বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন পেলে ৫০০ কোটি টাকা মূল্যমানের একটি জিরো কুপন বন্ড ইস্যু করতে চায় আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড (এএফবিএল)। পাঁচ বছর মেয়াদি এই বন্ডটির মূল লক্ষ্য, এএফবিএলের চলমান সম্প্রসারণ কার্যক্রমকে সহায়তা করা, বাণিজ্যিক কার্যক্রমে গতি আনা, নগদ অর্থ ব্যবস্থাপনা জোরদার এবং প্রচলিত ব্যাংক ঋণের বাইরে বিকল্প অর্থায়নের উৎস থেকে মূলধন সংগ্রহ করা।

গতকাল রোববার এএফবিএলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সম্প্রতি এএফবিএলের প্রধান কার্যালয়ে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন ইস্যুয়ার আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ শামীম উদ্দিন, এরেঞ্জার নর্থ স্টার ইনভেস্টমেন্টসের চেয়ারম্যান মো.

মিনহাজ জিয়া, অ্যাডভাইজার লায়ন সিটি অ্যাডভাইজরির চেয়ারম্যান জুয়াং লিফেং এবং ট্রাস্টি আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে চার প্রতিষ্ঠানের  কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

দেশের অন্যতম ফাস্ট মুভিং কনজ্যুমার গুডস (এফএমসিজি) প্রতিষ্ঠান এএফবিএলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই পদক্ষেপ প্রতিষ্ঠানটির দূরদর্শী আর্থিক কৌশলের প্রতিফলন। একই সঙ্গে দেশের ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি একটি নিরাপদ ও নতুন ধরনের বিনিয়োগ মাধ্যম হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। এএফবিএলের পানীয় ব্র্যান্ড মোজো ২০২৪ সালে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের জরিপে মোস্ট লাভড ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি পায়। একই সঙ্গে বিকল্প কার্বনেটেড সফট ড্রিংক  ক্যাটেগরিতে স্পিড পায় মোস্ট লাভড ব্র্যান্ড খেতাব। এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে এএফবিএল দেশের শিল্প খাতে উদ্ভাবন এবং পুঁজিবাজারের বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে যাচ্ছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বন ড

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ