দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ভূগর্ভে কর্মরত ১৭৪ জন শ্রমিক চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন। রবিবার (১৮ মে) দুপুরে খনির প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন ভূগর্ভস্থ খনি শ্রমিকরা। মিছিল শেষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের দাবি উত্থাপন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শ্রমিক নেতা শহিবুল ইসলাম বলেন, ‘‘বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কারণে আমরা বাড়িঘর, ফসলি জমি, কর্মসংস্থান সব হারিয়েছি। বলা হয়েছিল, ক্ষতিগ্রস্ত ২০ গ্রামের বাসিন্দাদের প্রত্যেক পরিবার থেকে খনিতে চাকরি দেওয়া হবে। কিন্তু, চাকরি দেওয়া হয়েছে কিছু কিছু পরিবারে। সেটাও মূল ঠিকাদারের অধীনে না দিয়ে সাব কন্ট্রাক্টর জেএসএমইর অধীনে।

তিনি বলেন, ‘‘আগামী চার থেকে পাঁচ মাস পর জেএসএমইর কাজের মেয়াদ শেষ হবে। এ সময়ের মধ্যে ভূগর্ভস্থ শ্রমিকদের জীবনের কোনো ঝুঁকি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নেবে না বলে গত ৬ মে জানিয়েছে। এরপর থেকেই জেএসএমইর আওতাভুক্ত খনির ১৭৪ জন শ্রমিক কর্মবিরতি পালন করছি। কিন্তু, খনি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত শ্রমিকদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি।’’

শহিবুল ইসলামম বলেন, ‘‘আমরা খনির অভিজ্ঞ শ্রমিক। পাঁচ থেকে সাত বছর ধরে খনিতে কর্মরত আছি। আমাদের অন্য কোনো চাকরিতে প্রবেশের বয়সও নেই। সেই সঙ্গে জমিজমা সবই খনির কারণে জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। খনি কর্তৃপক্ষ বলেছিল, খনি যতদিন থাকবে; আমাদের চাকরিও ততদিন থাকবে। তাহলে আজ কেন আমাদের চাকরি থাকবে না বলে জানানো হচ্ছে।’’

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) খান মো.

জাফর সাদিক বলেন, ‘‘খনির ভূগর্ভে টানেল তৈরির কাজ চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি ও সিএমসিকে দেওয়া হয়েছে। তারা কাজের কিছু অংশ জেএসএমইকে সাব কন্ট্রাক্ট দিয়েছে। তাদের কাজ শেষ হতে আনুমানিক ছয় মাস বাকি।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘কাজ শেষ হলে ওই ঠিকাদারের চাইনিজ কর্মীরা চলে যাবে। তাহলে বাংলাদেশি শ্রমিকরা কীভাবে থাকবে? তবুও তাদের বলা হয়েছে, আপনারা যেহেতু অভিজ্ঞ; নতুন কোনো কাজের সুযোগ হলে অবশ্যই আপনাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’’ 

দুর্ঘটনার শিকার হলে শ্রমিকরা ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার যে অভিযোগ করেছেন, সেটা সত্য নয় বলে দাবি করেছেন খান মো. জাফর সাদিক।

ঢাকা/মোসলেম/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বড়প ক র য়

এছাড়াও পড়ুন:

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিকদের বিক্ষোভ

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ভূগর্ভে কর্মরত ১৭৪ জন শ্রমিক চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন। রবিবার (১৮ মে) দুপুরে খনির প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন ভূগর্ভস্থ খনি শ্রমিকরা। মিছিল শেষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের দাবি উত্থাপন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শ্রমিক নেতা শহিবুল ইসলাম বলেন, ‘‘বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কারণে আমরা বাড়িঘর, ফসলি জমি, কর্মসংস্থান সব হারিয়েছি। বলা হয়েছিল, ক্ষতিগ্রস্ত ২০ গ্রামের বাসিন্দাদের প্রত্যেক পরিবার থেকে খনিতে চাকরি দেওয়া হবে। কিন্তু, চাকরি দেওয়া হয়েছে কিছু কিছু পরিবারে। সেটাও মূল ঠিকাদারের অধীনে না দিয়ে সাব কন্ট্রাক্টর জেএসএমইর অধীনে।

তিনি বলেন, ‘‘আগামী চার থেকে পাঁচ মাস পর জেএসএমইর কাজের মেয়াদ শেষ হবে। এ সময়ের মধ্যে ভূগর্ভস্থ শ্রমিকদের জীবনের কোনো ঝুঁকি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নেবে না বলে গত ৬ মে জানিয়েছে। এরপর থেকেই জেএসএমইর আওতাভুক্ত খনির ১৭৪ জন শ্রমিক কর্মবিরতি পালন করছি। কিন্তু, খনি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত শ্রমিকদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি।’’

শহিবুল ইসলামম বলেন, ‘‘আমরা খনির অভিজ্ঞ শ্রমিক। পাঁচ থেকে সাত বছর ধরে খনিতে কর্মরত আছি। আমাদের অন্য কোনো চাকরিতে প্রবেশের বয়সও নেই। সেই সঙ্গে জমিজমা সবই খনির কারণে জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। খনি কর্তৃপক্ষ বলেছিল, খনি যতদিন থাকবে; আমাদের চাকরিও ততদিন থাকবে। তাহলে আজ কেন আমাদের চাকরি থাকবে না বলে জানানো হচ্ছে।’’

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) খান মো. জাফর সাদিক বলেন, ‘‘খনির ভূগর্ভে টানেল তৈরির কাজ চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি ও সিএমসিকে দেওয়া হয়েছে। তারা কাজের কিছু অংশ জেএসএমইকে সাব কন্ট্রাক্ট দিয়েছে। তাদের কাজ শেষ হতে আনুমানিক ছয় মাস বাকি।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘কাজ শেষ হলে ওই ঠিকাদারের চাইনিজ কর্মীরা চলে যাবে। তাহলে বাংলাদেশি শ্রমিকরা কীভাবে থাকবে? তবুও তাদের বলা হয়েছে, আপনারা যেহেতু অভিজ্ঞ; নতুন কোনো কাজের সুযোগ হলে অবশ্যই আপনাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’’ 

দুর্ঘটনার শিকার হলে শ্রমিকরা ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার যে অভিযোগ করেছেন, সেটা সত্য নয় বলে দাবি করেছেন খান মো. জাফর সাদিক।

ঢাকা/মোসলেম/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ