গোপালগঞ্জে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ২৮
Published: 15th, May 2025 GMT
গোপালগঞ্জে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত ও ২৮ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর সড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাত ৯টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুন:
গাইবান্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৩ জন নিহত
নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরা হলো না বৃদ্ধের
কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, খুলনার মংলা থেকে ছেড়ে আসা বলেশ্বর পরিবহনের একটি বাস চট্টগ্রাম যাচ্ছিল। এসময় বাসটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রাকের চালকসহ ৩ জন নিহত ও ২৮ জন আহত হয়।
খবর পেয়ে কাশিয়ানী থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা/বাদল/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন গ প লগঞ জ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।