গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের রৌমারীর জিঞ্জিরাম নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভেসে গেছে জিঞ্জিরাম নদীর উপর থাকা ২শ ফুটের কাঠের সাঁকো। এতে রৌমারী উপজেলা শহরের সাথে প্রায় ১১ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে । এসব গ্রামের উপজেলার সাথে যোগাযোগে এই কাঠের সাঁকোটিই একমাত্র ভরসা। 

শনিবার (১৭ মে) পাহাড়ী ঢলে সাঁকোটি ভেঙে যায় বলে জানিয়েছে গ্রামবাসী। 

ওই এলাকার হায়দার আলী, আক্তার হোসেন জানান, প্রায় ২শ ফিট কাঠের সাঁকোর মাঝে ভেঙে যাওয়ায় রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের লালকুড়া, বকবান্দা, ব্যাপাড়ীপারা, বকবান্দা নামাপাড়া, খেওয়ারচর, আগলারচর, ঝাউবাড়ী, পাঠাধোয়াপাড়াসহ ১১টি গ্রামবাসীর যাতায়াতে বিঘ্নের সৃষ্টি হয়েছে। রৌমারী উপজেলা শহরের সাথে যোগাযোগ রক্ষার একমাত্র সড়ক এটি। 

এ কাঠের সাঁকোটিই কৃষকের কৃষি পূর্ণ বাজারজাতকরণ, ধান, শাকসবজি, তরিতরকারি বাজারে আনা নেওয়ার পথ। এছাড়াও স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ লোকজন প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকেন। বর্তমানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা। 

জানা যায়, দেশ স্বাধীনের পর থেকে এই জিঞ্জিরাম নদীতে ছোট নৌকা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হতো ১১ গ্রামের মানুষ। পড়ে এই গ্রামগুলোর দুর্ভোগ কমাতে জিঞ্জিরাম নদীর উপর নির্মাণ করা হয় এই কাঠের সাঁকোটি। এরপর থেকে নানাভাবে সাঁকোটির সংস্কার হয়ে যাতায়াতের এই পথটি সুগম থাকে।

সংশ্লিষ্ট যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.

সরবেশ আলী বলেন, “গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শনিবার জিঞ্জিরাম নদীর উপর থাকা কাঠের সাঁকোটি ভেঙে পড়ায় ৩০ হাজার মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। বিষয়টি আমি স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি।”

রৌমারী উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উজ্জ্বল কুমার হালদার বলেন, “এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের বলা আছে বৃষ্টি কিংবা অন্য কোনো কারণে ক্ষতি হলে সেটি প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করা হবে।”

ঢাকা/বাদশাহ্/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ঞ জ র ম নদ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮

কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার খামার থেকে গত শুক্রবার পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। এ সময় তাদের হামলায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আটজন আহত হন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করেছে।

গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এর সংলগ্ন এতিমখানার খামারে ঘটনাটি ঘটে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু লুট করেছিল ডাকাতরা।

আরো পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

এলাকাবাসী জানান, মাদরাসার আয় এই খামারের মাধ্যমে হয়। তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খামারের বড় গরুগুলো লুট হয়ে যাওয়ায় এক পাশ ফাঁকা পড়ে আছে। বর্তমানে খামারে ১১টি গরু অবশিষ্ট রয়েছে।

খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাত দলের ব্যবহৃত তুষের বস্তা, যা দিয়ে গরুগুলো পিকআপ ভ্যানে তোলে তারা। গরু উদ্ধার এবং ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

মামলার বাদী এবং মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নেয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।

মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, খামারের আয়ের ওপর ভিত্তি করে মাদরাসার কার্যক্রম চলে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাতরা।

লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, “লুট হওয়া গরু উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।”

ঢাকা/রুবেল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ