চোখের চিকিৎসার জন্য ব্যাংককের উদ্দেশে ফখরুল
Published: 13th, May 2025 GMT
চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রাহাত আরা বেগম রয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা ৪৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়েছেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেছেন, ব্যাংককের রুটনিন আই হাসপাতালে মির্জা ফখরুলের চোখের রেটিনায় অস্ত্রোপচার করা হবে। গতকাল চোখের সমস্যার কারণে গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে ফখরুলকে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি ব্যাংককের ওই হাসপাতালে যাচ্ছেন। জরুরি ভিত্তিতে ফখরুলের চোখের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
এ বছরের ৬ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তাঁর স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফখর ল
এছাড়াও পড়ুন:
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে একটি মহল: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার আওয়ামী নোংরা কৌশলেরই পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে। হাসিনার পতনের পরেও একটি মহল আমাদের চিরচেনা সেই সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে না এনে বরং বিনষ্ট করছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য। মুরাদনগরে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীর শ্লীলতাহানি ও সহিংসতা মনুষ্যত্বহীন, অমানবিক, পাশবিক ও মহল বিশেষের রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের অভিসন্ধি।
কুমিল্লার মুরাদনগরে হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ও নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রোববার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই এলাকার একজন উপদেষ্টা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মুরাদনগরে ক্রমাগত ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাচ্ছেন। দুস্কৃতিকারীরা আশকারা পেয়ে সমাজবিরোধী নানা অপকর্মে মেতে উঠেছে। আর এ ক্ষেত্রে তারা দেশ-বিদেশ থেকে অবিরাম মদদ পাচ্ছে। উপদেষ্টা যদি জনসেবার চেয়ে আত্মসেবাতেই ব্যস্ত থাকেন তাহলে এলাকায় শান্তি বিঘ্নিত হবে। মুরাদনগরের বাসিন্দা উপদেষ্টা হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী এমপিদের মতো এলাকায় আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তারে ব্যস্ত রয়েছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা এক নির্মম কলঙ্কজনক ঘৃণ্য ঘটনা। এই বর্বরোচিত ঘটনা দেশের মানুষকে ব্যথিত ও মর্মাহত করেছে। অথচ একটি কুচক্রী মহল এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার এক গভীর চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। ফ্যাসিবাদী আমলের মতো নিজেরাই সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি দখল ও নির্যাতন করে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর ধারাবাহিকতা এখনও চলছে।
তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচারের দোসররা অর্থবিত্তে সজ্জিত। নারী নির্যাতনসহ সহিংস সন্ত্রাসের গোপন অভিযান চালিয়ে উদোরপিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে বিএনপির ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার জন্য তারা বিপজ্জনক গোপন অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। শক্তিশালী পক্ষের আশির্বাদ আছে বলেই দুর্বৃত্তরা সহিংস কার্যাবলী চালাতে উৎসাহিত হচ্ছে। তবে সত্যের জন্য, সম্মানের জন্য ও আত্মমর্যাদার জন্য ধর্ম, জাতি, গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলকে দুস্কৃতিকারীদের প্রতিহত করতে হবে সুস্থ সমাজ ও নিরাপদ রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য।
মির্জা ফখরুল বলেন, নারী নির্যাতনকারী অপরাধীদের কোন রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না। তারা মানবসভ্যতার শত্রু। অবিলম্বে হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ও নির্যাতনকারী দুস্কৃতিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বান জানাচ্ছি।