এবার যুক্তরাজ্যের রেইনড্যান্স উৎসবে মেহজাবীনের ‘সাবা’
Published: 21st, May 2025 GMT
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মেহজাবীন চৌধুরী অভিনীত ‘সাবা’ সিনেমার যাত্রা শুরু হয় টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসব দিয়ে। পরে সিনেমাটি বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, রেড সি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, গোথেনবার্গ চলচ্চিত্র উৎসব, ওসাকা, ডালাস চলচ্চিত্র উৎসবসহ একাধিক উৎসবে জায়গা করে নেয়।
নতুন খবর হলো- এবার যুক্তরাজ্যের ৩৩তম রেইনড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে যাচ্ছে সিনেমাটি। সেই সঙ্গে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন মেহজাবীন।
রেইনড্যান্স উৎসবের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, ‘সাবা’ ন্যারেটিভ ফিচার বিভাগে প্রদর্শিত হবে। প্রথম সিনেমার পরিচালক হিসেবে মাকসুদ হোসাইনের মনোনয়নের পাশাপাশি ডিসকভারি অ্যাওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছে সিনেমাটি।
মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি খুবই আনন্দিত যে আমাকে আন্তর্জাতিক অনেক প্রতিভাবান শিল্পীদের সঙ্গে একই তালিকায় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। একজন অভিনেত্রী হিসেবে এটা আমার জন্য বড় অর্জন। আমি চাই আরও ভালো কাজ করতে, আরও চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করতে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গল্প আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রাসঙ্গিক। এটা তো কেবল শুরু। বাংলাদেশ যেমন এবারও কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রবেশ করেছে, অচিরেই আমাদের প্রতিভার ছাপ বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির সদস্যদের কাছ থেকে আরও সহযোগিতা প্রত্যাশা করি, যেন সম্মিলিতভাবে ইন্ডাস্ট্রি আরও বড় হতে পারে।’
৯০ মিনিট দৈর্ঘ্যের ‘সাবা’ সিনেমায় মেহজাবীন চৌধুরী ছাড়াও অভিনয় করেছেন রোকেয়া প্রাচী, মোস্তফা মনোয়ারসহ আরও অনেকে। বিভিন্ন উৎসবে প্রদর্শিত হলেও সিনেমাটি এখনো দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়নি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম হজ ব ন চ ধ র চলচ চ ত র উৎসব ম হজ ব ন
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে ছাত্রশিবিরের ৩ দিনব্যাপী বিজ্ঞান উৎসব শুরু
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ‘ইসমাইল আল জাযারি বিজ্ঞান উৎসব’ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণে এই মেলার উদ্বোধন করেন ইবি উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক ইউসুব আলী, ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ শাখা সভাপতি শোয়াইব আহাম্মেদ প্রমুখ।
এতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, লালন কলা ও বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়সহ কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। মেলায় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, প্রজেক্ট ও পোস্টার প্রদর্শনী ও বর্ণবর কিউব প্রদর্শনীর জন্য মোট ৫৫টি স্টল তৈরি করা হয়েছে।
উৎসবের প্রথমদিন মঙ্গলবার প্রোগ্রামিং কনটেস্টে ২১টি দলে মোট ৬৩ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় দিন বুধবার বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, রোবটিক্স কিউব প্রতিযোগিতা ও প্রজেক্ট প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রজেক্ট অ্যান্ড পোস্টার প্রেজেন্টেশন আয়োজন করা হবে।
বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে প্রথম থেকে দশম স্থান অধিকারীদের লক্ষাধিক টাকার পুরস্কার প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, “ছাত্রশিবির একটি আদর্শিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমাদের মাঝে অনেক প্রতিভা আছে। কিন্তু সেগুলো বিকশিত করার জন্য উদ্বুদ্ধ করার মতো লোক নেই। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিভাবানদের জায়গা তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের দেশের মানুষ দেখুক, সরকার দেখুক; উৎসাহ দিক। ছাত্রশিবির শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকশিত করতে এ উদ্যোগ নিয়েছে।”
স্টল পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “ছাত্রশিবিরের এই আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ছাত্র সংগঠনের এমন সৃজনশীল প্রোগ্রাম আয়োজন করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী