বাবর-রিজওয়ানের বাদ পড়ার কারণ জানালেন পাকিস্তানের নতুন কোচ
Published: 22nd, May 2025 GMT
বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের দলে নেই পাকিস্তানের অভিজ্ঞ তিন ক্রিকেটার বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাহিন শাহ আফ্রিদি। এর মধ্যে বাবর-রিজওয়ানকে বাদ দিয়েই নতুন কোচ মাইক হেসনের অধীনে সেপ্টেম্বরের এশিয়া কাপ ও ফেব্রুয়ারির টি-২০ বিশ্বকাপের পরিকল্পনা করছে পাকিস্তান।
নতুন কোচ হেসনের কথায় তেমনই বার্তা পাওয়া যায়, ‘ক্রিকেটটা আমরা কীভাবে খেলতে চাই, কোন পরিকল্পনা নিয়ে খেলতে চাই, দলটা তো তার ওপর নির্ভর করেই গড়া হবে।’
কিউই কোচের কথায় প্রতি ক্রিকেটারের ভূমিকা নির্ভর খেলার বার্তা পাওয়া যায়। অর্থাৎ পরিকল্পনার সঙ্গে যায় এমন ক্রিকেটার দলে নিতে চান হেসন। ওপেনিংয়ে সেট হয়ে খেলবে নাকি আক্রমণাত্ম ক্রিকেট খেলবে, চারে স্পিন অলরাউন্ডার খেলানো হবে কিনা স্লগের ব্যাটিং কেমন হবে এসব পরিকল্পনা অনুযায়ী দল ঠিক করা হবে।
হেসন বলেন, ‘আমরা কীভাবে খেলতে চাই সেটা ঠিক করতে পারলে কোন ক্রিকেটারের কী ভূমিকা থাকবে সেটা নির্ধারণ করে দিতে পারবো। অথবা ভূমিকা অনুযায়ী ক্রিকেটার প্রস্তুত করা সম্ভব। এভাবে আমরা সেরা ফল পেতে পারি।’
পাকিস্তান আগামী ২৮ মে থেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবে। সিরিজের পরের দুই ম্যাচ যথাক্রমে ৩০ মে এবং ১ জুন মাঠে গড়াবে। তিন ম্যাচই লাহোরের গাদ্দাফি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে। বাংলাদেশ পাকিস্তানে যাওয়ার আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারের লজ্জায় ডুবেছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে কলেজছাত্রকে পল্লিচিকিৎসকের ছুরিকাঘাতের অভিযোগ
নোয়াখালী সদর উপজেলায় পল্লিচিকিৎসকের ছুরিকাঘাতে আবুল হোসেন ওরফে রাফি (১৮) নামের এক কলেজছাত্র গুরুতর আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের চাঁন মিয়ার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত আবুল হোসেন অশ্বদিয়া ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের মো. আজাদের ছেলে। তিনি কবিরহাট সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত পল্লিচিকিৎসক মো. শাহীন (৫৫) একই এলাকার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার আগে বিকেলে অশ্বদিয়া ইউনিয়নের সোলেমান উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলছিলেন আবুল হোসেন ও তাঁর বন্ধুরা। খেলতে গিয়ে মো. সায়েম নামের এক শিক্ষার্থীর হাতে লেগে অপর বন্ধু রুমনের ঠোঁট ফেটে যায়। পরে তাঁরা রুমনকে চিকিৎসার জন্য চাঁন মিয়ার মোড়ের পল্লিচিকিৎসক মো. শাহীনের কাছে নিয়ে যান।
আবুল হোসেনের বন্ধু সায়েম বলেন, চিকিৎসক শাহীন রুমনকে চিকিৎসা দিতে রাজি হননি। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে শাহীন পাশের চায়ের দোকান থেকে একটি ছুরি এনে আবুল হোসেনের গলার নিচে আঘাত করেন। এতে তিনি মারাত্মক আহত হন।
তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. শাহরিয়ার বলেন, আহতের গলার ভেতরে তিন ইঞ্চির মতো গভীর কেটে গেছে এবং ধমনি ছিঁড়ে গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছুরিকাঘাতে এক কলেজছাত্র আহত হওয়ার ঘটনা আমরা জেনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। অভিযুক্ত পল্লিচিকিৎসক পলাতক রয়েছেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’