ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলা ঘিরে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করছে। এর মধ্যে সীমান্তবর্তী এলাকার কিছু বাসিন্দা যুদ্ধের আশঙ্কাকে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছেন না। নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে পাকিস্তান–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের একটি উপত্যকায় এমন দৃশ্য দেখা গেছে। সেখানে বিয়ের আয়োজন বন্ধ রাখা হয়নি।

বিয়ের পিঁড়িতে বসা রাবেয়া মাথার ওপর দিয়ে চোখ পর্যন্ত একটি ঝলমলে লাল দোপাট্টা টেনে দিয়েছেন। ফুলের মালা দিয়ে সাজানো পালকিতে বসা ১৮ বছর বয়সী এই কনে এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের শৈশবেও পরিস্থিতি এমনই ছিল। কিন্তু আমরা ভয় পাই না। ভবিষ্যতেও ভয় পাব না।’

হাতে সোনালি কাঁকন, মাথায় গয়না ও সোনালি রঙের সাজে উজ্জ্বল এই কনে বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই, যাতে করে আমাদের জীবন আক্রান্ত না হয়।’

স্থানীয় রীতি অনুসারে একটি মোরগ বলিদানের মাধ্যমে শুরু হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। বর চৌধুরী জুনায়েদও লাল-সোনালি পাগড়ি ও জমকালো শেরওয়ানিতে সজ্জিত হয়েছেন। তিনিও সব আশঙ্কা উপেক্ষা করে বিয়ে করার বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

পেশায় রাঁধুনি ২৩ বছর বয়সী জুনায়েদ বলেন, ‘মানুষ উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত। তবু আমরা [বিয়ের] ঐতিহ্যবাহী কোনো অনুষ্ঠান বাতিল করিনি।’

বর সেজে বিয়ের অনুষ্ঠানে পৌঁছান চৌধুরী জুনায়েদ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’

কৈশোর পেরোনোর আগেই শাহানাবাড়ির মেয়ে দীপার বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতনের জাল ছিঁড়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের পটভূমিতে দীপার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাড়ির নাম শাহানা।

সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বাড়ির নাম শাহানায় দীপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দিকা। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে কমলা কালেক্টিভ ও গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স লিমিটেড।

নির্মাণের বাইরে লীসা গাজী লেখক, নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত

সম্পর্কিত নিবন্ধ