লন্ডনে বাংলাদেশি ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ভাই খুন
Published: 2nd, May 2025 GMT
লন্ডনের বাংলাদেশি–অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মাইলএন্ড ওয়ার্ডে ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ২০ বছর বয়সী হাসান নামের এক ব্রিটিশ বাংলাদেশি তরুণ নিহত হয়েছেন। ওই ভাইকে গ্রেপ্তার করলেও তাঁর নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। এ ঘটনায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর ও ২০ বছর বয়সী এক তরুণী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে জানা গেছে, স্থানীয় সময় বুধবার দিবাগত রাতে (৩০ এপ্রিল) দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা–কাটাকাটির জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডটি কাউন্সিল বিল্ডিং ব্লকের ভেতরে একটি ফ্ল্যাটে ধারালো অস্ত্রের উপর্যুপরি আঘাতে সংঘটিত হয়।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি সূত্র বৃহস্পতিবার জানায়, মাইলএন্ড এলাকার একটি আবাসিক ভবনে গুরুতর হামলার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তারা। সেখানে পৌঁছে জরুরি বিভাগের কর্মীরা ২০ বছর বয়সী এক যুবককে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান। কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। টাওয়ার হ্যামলেটস পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে তারা এটিকে একটি সন্দেহজনক মৃত্যু হিসেবে গণ্য করছে। দুই ভাইয়ের বচসার মধ্যে সংঘটিত এ মর্মান্তিক ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে।
ছুরিকাঘাতে হত্যার এ ঘটনার পাশাপাশি আরও ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর ও ২০ বছর বয়সী এক তরুণী আহত হয়েছেন এবং বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের আঘাতের বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।
নিহত হাসানের বাবা সালেহ আহমদ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ ঘটনার জন্য সোশ্যাল সার্ভিসকে (সরকারি সংস্থা) দায়ী করেন। তিনি বলেন, বহু বছর আগে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী আলাদা হয়ে যান। এর পর থেকে সন্তানেরা সোশ্যাল সার্ভিসের অধীনে ছিলেন। বহুবার তিনি সন্তানদের নিজের সঙ্গে রাখার জন্য এবং সন্তানেরাও বাবার সঙ্গে থাকার ইচ্ছা পোষণ করলেও সোশ্যাল সার্ভিস সেই অনুমতি দেয়নি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘সন্তানেরা আমার সঙ্গে থাকলে আজ এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটত না।’
স্থানীয় বাসিন্দারা দুই ভাইয়ের মধ্যে সংঘটিত এ সহিংস ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এ ঘটনা পুরো কমিউনিটিকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে, যেখানে একজন তরুণ প্রাণ হারিয়েছেন এবং আরও দুজন আহত হয়েছেন। পুলিশ এ ঘটনার কোনো প্রত্যক্ষদর্শী বা কারও কাছে কোনো তথ্য থাকলে তা জানানোর জন্য অনুরোধ করেছে, যাতে তদন্তে সাহায্য হয়।
হত্যাকাণ্ডের খবরটি স্থানীয় কাউন্সিলর মোহাম্মদ চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন। নিহত যুবকের বাবার বাংলাদেশের গ্রামের বাড়ির সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলায়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডনে বাংলাদেশি ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ভাই খুন
লন্ডনের বাংলাদেশি–অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মাইলএন্ড ওয়ার্ডে ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ২০ বছর বয়সী হাসান নামের এক ব্রিটিশ বাংলাদেশি তরুণ নিহত হয়েছেন। ওই ভাইকে গ্রেপ্তার করলেও তাঁর নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। এ ঘটনায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর ও ২০ বছর বয়সী এক তরুণী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে জানা গেছে, স্থানীয় সময় বুধবার দিবাগত রাতে (৩০ এপ্রিল) দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা–কাটাকাটির জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডটি কাউন্সিল বিল্ডিং ব্লকের ভেতরে একটি ফ্ল্যাটে ধারালো অস্ত্রের উপর্যুপরি আঘাতে সংঘটিত হয়।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি সূত্র বৃহস্পতিবার জানায়, মাইলএন্ড এলাকার একটি আবাসিক ভবনে গুরুতর হামলার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তারা। সেখানে পৌঁছে জরুরি বিভাগের কর্মীরা ২০ বছর বয়সী এক যুবককে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান। কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। টাওয়ার হ্যামলেটস পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে তারা এটিকে একটি সন্দেহজনক মৃত্যু হিসেবে গণ্য করছে। দুই ভাইয়ের বচসার মধ্যে সংঘটিত এ মর্মান্তিক ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে।
ছুরিকাঘাতে হত্যার এ ঘটনার পাশাপাশি আরও ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর ও ২০ বছর বয়সী এক তরুণী আহত হয়েছেন এবং বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের আঘাতের বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।
নিহত হাসানের বাবা সালেহ আহমদ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ ঘটনার জন্য সোশ্যাল সার্ভিসকে (সরকারি সংস্থা) দায়ী করেন। তিনি বলেন, বহু বছর আগে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী আলাদা হয়ে যান। এর পর থেকে সন্তানেরা সোশ্যাল সার্ভিসের অধীনে ছিলেন। বহুবার তিনি সন্তানদের নিজের সঙ্গে রাখার জন্য এবং সন্তানেরাও বাবার সঙ্গে থাকার ইচ্ছা পোষণ করলেও সোশ্যাল সার্ভিস সেই অনুমতি দেয়নি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘সন্তানেরা আমার সঙ্গে থাকলে আজ এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটত না।’
স্থানীয় বাসিন্দারা দুই ভাইয়ের মধ্যে সংঘটিত এ সহিংস ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এ ঘটনা পুরো কমিউনিটিকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে, যেখানে একজন তরুণ প্রাণ হারিয়েছেন এবং আরও দুজন আহত হয়েছেন। পুলিশ এ ঘটনার কোনো প্রত্যক্ষদর্শী বা কারও কাছে কোনো তথ্য থাকলে তা জানানোর জন্য অনুরোধ করেছে, যাতে তদন্তে সাহায্য হয়।
হত্যাকাণ্ডের খবরটি স্থানীয় কাউন্সিলর মোহাম্মদ চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন। নিহত যুবকের বাবার বাংলাদেশের গ্রামের বাড়ির সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলায়।