সাভারের রানা প্লাজায় ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ড স্মরণে ‘বটতলা’ শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সপক্ষে আন্দোলনরত সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিল্পী এবং সংস্কৃতিকর্মীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক সমাবেশ ‘কারখানা কেন বন্দিশিবির’ করেছে।  

গতকাল ৯ মে রায়ের বাজারের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সাংস্কৃতিক সমাবেশে পথনাটক, প্রতিবাদী গান, কবিতা নিয়ে যুক্ত হয় বটতলার সুহৃদ শিল্পী সংগঠন ও বন্ধুরা। বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে এ আয়োজন। 

সামিনা লুৎফা নিত্রার লেখা ‘জতুগৃহ’ নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন আলী হায়দার। এতে অভিনয় করেন ইমরান খান মুন্না, সামিনা লুৎফা, শারমীন ইতি, ইভান রিয়াজ, আশরাফুল অশ্রুসহ অনেকেই। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন বটতলার শিল্পীরা। প্রতিবাদী গান পরিবেশন করেন রিশাদুর রহমান রিশাদ, লায়েকী বশীর, লোচন পলাশ, শারমীন ইতি, তাহি, রেওয়াজ। শেষ পর্বে ছিল ‘সমগীত’ এর পরিবেশনা।  

আয়োজকরা বলেন, ২৪ এপ্রিল ২০১৩ ধসে পড়ে রানা প্লাজা, সহস্র প্রাণ নিমেষেই লাশের স্তূপ! বেঁচে ফিরেছেন যারা, সেই বিভীষিকার স্মৃতি আজও তাড়া করে ফেরে। এই বৃত্তান্ত কি শুধুই রানা প্লাজার? এর আগে পরে এমন ঘটনাই ঘটেছে নানান কারখানায়। বন্দিশিবিরের মতো কারখানাঘরে বারবার বলি হয়েছে শ্রমিকের জীবন। 
শিল্পচর্চার মধ্য দিয়ে রানা প্লাজা, তাজরীন গার্মেন্টস, তুবা কিংবা যে কোনো কারখানায় ঘটে যাওয়া এসব কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি, এসব হত্যাকাণ্ডকে ভুলিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত রুখে দিতে বটতলা সোচ্চার। এ লক্ষ্যেই হচ্ছে নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন।   
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সম ব শ বটতল

এছাড়াও পড়ুন:

ছায়া নয় যেন ‘মায়া’ বিলাচ্ছে বটগাছটি

কথায় আছে, ‘বৃক্ষ তোমার নাম কী, ফলে পরিচয়।’ কিন্তু কিছু কিছু বৃক্ষ আছে, যেগুলো হয়তো ফল-ফুলে তেমন পরিচিত নয়; তবু ছায়া দিয়ে মায়া ছড়ায়। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চত্বরের পাশে ঘনিয়ারপাড় এলাকায় এমন একটি বটগাছ আছে।

বৈশাখের রুদ্র আবহাওয়ায় ছায়ার সঙ্গে মায়া বিলিয়ে পথচারী ও সেবাপ্রত্যাশীদের স্বস্তি দিচ্ছে এই বটগাছ। বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক উৎসবে মানুষের মিলনমেলা ঘটে বটতলায়।

বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বর এলাকায় দেখা যায়, বিশালকায় বটগাছের নিচে দাঁড়িয়ে ও বসে শরীর জুড়াচ্ছেন নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ। কথা হয় উপজেলার ঘনিয়ারপাড় এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা তৈয়ব আলী বেপারীর (৭৫) সঙ্গে। তিনি বলেন, আনুমানিক ১৯২৫ সালের দিকে স্থানীয় এক ব্যক্তির উদ্যোগে বটগাছটি রোপণ করা হয়। তখন এখানে উপজেলা পরিষদ ছিল না। ধীরে ধীরে বেড়ে উঠেছে গাছটি। অতীতের মতো এখনো চৈত্র ও বৈশাখ মাসের প্রচণ্ড গরমে স্থানীয় লোকজন এখানে এসে গা জুড়ান। পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানমালা যেমন হয়, বছরজুড়ে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়।

ঘনিয়ারপাড় গ্রামের সংস্কৃতিকর্মী তপন কুমার শীল বলেন, গাছটিকে কেন্দ্র করে ‘ঘনিয়ারপাড় বটছায়া সমাজসেবা ক্লাব’ নামে একটি সামাজিক সংগঠন আছে। প্রায় ১০০ বছর ধরে সংস্কৃতির নানা আয়োজনের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হিসেবে ভূমিকা রাখছে এ বটতলা।

স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্যামল বাড়ৈ মন্তব্য করেন, গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরমে তাঁর ও আশপাশের বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা টিফিনের সময় গাছের ছায়ায় শরীর জুড়ায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুম বলেন, গাছ মানুষের নিঃস্বার্থ বন্ধু। বটগাছটি অতীতের স্মৃতিস্মারক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে এখনো। এটি রক্ষণাবেক্ষণে তাঁর প্রশাসন আন্তরিক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছায়া নয় যেন ‘মায়া’ বিলাচ্ছে বটগাছটি