এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং
Published: 18th, May 2025 GMT
উড়োজাহাজের ইঞ্জিনিয়ার মানে এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার (এএমই)। এএমই লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তি উড়োজাহাজের যাবতীয় এবং আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করে। বিশেষ করে অ্যারোপ্লেন উড্ডয়নের আগে এর সব সিস্টেম ঠিক আছে কিনা তা সম্পর্কে পাইলটরা সব ধরনের তথ্য নিয়ে থাকে তার কাছ থেকেই। উড়োজাহাজের যাত্রী এবং পাইলটদের জীবন ও তাদের নিরাপদে পৌঁছানোর অনেক কিছুই নির্ভর করে এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারের ওপর। কেননা, সে যদি কোনো ভুল তথ্য দিয়ে থাকে, তবে উড়োজাহাজ নিয়ে নিরাপদ গন্তব্যে পৌঁছানো দুরূহ বিষয় হয়ে পড়ে। এই ডিগ্রির আরও কিছু নাম আছে। যেমন, অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং, উড়োজাহাজ প্রকৌশল ইত্যাদি। প্রথম যেদিন থেকে উড়োজাহাজ চলা শুরু হয়েছে সেদিন থেকেই প্রয়োজন হয়েছে অ্যারোনেটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের। সময়ের সঙ্গে ঘটছে এই শিল্পের বিকাশ। আর সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বজুড়ে ব্যাপকসংখ্যক ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজন পড়ছে প্রতিনিয়ত। আমাদের দেশে বিষয়টি নিয়ে পড়ানোর সুযোগও তৈরি হয়েছে মাত্র কয়েক বছর হলো। এই বিষয়ে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় এখন সহজে এবং অল্প খরচেই বিষয়টি নিয়ে পড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে শিক্ষার্থীদের। আমরা যদি গতানুগতিক বিষয়ে না পড়ে একটু যুগের চাহিদার দিকে লক্ষ্য করে নতুন বিষয়ে পড়া যেতে পারে। এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং তেমনি একটি বিষয়। এসএসসি, এইচএসসি অথবা ও-লেভেল বা এ-লেভেল পাস করেই যে কোনো ছাত্রছাত্রী দেশে শুরু করতে পারেন এয়ারক্রাফট মেইনটেইন্যান্স বিষয়ে পড়াশোনা। এয়ারক্রাফট মেইনটেইন্যান্স (অ্যারোস্পেস/এভিওনিক্স) হচ্ছে কোনো আকাশযানের উড্ডয়নের আগে সব ধরনের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ, মেরামত সম্পর্কিত বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান।
বিমান তৈরি, মেরামত, পর্যবেক্ষণ এবং এ সম্পর্কীয় যাবতীয় ডিজাইন এ বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে এই বিষয়ে পড়াশোনা করাচ্ছে ইউনাইটেড কলেজ অব এভিয়েশন সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট। এয়ারলাইন্স খাতে এ ধরনের ইঞ্জিনিয়ারের গুরুত্ব অপরিসীম।
ভর্তির যোগ্যতা : এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৩.
বিস্তারিত– www.uca.edu.bd
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রাম, জেএসসি ছাড়াও ভর্তি
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন স্কুল পরিচালিত এসএসসি প্রোগ্রামের মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান শাখায় ২০২৬-২০২৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভর্তির যোগ্যতা জেএসসি পাস হতে হবে। জেএসসি ছাড়াদের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
ভর্তির দরকারি তারিখ—১. অনলাইনে ভর্তি এবং আবেদনের তারিখ শেষ তারিখ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৬।
২. অষ্টম শ্রেণি বা সমমানের সনদবিহীন ভর্তি-ইচ্ছুকদের ভর্তি পরীক্ষা : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬।
৩. ওরিয়েন্টেশন ও টিউটোরিয়াল ক্লাস শুরু : ১৫ মে ২০২৬।
ভর্তির যোগ্যতা—১. জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় পাস বা উত্তীর্ণ হতে হবে। (ভর্তির তারিখ ০২/১১/২০২৫ থেকে ৩১/০১/২০২৬)।
২. সরাসরি অনলাইন ভর্তির জন্য: osapsnew.bou.ac.bd
ভর্তির যোগ্যতা(জেএসসি ছাড়া) —১. যেসব শিক্ষার্থীর জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের সনদপত্র নেই তারাও ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন, এ ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে ন্যূনতম ১৪ বছর (৩১/১২/২০২৫ তারিখে)।
২. এসব আবেদনকারীকে যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য বাউবি কর্তৃক নির্ধারিত ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
৩. এ জন্য ভর্তির প্রাথমিক আবেদন ফরম ফি বাবদ ৩০০ টাকা দিতে হবে।
৪. ভর্তি পরীক্ষার বিষয়, মানবণ্টন, তারিখ ও পরীক্ষা কেন্দ্র এবং প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য বাউবি’র ওয়েবসাইট, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্র এবং স্টাডি সেন্টার থেকে পাওয়া যাবে। (অনলাইনে আবেদনের তারিখ ০২/১১/২০২৫ থেকে ৩১/০১/২০২৬)।
প্রয়োজনীয় কাগজ যা লাগবে—১. দুই কপি ছবি।
২. জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় পাস বা উত্তীর্ণের সনদ।
৩. জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
ভর্তি ও অন্যান্য ফি—অনলাইন আবেদন ফি: ১০০ টাকা,
রেজিস্ট্রেশন ফি : ১০০ টাকা,
কোর্স ফি (প্রতি কোর্স ৫২৫ টাকা): ৩৬৭৫ টাকা,
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আবশ্যিক) ব্যবহারিক ফি: ১০০ টাকা,
একাডেমিক ক্যালেন্ডার ফি:৫ টাকা,
ডিজিটাল আইডি কার্ড ফি: ২০০ টাকা,
পরীক্ষা ফি (প্রতি কোর্স ৫০ টাকা) : ৩৫০ টাকা,
প্রথম বর্ষ নম্বরপত্র ফি : ৭০ টাকা,
মোট আবেদন ফি: ৪৬৯৬ টাকা।
বিজ্ঞান শাখার জন্য দুটি ব্যবহারিক কোর্সের জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. অষ্টম শ্রেণি বা সমমান পাসের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর নাম, পিতা ও মাতার নাম এবং জন্ম তারিখ ইত্যাদি প্রদত্ত সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী একই রকম হতে হবে।
২. জেএসসি বা জেডিসি পাসের ক্ষেত্রে জেএসসি বা জেডিসি সনদ অনুযায়ী হতে হবে। ২০২০ সাল কিংবা তার পরবর্তীতে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অষ্টম শ্রেণি পাশ সনদে বা প্রমাণকে বোর্ড কর্তৃক ইস্যুকৃত রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে। সনদবিহীনদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ী হতে হবে।
৩. তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীরা কোর্স ফির শতকরা ৬০ ভাগ ছাড় পাবেন।
# বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েবসাইট