বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) এ এল এম ফজলুর রহমানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া মন্তব্যকে বাংলাদেশ সরকার সমর্থন করে না। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট করতে চায় যে মেজর জেনারেল (অব.

) এ এল এম ফজলুর রহমান সম্প্রতি তার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে মন্তব্য করেছেন, তা সম্পূর্ণভাবে তার ব্যক্তিগত। এ মন্তব্য বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান বা নীতির প্রতিফলন নয়, এবং সে জন্য সরকার এ মন্তব্য কোনোভাবে অনুমোদন করে না কিংবা সমর্থন করে না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে অনুরোধ করছে, মেজর জেনারেল (অব.) এ এল এম ফজলুর রহমানের ব্যক্তিগত মন্তব্যকে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যুক্ত না করতে।

বাংলাদেশ সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, পারস্পরিক সম্মান এবং সব জাতির শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতিতে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এদিকে গত বুধবার প্রকাশিত বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশ সব দেশের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতাকে সম্মান করে।

বুধবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে দেওয়া বিবৃতিতে শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ সকল সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতাকে সম্মান করে এবং অন্যদের কাছ থেকেও একই প্রত্যাশা করে।’

তিনি বলেন, বিডিআর কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এ এল এম ফজলুর রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার অ্যাকাউন্টে যে মন্তব্য করেছেন, তা তার ব্যক্তিগত অভিমত। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কোনোভাবেই তার (ফজলুর রহমান) বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে না।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র ল দ শ সরক র সরক র স

এছাড়াও পড়ুন:

রুয়ান্ডা-কঙ্গোর সঙ্গে চুক্তি করছে যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনের পর যুক্তরাষ্ট্রের নজর এবার আফ্রিকায়। কঙ্গো ও রুয়ান্ডার মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনের পাশাপাশি তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় খনিজ সম্পদ চুক্তির জন্য তোড়জোড় করছে ওয়াশিংটন।

বৃহস্পতিবার এ তথ্য দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আফ্রিকাবিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মাসসাদ বৌলোস। দোহায় এক সাক্ষাৎকারে বৌলোস বলেছেন, শান্তিচুক্তি সম্পন্ন হলে সেদিনই কঙ্গোর সঙ্গে খনিজ সম্পদ চুক্তি সম্পন্ন করবে যুক্তরাষ্ট্র। আর রুয়ান্ডার সঙ্গে একই তবে কিছুটা ভিন্ন আকারের চুক্তি করা হবে।

এই চুক্তি এমন একসময়ে হচ্ছে, যখন রুয়ান্ডাসমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহীরা কঙ্গোতে নজিরবিহীন অগ্রগতি অর্জন করছে। অঞ্চলটি ট্যানটালাম, স্বর্ণসহ বিভিন্ন খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ এবং কয়েক দশক ধরে সংঘাতে জর্জরিত। রয়টার্স।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ