উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় প্রাথমিকের শিক্ষক বরখাস্ত
Published: 18th, May 2025 GMT
ফেসবুকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে নিয়ে পোস্ট দেওয়ায় কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ মে) রাতে কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার রায় চৌধুরীর এক আদেশে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
বহিষ্কৃত ওই শিক্ষকের নাম মনিবুল হক বসুনিয়া। তিনি রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের আবুল কাশেম সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়েছে, “প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পত্র মোতাবেক শিক্ষক মনিবুল হক বসুনিয়া তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টাসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করে পোস্ট করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের পোস্ট করায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা-২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ) এর ৭ ও ১০ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত করে ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।”
ফেসবুক পোস্টের বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মনিবুল ইসলাম বসুনিয়া বলেছেন, “আড়াই-তিন মাস আগে চট্টগ্রামে প্রাথমিকের শিক্ষকদের একটা প্রোগ্রামে শিক্ষকরা দশম গ্রেড দাবি করায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকদের হেয়প্রতিপন্ন করে বলেছিলেন, না পোষালে চাকরি ছেড়ে চলে যান। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষকরা তাদের ভাষায় প্রতিবাদ করেছে, আমি আমার ভাষায় প্রতিবাদ করেছিলাম। আমি যা পোস্ট করেছিলাম, তার সারমর্ম হলো, আপনি (উপদেষ্টা) এভাবে শিক্ষকদের অবমাননা করে কথা বলতে পারেন না। আপনি ডাক্তার মানুষ, নিজের পেশায় ফিরে যান। আমাদের বলতেছেন চাকরি ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় যেতে, আপনি আপনার পেশায় ফিরে যান। সেটা ছিল ওই সময়ের কথা। সেটার জন্য এখন কেন আমাকে বরখাস্ত করা হলো, সেটা আমার বোধগম্য নয়।”
ঢাকা/বাদশাহ্/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট ফ সব ক সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
মুরাদনগরে নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ছড়ানোর ‘হোতা’ শাহ পরাণ গ্রেপ্তার
কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীকে নির্যাতন ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় শাহ পরাণ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার বুড়িচং উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার পরাণ ধর্ষণ মামলার মূল আসামি ফজর আলীর আপন ছোট ভাই। মামলার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
র্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার কার্যালয়ের অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান বলেন, শাহ পরাণ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার মাস্টারমাইন্ড।
মুরাদনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, শাহ পরাণকে র্যাব হস্তান্তর করেছে। তাকে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হবে। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
গত ২৬ জুন রাতে উপজেলার একটি গ্রামে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ, ঘটনার রাতে তার বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। এ সময় ফজর আলী ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার সময় আশপাশের কয়েকজন লোক এসে ভুক্তভোগী নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় মারধর করে। পরে ওই ঘটনার ভিডিও তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগী নারী মুরাদনগর থানায় মামলা করেন।