বন্দরে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় উপজেলা সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বন্দরের জনদুর্ভোগ লাঘবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বন্দর বাজার হতে ১নং খেয়াঘাট পর্যন্ত রাস্তার উপর অবৈধ দখলদার হকারদের স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ, বন্দর বাজার হতে অটোষ্ট্যান্ড অপসারনসহ সিটি কর্পোরেশন ও ইউনিয়ন এলাকার ২৫টি স্পটে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।   

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বন্দর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (তদন্ত) মো.

সাইফুল ইসলাম, বন্দর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী,  উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আসরাফুল ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা তাসলিমা বেগম, উপজেলা আবাসিক মিডিকেল অফিসার ডাঃ দীপু, প্রমুখ।

সভায় মাদক ও ইভটিজিং রোধে আইনি পদক্ষেপ, অবৈধ বালু উত্তোলন,গ্যাস সংযোগ,রাস্তার উপর ড্রজারের পাইপসহ অবৈধস্থাপনাসহ মোবাইল কোর্ট পরিচালনারও সিদ্ধান্ত হয়। 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮

কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার খামার থেকে গত শুক্রবার পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। এ সময় তাদের হামলায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আটজন আহত হন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করেছে।

গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এর সংলগ্ন এতিমখানার খামারে ঘটনাটি ঘটে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু লুট করেছিল ডাকাতরা।

আরো পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

এলাকাবাসী জানান, মাদরাসার আয় এই খামারের মাধ্যমে হয়। তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খামারের বড় গরুগুলো লুট হয়ে যাওয়ায় এক পাশ ফাঁকা পড়ে আছে। বর্তমানে খামারে ১১টি গরু অবশিষ্ট রয়েছে।

খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাত দলের ব্যবহৃত তুষের বস্তা, যা দিয়ে গরুগুলো পিকআপ ভ্যানে তোলে তারা। গরু উদ্ধার এবং ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

মামলার বাদী এবং মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নেয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।

মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, খামারের আয়ের ওপর ভিত্তি করে মাদরাসার কার্যক্রম চলে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাতরা।

লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, “লুট হওয়া গরু উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।”

ঢাকা/রুবেল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ