বেনজীরের স্ত্রী জিসানের দুবাইয়ের দুই ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ
Published: 12th, May 2025 GMT
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জিসান মির্জার নামে দুবাইয়ে থাকা এক কোটি চার লাখ ৭৯ হাজার দিরহামের দুটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে দুটি ব্যাংক হিসাবে থাকা এক লাখ ৬২ হাজার দিরহাম অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন দুদকের উপপরিচালক জয়নাল আবেদীন ফ্ল্যাট জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে ওসির বিচারের দাবিতে আইনজীবীদের মানববন্ধন
নোয়াখালী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের বাইরে অর্জিত অর্থ অবৈধভাবে পাচার করেছেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ধারা ২৭(১) এর অধীনে ফৌজদারি অপরাধ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে অপরাধের অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য অভিযুক্ত জিসান মির্জার স্থাবর সম্পত্তির হস্তান্তর বা হস্তান্তর বন্ধ করার জন্য স্থাবর সম্পত্তি জব্দ এবং অস্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
এর আগে ৭৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের বিরুদ্ধে গত ১৫ ডিসেম্বর পৃথক চারটি মামলা করে দুদক।
ঢাকা/এম/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নটরডেম কলেজের ভবন থেকে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
রাজধানীর মতিঝিল নটরডেম কলেজের ভবন থেকে নিচে পড়ে ধ্রুবব্রত দাস (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে নটরডেম কলেজের ‘ফাদার টিম’ ভবন থেকে নিচে পড়ে যায় ওই শিক্ষার্থী। দেখতে পেয়ে সহপাঠীরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক বিকেল ৪টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত ধ্রুবর সহপাঠী রাগীব মৃধা জানান, ধ্রুব এবং তারা এইচএসসি পরীক্ষার্থী। এক মাস পরে তাদের পরীক্ষা। আজ তাদের টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট দেওয়ার কথা ছিল। রেজাল্ট আনতে কলেজে গিয়েছিল তারা। হঠাৎ কলেজের ‘ফাদার টিম’ ভবন থেকে নিচে পড়ে যায় ধ্রুব। দেখতে পেয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
ভবনটি ছয়তলা। শিক্ষার্থীদের ধারণা, সে তিন তলার বেলকুনি থেকে নিচে পড়ে গেছে। তবে কীভাবে পড়েছে তা কেউ জানতে পারেনি।
হাসপাতালে ধ্রুবর বাবা বানি ব্রতদাস চঞ্চল জানান, তাদের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার মধ্যপাড়া গ্রামে। বর্তমানে ওয়ারী গোপীবাগ এলাকায় থাকেন। তার ছেলে ধ্রুব উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এক মাস পরে তার ফাইনাল পরীক্ষা। আজকে কলেজের টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট দেওয়ার কথা ছিল। রেজাল্ট আনতে ছেলেকে নিয়ে কলেজে যান তিনি। অভিভাবকদের ভিতরে ঢুকতে না দেওয়ায় তিনি গেটের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। কিছুক্ষণ পর দেখতে পান, তার ছেলেকে সহপাঠীরা রক্তাক্ত অবস্থায় রিকশায় তুলছে।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সহপাঠী ও স্বজনরা ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সহপাঠীরা জানান, নটরডেম কলেজের ভবনের ওপর থেকে নিচে পড়ে গিয়েছিল সে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি মতিঝিল থানায় অবহিত করা হয়েছে।
ঢাকা/এসবি