বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের ইস্পাহানী বাজার হইতে লাঙ্গলবন্দ বাজার পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তাটি যেন মরদ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে  বেহাল অবস্থা পরে থাকার কারনে  দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার(২২ মে) বিকেলে  সরেজমিনে  গিয়ে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের অতিরুিক্ত বৃষ্টির পানিতে রাস্তাটি হাটু পানিতে তলিয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি হাটু পর্যন্ত পানি জমে একাকার হয়ে যায়। ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে দীর্ঘ দিন বেহাল অবস্থায় পরে আছে যেন দেখার কেউ নেই।

ইস্পাহানি বাজার থেকে লাঙ্গলবন্ধ বাজারারের একমাত্র সড়ক এই রাস্তাটি,রাস্তাটি বড় বড় গর্তে পরিনত হয়েছে। পানির কারনে গাড়ি চলাচলের সময় গর্তে পরে নানা রকম দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে এখানকার চলাচলরত যাত্রীরা।

ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার শাহাআলম গণমাধ্যমকে জানান, এই রাম্তাটি দুই পাশে রয়েছে অসংখ্য তুলার মিল। রয়েছে স্কুল মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সহ হাজার হাজার শ্রমিক রাস্তায় জমে থাকা পানির উপর দিয়ে যাতায়াত করে। পানি জমে থাকার কারনে অনেকেই দূর্ঘটনার শিক্ষার হয়।

ধামগড় ইউনিয়নের বাসিন্দা নাসির মাতাব্বর জানান,ইস্পানি বাজার হতে বুনিয়াদি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তাটি চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী।  হাজার হাজার মানুষের চলালের এটি অন্যতম রাস্তা । একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পরিবহন চলাচলের অনোপযোগী হয়ে পরে।

ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান কামাল হোসেন জানান, গত ৮ বছর যাবত রাস্তাটির  বেহাল অবস্থা।  রাস্তার দুইপাশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এমন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান  জানান, রাস্তায় বেহাল দশা সম্পর্কে আমি জানতে পেরেছি। দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের কাজ করা হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮

কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার খামার থেকে গত শুক্রবার পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। এ সময় তাদের হামলায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আটজন আহত হন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করেছে।

গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এর সংলগ্ন এতিমখানার খামারে ঘটনাটি ঘটে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু লুট করেছিল ডাকাতরা।

আরো পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

এলাকাবাসী জানান, মাদরাসার আয় এই খামারের মাধ্যমে হয়। তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খামারের বড় গরুগুলো লুট হয়ে যাওয়ায় এক পাশ ফাঁকা পড়ে আছে। বর্তমানে খামারে ১১টি গরু অবশিষ্ট রয়েছে।

খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাত দলের ব্যবহৃত তুষের বস্তা, যা দিয়ে গরুগুলো পিকআপ ভ্যানে তোলে তারা। গরু উদ্ধার এবং ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

মামলার বাদী এবং মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নেয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।

মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, খামারের আয়ের ওপর ভিত্তি করে মাদরাসার কার্যক্রম চলে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাতরা।

লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, “লুট হওয়া গরু উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।”

ঢাকা/রুবেল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ