ঢাকার ধামরাইয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের পর দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ভোরে ঢাকার আশুলিয়া থানার নবীনগর বটতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারসহ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে ধামরাই থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো– রংপুর জেলার পীরগঞ্জের মুংলাকুটি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আরিফুজ্জামান, একই জেলার গংগাচড়ার খাটারি খা বাড়ী গ্রামের মৃত আবুল হাশেমের ছেলে আয়নাল হক, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার দরগ্রামের মোজ্জামেল হকের ছেলে রবিউল আওয়াল ও ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের গাওয়াইল গ্রামের সোহানা আক্তার। গতকাল বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

ভুক্তভোগী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকালের দিকে ধামরাইয়ের এক ছাত্রী স্কুলের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। এর পর আর বাড়ি ফিরে না আসায় বাড়ির লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। কোথাও তাকে না পেয়ে ছাত্রীর বাবা গত শনিবার ধামরাই থানায় জিডি করেন।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, স্কুলে যাওয়ার পথে গাওয়াইল গ্রামের সোহানা তাকে বেড়ানোর কথা বলে কৌশলে আশুলিয়া থানার নবীনগর বটতলা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে আটকে রাখে। সেখানে সোহানার পূর্বপরিচিত আরিফুজ্জামান, তার বন্ধু আয়নাল ও রবিউল তাকে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় থানায় জিডি হয়। সেই জিডির সূত্রে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে সহযোগীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অপহরণ

এছাড়াও পড়ুন:

ধর্ষণ মামলায় কারাগারে নোবেল

অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে নোবেলকে আদালতে হাজির করা হয়। ৩টা ৫ মিনিটে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতে উপস্থিত হন। ৩টা সাত মিনিটে বিচারক এজলাসে এসে বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন। 

এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক মুরাদ হোসেন তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানিতে নোবেলের আইনজীবী বলেন, ঘটনার সময় নোবেল ও মামলার বাদী স্বামী স্ত্রী ছিল। এবং মামলার বাদী নোবেলের স্ত্রী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে উল্লেখ করেন নোবেলের আইনজীবী। এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের বিরোধিতা করে।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদের আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের বাসা থেকে নোবেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান জানান, গতকাল ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে অপহরণ, জিম্মি করে বিয়ের প্রলোভনে সাত মাস ধরে ধর্ষণ করে আসছিল অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তাকে ঢাকা মেডিকেলের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। 

এর আগে ২০২৩ সালে নোবেলকে গ্রেপ্তার করেছিল ডিবি পুলিশ। প্রতারণার অভিযোগে এক মামলায় সেবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শ্রেণিকক্ষে সিগারেট খাওয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের দ্বন্দ্বে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, বিদ্যালয় বন্ধ
  • দেড় মাসেও খোঁজ মেলেনি মেয়ের, থামছে না বাবা-মায়ের কান্না
  • হরহামেশা ছিনতাই, প্রতিকার মেলে না অভিযোগেও
  • শ্রেণিকক্ষে ধূমপানে বাধা দেওয়ায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ
  • ধর্ষণ মামলায় কারাগারে নোবেল
  • অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার নোবেল, যা বললেন সাবেক স্ত্রী
  • সিরাজগঞ্জে সবজি ব্যবসায়ী হত্যায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
  • সিরাজগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা মামলার রায়ে ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড
  • বন্দরে পুলিশের মেয়ে অপহরণের ঘটনায় থানায় মামলা