বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ভেসে গেছে সাঁকো, দুর্ভোগে ১১ গ্রামবাসী
Published: 19th, May 2025 GMT
গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের রৌমারীর জিঞ্জিরাম নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভেসে গেছে জিঞ্জিরাম নদীর উপর থাকা ২শ ফুটের কাঠের সাঁকো। এতে রৌমারী উপজেলা শহরের সাথে প্রায় ১১ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে । এসব গ্রামের উপজেলার সাথে যোগাযোগে এই কাঠের সাঁকোটিই একমাত্র ভরসা।
শনিবার (১৭ মে) পাহাড়ী ঢলে সাঁকোটি ভেঙে যায় বলে জানিয়েছে গ্রামবাসী।
ওই এলাকার হায়দার আলী, আক্তার হোসেন জানান, প্রায় ২শ ফিট কাঠের সাঁকোর মাঝে ভেঙে যাওয়ায় রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের লালকুড়া, বকবান্দা, ব্যাপাড়ীপারা, বকবান্দা নামাপাড়া, খেওয়ারচর, আগলারচর, ঝাউবাড়ী, পাঠাধোয়াপাড়াসহ ১১টি গ্রামবাসীর যাতায়াতে বিঘ্নের সৃষ্টি হয়েছে। রৌমারী উপজেলা শহরের সাথে যোগাযোগ রক্ষার একমাত্র সড়ক এটি।
এ কাঠের সাঁকোটিই কৃষকের কৃষি পূর্ণ বাজারজাতকরণ, ধান, শাকসবজি, তরিতরকারি বাজারে আনা নেওয়ার পথ। এছাড়াও স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ লোকজন প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকেন। বর্তমানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা।
জানা যায়, দেশ স্বাধীনের পর থেকে এই জিঞ্জিরাম নদীতে ছোট নৌকা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হতো ১১ গ্রামের মানুষ। পড়ে এই গ্রামগুলোর দুর্ভোগ কমাতে জিঞ্জিরাম নদীর উপর নির্মাণ করা হয় এই কাঠের সাঁকোটি। এরপর থেকে নানাভাবে সাঁকোটির সংস্কার হয়ে যাতায়াতের এই পথটি সুগম থাকে।
সংশ্লিষ্ট যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.
রৌমারী উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উজ্জ্বল কুমার হালদার বলেন, “এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের বলা আছে বৃষ্টি কিংবা অন্য কোনো কারণে ক্ষতি হলে সেটি প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করা হবে।”
ঢাকা/বাদশাহ্/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ঞ জ র ম নদ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সিপিবির ত্রয়োদশ কংগ্রেস শুরু ১৯ সেপ্টেম্বর
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ত্রয়োদশ কংগ্রেস (কেন্দ্রীয় সম্মেলন) আগামী ১৯ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যেই দলের সব শাখা, উপজেলা ও জেলা সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে। গত শুক্র ও শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির দু'দিনব্যাপী সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সভার সিদ্ধান্তগুলো জানানো হয়।
সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে সভায় দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, করণীয় ও সরকারের সংস্কারবিষয়ক আলোচনা উত্থাপন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক লুনা নূর। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দলের প্রেসিডিয়াম, কেন্দ্রীয় কমিটি ও কন্ট্রোল কমিশনের সদস্য ও সংগঠকরা।
সভায় সারাদেশে অব্যাহত মব-সন্ত্রাস, খুন-ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এবং এসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জননিরাপত্তায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে বিদ্যমান সংকট উত্তরণে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা এবং গণঅভ্যুত্থানে সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের বিচার দৃশ্যমান করার দাবি জানানো হয়।
সভায় চট্টগ্রাম বন্দর লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসাসহ দেশকে সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদী শক্তির স্বার্থরক্ষার ভূমিকা নেওয়ার সরকারি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। এ সময় গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি ও ১৮ জুলাই ‘শহীদ রেজভী দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।