বাবাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় মেয়ে নিহত
Published: 13th, May 2025 GMT
ফরিদপুরের মধুখালীতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় শুকলা বিশ্বাস (৩২) নামে এক নারী নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনায় তার বাবা মনোহর বিশ্বাস (৮৫) এবং বড় বোন পারুল বিশ্বাস (৪৫) গুরুতর আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুকলা ও পারুল তাদের অসুস্থ বাবা মনোহর বিশ্বাসকে চিকিৎসার জন্য মাইক্রোবাসে করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে মাগুরাগামী ট্রাকের সঙ্গে তাদের মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
আরো পড়ুন:
রূপগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণ: দগ্ধ ২ নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু
হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ককে মারধরের চেষ্টা চিকিৎসকের
করিমপুর হাইওয়ে থানার ওসি সালাউদ্দিন চৌধুরী জানান, মাইক্রোবাসটি দ্রুতগতির ট্রাকের বিপরীতে এলে চালক দিক পরিবর্তনের চেষ্টা করেন, কিন্তু সফল হননি। ফলে সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুকলা ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান।
মধুখালী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের একটি দল লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। আহত মনোহর ও পারুলকে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়, যেখানে চিকিৎসকরা তাদের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন। পুলিশ ট্রাকটি আটক করেছে এবং আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে।
ঢাকা/তামিম/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
শিশুদের মাছ খাওয়া কেন জরুরি
মাছের পুষ্টিগুণ
সাদা মাছে প্রোটিন বেশি এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম। বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন অপরিহার্য। তৈলাক্ত মাছে আছে ইপিএ ও ডিএইচএ। এই দুটি ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী। এ ছাড়া থাকে ভিটামিন ডি, যা হাড়, পেশি ও দাঁতে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
মাছ মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। মাছের ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি এবং শেখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্যামন, ইলিশ, পাঙাশের মতো সামুদ্রিক মাছে ভিটামিন ডি আছে। ভিটামিন ডি শিশুদের শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণ বাড়াতে সাহায্য করে। শক্তিশালী হাড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম।
এ ছাড়া মাছ সেলেনিয়াম ও আয়োডিনসমৃদ্ধ, যা শিশুর থাইরয়েড গ্রন্থির বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
শিশুকে মাছ খাওয়াবেন কীভাবেঅনেক শিশু মাছ খেতে চায় না। এ জন্য অনেক সময় অভিভাবকেরা দায়ী। বেশির ভাগ অভিভাবক ‘আমার বাচ্চা মাছ খায় না’ বলে মাংসকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। যেকোনো নতুন খাবার অভ্যস্ত করার সময় দেখতে হবে শিশুটি ভালোভাবে গ্রহণ করছে কি না, অ্যালার্জির কোনো প্রতিক্রিয়া কিংবা বদহজম হচ্ছে কি না। একসঙ্গে বিভিন্ন ধরনের মাছ না খাইয়ে একেকটি করে খাওয়াবেন ও অভ্যস্ত করবেন। বলা হয় যে একটি নতুন খাবার গ্রহণ করতে শিশুদের কমপক্ষে ১৫ বার পর্যন্ত চেষ্টা করতে হয়। বাবা–মাকে ধৈর্যসহকারে অবিচল থাকতে হবে।
● তেলাপিয়া, ডোরি, স্যামন–জাতীয় মাছ ফিশ স্টিক, ফিশ টাকো, ফিশ ফিঙার বা সস দিয়ে বেকড ফিশ করে খাওয়াতে পারেন।
● রঙিন শাকসবজি দিয়ে মাছ পরিবেশন করুন।
● রান্নার পদ্ধতি পরিবর্তন করে খাওয়াতে পারেন। যেমন ভাপে রান্না করে ভর্তা করে, ভাজা বা গ্রিলের ওপর ভাজা। মাছের মুচমুচে ফ্রাই বা গ্রিল।
● মাছে কাঁটা থাকে বলে শিশুরা খেতে চায় না। কাঁটা বেছে চপ বা কাবাব, কোফতা, নাগেট করে দিন।
● কোন মাছের কী পুষ্টিগুণ, কোন মাছ শক্তিশালী, কোন মাছ খেলে বুদ্ধি বাড়ে, হাড্ডি শক্ত হয় এগুলো ছবির বই দিয়ে বুঝিয়ে বলুন। তাহলে মাছ গ্রহণ করতে উৎসাহী হবে।
● পাস্তা, নুডলস, স্যান্ডউইচ বা সালাদে টুনা বা চিংড়ি মাছ দিতে পারেন।
সতর্কতা● মাছ রান্না করার আগে ভালো করে পরিষ্কার করে নেবেন।
● উচ্চ পারদের পরিমাণ আছে, এমন মাছ খাওয়াবেন না। এমন মাছ শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। কিডনি ও ত্বকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
● শেলফিশে মিথাইল মার্কারি এবং অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
● বাচ্চাকে টিনজাত মাছ খাওয়ানো উচিত নয়। কারণ, এতে উচ্চ পরিমাণে প্রিজারভেটিভ থাকে। চিংড়ি বা সামুদ্রিক মাছে অ্যালার্জি
হতে পারে।
গবেষকেরা সপ্তাহে কমপক্ষে দুবার সামুদ্রিক মাছ খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। সপ্তাহে একবার পরিবেশন করলে এতে ২৫০ থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম ওমেগা–থ্রির চাহিদা পূরণ হয়।
লিনা আকতার, পুষ্টিবিদ, রাইয়ান হেলথ কেয়ার হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, দিনাজপুর