ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ নিজের প্রথম হিন্দি ওয়বে সিরিজ ‘জ্যাজ সিটি’র কাজে বেশ কয়েকমাস ধরে অবস্থান করছেন ভারতে। সানি লিভের এই সিরিজ পরিচালনা করছেন সৌমিক সেন।

সবশেষ শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত ‘মুজিব’ সিনেমায় নামভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন এই নায়ক। দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সাম্প্রতিককালে এই সিনেমার জন্য সমস্যায় পড়তে হয়েছে শুভকে?

সম্প্রতি কলকাতায় এসে সেখানকার দৈনিক আনন্দবাজারের আরিফিন শুভ বলছেন, ‘‘পৃথিবীতে যত জায়গায় এ পর্যন্ত কোনও অভ্যুত্থান হয়েছে, তার সঙ্গে কিছু কোল্যাটারাল ড্যামেজ হয়েছে। আপনি পার্কের মধ্য দিয়ে শান্তিতে যাচ্ছিলেন, কিন্তু আচমকা একটা ঘটনার শিকার হয়ে গিয়েছেন। এতে কিছু করার থাকে না। আমি সচেতন ভাবে অরাজনৈতিক মানুষ। অভিনয় ছাড়া কিচ্ছু করি না। কোনও ব্যবসা নেই, ব্যাকআপ নেই। যদি সত্যি সত্যি সমস্যায় পড়তাম, তা হলে কলকাতার এই কাফেতে বসে সাক্ষাৎকার দিতেই পারতাম না।

কাজ নিয়ে অভিনেতা বলেন, আমার আগামী ছবি ‘নীলচক্র’ রিলিজ করবে সামনে। তার পর ‘নুর’, ‘ঠিকানা বাংলাদেশ’, ‘লহু’ রয়েছে। আমি সারা জীবন দুটো জিনিসকে গুরুত্ব দিয়েছি, যে চরিত্রটা আমাকে দেওয়া হয়েছে সেটা হয়ে ওঠা। আর আমার কাজ দেখে দর্শকের প্রতিক্রিয়া। আমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে বোকা লোকের চরিত্র দিন, আমি সেখানে নিজেকে উজাড় করে দেব। কিন্তু বাস্তবেও আমি সেই বোকা লোকটা, এমন তো নয়। আশা করি আমি সবটা বোঝাতে পেরেছি।’’

সেই সাক্ষাৎকারে আরিফিন শুভ কথা বলেছেন নিজের বিবাহবিচ্চেদ নিয়েও।  শুভর ভাষ্য, বাইরের আলোচনা আমার উপর প্রভাব ফেলে না। সম্পর্ক ভাঙার ঘটনা পৃথিবীতে প্রথম ঘটছে না। এর চেয়ে অনেক খারাপ কিছু প্রতিনিয়ত কোথাও না কোথাও ঘটছে। অভিনয় জগতে থাকার জন্য আমাদের নিয়ে মুখরোচক খবর হয়, কী আর করা যাবে। ছ’বছর ধরে আমি ফেসবুক থেকে দূরে। একটা পেজ রয়েছে, যেটা আমার টিম চালায়। ফেসবুক কেমন যেন একটা হেট মেশিনে পরিণত হয়েছে। লোকে নিজের জীবনে এতটাই বীতশ্রদ্ধ যে, অন্যের নিন্দে করে শান্তি পায়। ব্যাপার হল, যারা আমাকে নিয়ে কথা বলছে, তারা আমার জীবনটা কাটাচ্ছে না। আমি কোন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি কিচ্ছু জানে না। তা হলে সে আমাকে নিয়ে কথা বলার কে? বললেই বা আমি শুনব কেন?

এছাড়া, কলকাতার পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়ের রোম্যান্টিক সিনেমা ‘মন মানে না’তে আরিফিন শুভর কাজের কথা থাকলেও সেটা বাংলাদেশে ‘নীলচক্র’ সিনেমার মুক্তির শিডিউল জটিলতা থাকায় করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আরিফিন শুভ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আর ফ ন শ ভ অভ ন ত আর ফ ন শ ভ

এছাড়াও পড়ুন:

ডি ব্রুইনা-সিটির পুনর্মিলনীতে হলান্ডের দ্রুততম ‘ফিফটি’

ম্যানচেস্টার সিটি ২-০ নাপোলি

ইতিহাদ ছেড়ে গিয়েছিলেন গত জুনে। তারপর এবারই তাঁর প্রথম ফেরা বড় সাধের এই স্টেডিয়ামে। ম্যানচেস্টার সিটির দর্শকেরা তাঁকে নায়কের মর্যাদায় বরণও করে নিলেও কোথায় যেন একটা অতৃপ্তি থেকে গেল। কেভিন ডি ব্রুইনা এখন হতে পারেন প্রতিপক্ষ, তবু ম্যাচের মাত্র ২৬ মিনিটে তাঁর বদলি হয়ে মাঠ ছাড়ার সময় সিটির দু-একজন সমর্থকদের মুখটা শুকনো দেখা গেল। ক্লাব কিংবদন্তিকে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁরা সম্মান দেখিয়েছেন, তবে মাঠে আরও কিছুক্ষণ দেখতে চেয়েছিলেন নিশ্চয়ই!

কৌশলগত কারণে মাঠ ছাড়তে হয় ডি ব্রুইনাকে। নাপোলি কোচ আন্তোনিও কন্তে অবশ্য তাতে হার এড়াতে পারেননি। বিরতির পর আর্লিং হলান্ড ও জেরেমি ডকুর গোল হজম করতে হয়। সিটির ২-০ গোলের এ জয়ে দারুণ এক রেকর্ডও গড়েন হলান্ড।

৫৬ মিনিটে তাঁর গোলটির উৎস সিটি মিডফিল্ডার ফিল ফোডেন। লব করে দারুণভাবে বলটা তুলে সামনে বাড়িয়ে দেন, হেডে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের ৫০তম গোল তুলে নেন হলান্ড। সেটা আবার এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে দ্রুততম। ৪৯ ম্যাচে ‘ফিফটি’ পাওয়া হলান্ড পেছনে ফেললেন রুদ ফন নিষ্টলরয়কে (৬২ ম্যাচ)।

ডকুর গোলটি দেখার মতো। ৬৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বল পেয়ে ভেতরে ঢুকে গোল করার পথে নাপোলির তিন খেলোয়াড় মিলেও তাঁকে থামাতে পারেননি। সিটির এই দুই গোলে এগিয়ে যাওয়া আসলে একটি সুবিধার ফল। ২১ মিনিটে বক্সে হলান্ডকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন নাপোলি অধিনায়ক ও রাইট ব্যাক জিওভান্নি ডি লরেঞ্জো। এরপর ১০ জনে পরিণত হওয়া ইতালিয়ান ক্লাবটির ওপর চেপে বসে সিটির আক্রমণভাগ।

গোল করলেন জেরেমি ডকু

সম্পর্কিত নিবন্ধ