পহেলগাম হামলার প্রতিশোধ নিতে সামরিক বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিলেন মোদি
Published: 29th, April 2025 GMT
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ভারতের সামরিক প্রতিক্রিয়ার ‘পদ্ধতি, লক্ষ্য এবং সময় নির্ধারণের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা’ সশস্ত্র বাহিনীকে দিয়েছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং প্রতিরক্ষা কর্মী প্রধান জেনারেল অনিল চৌহানের সাথে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের সময় এই বার্তা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার এনডিটিভি অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ‘পুনরায় নিশ্চিত করেছেন যে, আমাদের জাতীয় সংকল্প হচ্ছে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বড় আঘাহ হানা এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর তার পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।
বৈঠক শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছান।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় গাড়িবোমা বিস্ফোরণে ৪০ জন সেনা নিহত হয়। পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ এই হামলার দায়ভার স্বীকার করে। এরপরই ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে সন্ত্রাসী শিবিরগুলোতে নির্ভুল বিমান হামলা চালায়। ভারতের দাবি ছিল,পাক সেনাবাহিনীর সহায়তায় নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদ এই শিবিরগুলো পরিচালনা করত।
২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক ছিলেন। দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামে পরিচিত একটি গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেছিল। ভারত কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে। ঘটনার পরের দিনই ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়। ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতাদের অনেকেই পাকিস্তানে হামলার দাবি করছেন।
ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর দাবি, প্রাপ্ত প্রমাণগুলো ইঙ্গিত দেয় যে পহেলগাম হামলার পিছনেও পাকিস্তানের হাত ছিল। তবে পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারত এখনো পর্যন্ত প্রকাশ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ হাজির করেনি।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।
উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।
এএএম//