোট দিয়ে সরকার গঠন করতে চায়। বাংলাদেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে নির্ভরশীল, নিরাপদ দল হচ্ছে বিএনপি। বিএনপিকে নিয়েই তারা সেই সরকার গঠন করতে চায়। ধানের শীষ আপনাদের, যাকে রক্ষা করার দায়িত্ব আপনাদের।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, কেউ আওয়ামী লীগের মতো অন্যায় করবেন না, অন্যায় করলে মানুষ ভালোবাসবে না। আওয়ামী লীগের মতো ছুড়ে ফেলে দেবে। সুতরাং অন্যায় যেন কেউ না করে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। নিজেরা অনেক শক্তিশালী নিয়ে এ সব অপকর্ম প্রতিরোধ করবেন। সাধারণ মানুষের ওপর যেন কেউ অন্যায় অত্যাচার করতে না পারে। প্রয়োজনে অন্যায়কারীদের সরাসরি পুলিশের হাতে তুলে দেবেন।

আয়নাঘর ও শেখ হাসিনা সম্পর্কে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ যাদের ভয় পেয়েছে তাদের গুম করেছে। ১৭০০ মানুষকে গুম করা হয়েছে। ৭ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত তাদের আটকে রাখা হয়েছে। গোলাম আযমের ছেলে ফারুক ই আজমকে ৮ বছর গুম করে রাখা হয়েছে। সিলেটের এমপি ইলিয়াসের এখনও খবর পায়নি তার পরিবার। 

এ সময় চিলারং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান হান্নু, পয়গাম আলী, সদর উপজেলা বিএনপি সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন। এ সময় বিএনপিসহ দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাদেবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও চিলারং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে একই কর্মসূচিতে যোগ দেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ব এনপ র অন য য ফখর ল

এছাড়াও পড়ুন:

রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের রাউজানে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে যুবদল কর্মী আলমগীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার যুবক আলমগীর আলমের সহযোগী ছিলেন। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার যুবকের নাম মুহাম্মদ রাজু (২৮)। তিনি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, আলমগীর আলমকে গুলি করার সময় তাঁর পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন মুহাম্মদ রাজু।

গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আলমকে। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। আলমের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঢালারমুখ এলাকায়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা আটজন অস্ত্রধারী আলমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা আলম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অস্ত্রধারীরা তাঁকে হত্যার পর রাঙামাটি সড়ক দিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে পালিয়ে গেছেন। নিহত আলমের শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।

রাউজান থানা-পুলিশ জানায়, আলম নিহত হওয়ার দুই দিন পর তাঁর বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে রাজুর নাম নেই। তবে ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁরা হলেন রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ রাসেল খান (৩২) ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার বাসিন্দা ও যুবদল কর্মী মুহাম্মদ হৃদয় (৩০)।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, যখন অস্ত্রধারীরা আলমগীর আলমকে গুলি করার জন্য কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন আলমগীর আলমের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তবে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অস্ত্র-মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় ১২ বছর কারাগারে ছিলেন আলম। তিনি গত বছরের ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পরিকল্পিতভাবে প্রচারণা চলছে যে বিএনপি সংস্কারের বিরোধী: মির্জা ফখরুল
  • কাঁচাপাট রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেএ চেয়ারম্যানের
  • বাবাকে না পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে সড়কে যায় শিশু, মুহূর্তে ট্রাকচাপায় নিহত
  • রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার
  • ক্ষুব্ধ-বিরক্ত আঁখি বললেন, ভণ্ডামি থেকে মুক্তি চাই
  • ‘বয়স বাড়ছে, বুঝে ফেলি কে মিথ্যা বলে’—ফেসবুকে আঁখি আলমগীর