ভ্যাবসা গরমের মধ্যেই হুটহাট বৃষ্টি হচ্ছে। হঠাৎ করে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে প্রিয় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ভিজে গেলেই সমস্যা। অফিসের ল্যাপটপ ভিজে গেলে তো কথাই নেই । তাৎক্ষণিক সঠিক পদক্ষেপ না নিলে ডিভাইসটি হতে পারে ক্ষতিগ্রস্ত। এমন পরিস্থিতি এড়াতে কিছু টিপস জেনে রাখা জরুরি। 

দ্রুত বন্ধ করুন এবং চার্জার খুলে ফেলুন : হঠাৎ করে বৃষ্টিতে ল্যাপটপ ভিজে গেলে প্রথমেই পাওয়ার অফ করে দিন। চার্জার লাগানো থাকলে, সঙ্গে সঙ্গে তা খুলে ফেলুন। ভেজা অবস্থায় ইলেকট্রিক সংযোগ থাকলে শর্ট সার্কিট হয়ে যেতে পারে।

ব্যাটারি ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ খুলে ফেলুন: যদি আপনার ল্যাপটপের ব্যাটারি সহজে খোলার অবস্থা থাকে তাহলে তা খুলে ফেলুন। পাশাপাশি হার্ডডিস্ক, র‍্যাম ও অন্যান্য খোলা অংশগুলো সতর্কতার সঙ্গে খুলে আলাদা রাখুন।

শুকনো তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে মুছুন: ল্যাপটপের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ অংশে যতটা সম্ভব পানি শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। ভেতরে পানি প্রবেশ করে থাকলে তা পরিষ্কারভাবে লক্ষ্য করুন।

উল্টে রেখে শুকাতে দিন: ভিজে গেলে ল্যাবটপের কীবোর্ড নিচে এবং স্ক্রিন ওপরে রেখে এমনভাবে রাখুন যাতে ভেতরের পানি বের হয়ে আসতে পারে। এমন হলে ল্যাপটপটি শুকনো, বায়ুচলাচলযুক্ত স্থানে রাখাই ভালো। 

অন্যান্য সতর্কতা : অনেকেই ভেজা ল্যাপটপ হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে শুকাতে চান- এটা ঠিক নয়। কারণ অতিরিক্ত তাপ ল্যাপটপের অংশগুলোর ক্ষতি করতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে ল্যাপটপের ভিজে যাওয়া অংশ না খুলেই ড্রাই রাইসে রেখে দেওয়া হয়—এটি মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে কিছুটা কার্যকর হলেও ল্যাপটপের জন্য ততটা নয়।

ভেজা অবস্থায় ল্যাপটপ চালু বা চার্জার সংযুক্ত করলে সার্কিটের স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল য পটপ ল য পটপ র

এছাড়াও পড়ুন:

সাদা বেনারসি আর সিঁথিতে সিঁদুর, লাল গালিচায় অন্য এক ঐশ্বরিয়া

অবশেষে কানের লাল গালিচায় এলেন ঐশ্বরিয়া, তবে যে ঐশ্বরিয়াকে রেড কার্পেট এতোদিন দেখে এসেছে তিনি সে ঐশ্বরিয়া নন। সাদা-মাটা একজন, খুব একটা উচ্ছ্বাস নেই, ছিল না বাহারি গাউনের চমক। এই ঐশ্বরিয়া একেবারেই ভারতীয় সাজে, কালজয়ী সৌন্দর্যের প্রতীক হয়েই হাজির হলেন যেনো। 

 বহু বছর ধরেপালে দ্য ফেস্টিভ্যাল ভবনের রেড কার্পেট মানেই যেনো ঐশ্বরিয়া। অন্তত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মানুষরা তেমনটিই ভাবেন। তাই প্রতি বছর কান চলচ্চিত্র উৎসব মানেই ঐশ্বরিয়ার বাহারি গাউনে নজরকাড়া উপস্থিতি আর ছুড়ে দেওয়া উড়ন্ত চুম্বন।

তবে এ বছর কানে ঐশ্বরিয়ার উপস্থিতি নিয়ে তৈরি হয় ধুয়াশা। মুম্বাইয়ের এক বিয়ের অনুষ্ঠানে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে ঐশ্বর্যার নাচের ভিডিও ভাইরাল হয়, যা দেখে অনেকে ভেবেছিলেন—তিনি হয়তো এবার কানে উপস্থিত হবেন না। তবে নিস বিমানবন্দরে তার আগমন সেই সব গুঞ্জনে জল ঢেলে দেয়। কান রেড কার্পেটে তার উপস্থিতি প্রমাণ করে, তিনি এখনও আন্তর্জাতিক ফ্যাশনের অগ্রদূত।  উৎসবে এসে বলিউড অভিনেত্রী  আবারও প্রমাণ করলেন—তিনি কেবল রূপসী নন, বরং এক কালজয়ী সৌন্দর্যের প্রতীক। ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের রেড কার্পেটে তার এবারের উপস্থিতি শুধু নজর কাড়েনি, বরং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তৈরি করেছে এক উচ্ছ্বাসের ঝড়।

শ্বেতশুভ্র বেনারসি, ঐতিহ্যের ছোঁয়া
এবারের কান রেড কার্পেটে ঐশ্বর্যাকে দেখা যায় এক ক্লাসিক সাদা বেনারসি শাড়িতে, যা ডিজাইন করেছেন খ্যাতনামা ডিজাইনার ম্যানিশ মালহোত্রা। শাড়িটির সূক্ষ্ম সোনালি কারচুপি ও কেপ-স্টাইলের ওড়না তার সাজকে দেয় এক রাজকীয় ছোঁয়া। এই পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে ছিল ভারী রুবি ও আনকাট ডায়মন্ডের গহনা, যা সম্পূর্ণ লুকে যুক্ত করে সম্রাজ্ঞীর শোভা।

সিঁথিতে সিঁদুর, রাজরানীর আবহ
লাল লিপস্টিক, গাঢ় আইলাইনার, হালকা ব্লাশ এবং খোলা চুলে তার সৌন্দর্য যেন হয়ে উঠেছিল নিখুঁত এক ভারতীয় বিবাহিত নারীর প্রতিচ্ছবি। বিশেষ করে কপালের মাঝ বরাবর টানা লাল সিঁদুর ছিল তার এই লুকের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক—যা তাকে এনে দেয় সময়ের ঊর্ধ্বে এক শাশ্বত রূপ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল লুক
ঐশ্বর্যার এই লুক ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে ইনস্টাগ্রাম, এক্স (টুইটার) ও ফেসবুকে। হাজারো মন্তব্য ও শেয়ারের মধ্য দিয়ে অনুরাগীরা জানিয়েছেন তাদের ভালোবাসা। অনেকেই লিখেছেন— কুইন ইজ ব্যাক’ একজন  মন্তব্য করেন, “ঐশ্বর্যা শুধু রেড কার্পেটে হাঁটেন না, তিনি ইতিহাস রচনা করেন।”

সম্পর্কিত নিবন্ধ